Sunday, June 16, 2019

যৌতুক

যৌতুকপ্রথা এক অভিশাপ


পৃথিবীর অন্য জায়গা থেকে চট্রগ্রাম হচ্ছে সম্পূর্ণ আলাদা। কারন চট্রগ্রামের মানুষ যৌতুক ছাড়া বিয়ে করে না। চট্রগ্রামের মানুষ যৌতুককে বৈধতা দিয়েছে দীর্ঘকাল থেকে। এখানে যৌতুক নেওয়াটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। চট্রগ্রামের মানুষ বিয়ের সময় টাকা নেওয়াকে যৌতুক মনে করে আর বাকি গুলোকে তাদের অধিকার মনে করে।
যৌতুকের বিভিন্ন ধরনের রূপ নিম্নে উল্লেখ করা হল।



১: খাবারের পর্ব 

চট্রগ্রামে বিয়ের সময় বর পক্ষের ৫০০/৮০০/১০০০ মানুষকে খাওয়াতে হয়। খাওয়ার ম্যানুতে থাকে চিংড়ি/গরুর মাংস/খাসির মাংস/রূপচাঁদা মাছ/ডিম/পোলাও ভাত/মুরগি/চিকেন টিক্কা/পায়েস/মিনারেল ওয়াটার/কুক ও বিভিন্ন ধরনের সবজিসহ আরো অনেক কিছু। এসব আইটেম থেকে কিছু কম হলে বা কোন আইটেমে সামান্য লবণ বেশি বা হলে শুরু হয়ে যাবে কনে পক্ষের সাথে বিতর্ক। কারন বর পক্ষ এগুলো তদারকির জন্য একজন ব্যারিষ্টার রাখে যার কাজ হল কনে পক্ষের দোষ বের করা।

তবে বিয়ের পূর্বে যদি আকদ হয় তখন কিন্তু প্রায় ২০০/৩০০ জন মানুষের খাবারের আয়োজন করতে হয়। বিয়ের পর শুরু হয় বিভিন্ন পর্বের দাওয়াত নতুন জামাই বিয়ের পর শাশুর বাড়িতে যাবে তবে একা যেতে পারবে না বা ১০-১৫ জনকেও নিয়ে যেতে পারবে না। নতুন জামাইকে ৮০/১০০/১৫০ জনের বিশাল বহর নিয়ে শাশুর বাড়িতে যেতে হবে না হয় মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে। যারা নাম চট্রগ্রামের ভাষায় (চোরা বেরানি)। এখানে কিন্তু খাবারের আইটেম রাখতে হবে বিয়ের আইটেমের চেয়ে বেশি। এখানে কিন্তু অনেক কু-প্রথা চালু রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ”চোরা বেরানিতে” কনে পক্ষের জিনিস চুরি করা। এবার নতুন জামায়ের পর্ব শেষ হলে কিছুদিন পর শুরু হবে শাশুর ও শাশুড়ি পর্ব কারন নতুন জামায়ের সাথে শাশুড়ি আসতে পারবে না কারন এটা তথাকথিত ”বুড়া/বুড়ির” মানা (নিষেধ)।
শাশুড়িও তাদের বিশাল বহর নিয়ে এসে খেয়ে যাবে এবং কিছু খাবার সাথে নিয়ে যাবে। এখানে কিন্তু শেষ না। বিয়ের সময় বরের ভাই/বোনের জামায় বা অন্য কেউ বিদেশে ছিল যার কারনে সে আসতে পারে নাই। তাই সে যখন দেশে আসবে তখন সে কিন্তু এখলা বা ২/৩ জন নিয়ে যেতে পারবে না তার সাথেও অনেক জন যেতে হবে। তবে সে শুধু খেয়ে আসলে হবে না। খাবারের পর তাকে একটা স্বর্ণের আংটিও দিতে হবে। এরপর শুরু হবে চট্রগ্রামের ভাষায়
”বছরি জিনিস” দেয়ার পালা। অর্থাৎ আমের মৌসুম আসলে দিতে হয় ৫০-৬০ কেজি আম, আনারস, কাঠালসহ আরো বাহারি রকমের ফল।

রমজানের সময় দিতে হয় মেয়ের শাশুর বাড়ির চৌদ্দ গোষ্টিকে ইফতারি আরো অনেক আইটেম।
ঈদের সময় দিতে হয় ছেলের পরিবার, বোনের স্বামীসহ সবাইকে শপিং করে দিতে হয়। তবে ঈদের সময় ছেলে পক্ষের সবাই আসবে এটা স্বাভাবিক বিষয় এবং এর ফলে দুই পরিবারের মাঝে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়।
কুরবান আসলে দিতে হবে গরু, গরু রান্না করার জন্য তৈল, মসাল্লা, পিয়াজ ইত্যাদি, মহরম আসলে দিতে হবে ১৫/১৬টি মুরগি ও ৮/১০ কেজি গরুর মাংস রান্না করে।
শীতকাল আসলে দিতে হবে কয়েকশ শীতেরপিটা, তালপিটা ইত্যাদি। এছাড়া বাৎসরিক জিনিসের মধ্যে আরো অনেক আইটেম রয়েছে যেগুলু সময়ের কারনে উল্লেখ করা হয় নাই।

২: ফার্নিচার ও বিভিন্ন জিনিস এবং বাদরুমের বদনা

চট্রগ্রামে বিয়ের পূর্বেই বর পক্ষের বাড়িতে ফার্নিচার পৌঁছে দিতে হয়। ফার্নিচারের মধ্যে থাকে দামি বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের জিনিস। ফ্রিজ, টিভি, গ্যাসের চুলা এগুলোও বাধ্যতামূলক দিতে হয়। এছাড়া কনে পক্ষের অতিথিদের দেয়া সব উপহারের জিনিসও বর পক্ষকে দিয়ে দিতে হয়। এখানে কিন্তু শেষ না বাদরুমের বদনা থেতে শুরু করে আরে অনেক ধরনের জিনিস দিতে হয়।

৩: আকিকা

বিয়ের পর যখন কনের বাচ্চা হয় তখন কিন্তু আকিকার গরুটাও কনে পক্ষ থেকে দিতে হয়। এছাড়া বাচ্চার দোলনা, বিভিন্ন ধরনের কাপড়সহ আরো অনেক কিছু দিতে হয়।

এখানে কিন্তু আরো কিছু আছে যেগুলো সময়ের অভাবে লিখতে পারছি না।
বি:দ্র:- এখানে আমি চট্রগ্রামের বিয়ের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছি, যদিও আমার চিত্রের সাথে অনেক জায়গার চিত্র মিল আছে। আবার অনেক জায়গার অবস্থা আরো খারাফ। যদিও চট্রগ্রামে কিছু যৌতুক ছাড়া বিয়ে হয় কিন্তু সেরকম বিয়ে হয় হাজারের মধ্যে মাত্র কয়েকটি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বদলে গেছে সমগ্র বিশ্ব। এমনকি আমাদের দেশও অনেক বদলে গেছে। কিন্তু বদলাতে পারি নাই আমরা চট্রগ্রামের মানুষ গুলো। আমাদের সমাজ থেকে দূর করতে হবে এসব অপসংস্কৃতি গুলো। দু:খের বিষয় হচ্ছে এসব অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সচেতনতা চালানোর মানুষ খুবই কম আর যারা আছে তাদের কেউ মূল্যায়ন করে না। যার ফলে তারাও নিশ্চুপ হয়ে যাচ্ছে।
আসুন আমরা সকলে এসব অপসংস্কৃতি বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।

আসুন ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলে ইসলামি ভাবধারায় নিজের জীবন পরিচালিত করি। নিজে বাচি পরিবার কে বাচাই।

Source: চট্টগ্রামের বিয়ে নামে পাত্র পাত্রীরবাবা মাকে জীবন্ত লাশ বানানো হচ্ছে

বিয়ের বয়স এবং বাল্যবিয়ে




১৮ বছরের নিচে বিয়েকে আমি বাধ্যতামূলক বলি না, যার ইচ্ছা হয় করবে , যার ইচ্ছা হয় করবে না। কিন্তু আমার খারাপ লাগে যখন দেখি, একদল ১৮ বছরের নিচে (বাল্যবিয়ে) নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালায়। বিশেষ করে এদিক-সেদিক থেকে ডাক্তারি বিদ্যা এনেও বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেয়।
তখন আমার সন্দেহ হয়, আসলেই যারা বাল্যবিয়ের বিরোধীতা করছে, তাদের মূল উদ্দেশ্যটা কি ?
কারণ একটা বিষয়ের বিরুদ্ধে যখন উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারণা বেড়ে যায়, তখন প্রচারণাকারীদের পরিচয় ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্নজাগা স্বাভাবিক। আসুন তাদের অপপ্রচারের বিষয়গুলো আগে জানি-
(১) বাল্যবিয়ে নিয়ে যারা প্রোপাগান্ডা চালায়, তাদের প্রথম কথা হলো, বাল্যবিয়ে করলে অপরিপক্ক বয়সে গর্ভধারণ ঘটে। আমার প্রশ্ন হলো- অপরিপক্ক বয়সে গর্ভধারণটা ঘটে কিভাবে ? কারণ একজন নারীর ‘মেন্সট্রুয়াল সাইকেল’ নির্দেশ করে সে গর্ভধারণে সক্ষম নাকি অক্ষম।  মেন্সট্রুয়াল সাইকেল শুরুর আগে তার সাথে যতবার ইন্টারকোর্স করা হোক, সে তো গর্ভধারণ করতে পারবে না।কিন্তু শুরুর পর ইন্টারকোর্স করলে সে গর্ভধারণ করবে। 
অর্থাৎ প্রাকৃতিকভাবে পরিপক্ক হওয়ার পরই সে গর্ভধারণ করে। তাহলে যারা প্রোপাগান্ডা চালায় ‘অপরিপক্ক বয়সে গর্ভধারণ’, তারা কতটুকু সত্য ?
(২) “বাল্যবিয়ে হলে, গর্ভধারণে মা ও শিশু উভয়ই অপুষ্টিতে ভুগে। এতে উভয়ের ক্ষতি হতে পারে।” 
পাঠক ! তাদের কথাটা লক্ষ্য করুন।
  এখানে সমস্যা আসলে বাল্যবিয়েতে নয়, সমস্যা হলো ‘অপুষ্টিতে ভুগা’। আর অপুষ্টি সমস্যার সাথে আসলে বসসের কোন যোগসূত্র নাই। একজন নারী ১৫ বছর বয়সেও অপুষ্টিতে ভুগতে পারে, আবার ২৫ বছরেও পারে।  তাহলে নারীর অপুষ্টি দূর করতে হবে, বিয়ে বন্ধ করতে হবে না। সমস্যার আসল যায়গায় আঘাত করুন, ভূল যায়গায় করবেন না।

(৩)  “বাল্যবিয়ে হলে নারী মানসিকতভাবে প্রস্তুত হয় না।”
এটাও আপেক্ষিক বিষয়। আমি আগেও বলেছি- শহরের অনেক মেয়ে ২৫ বছর বয়সে মায়ের হাতে তুলে ভাত খায়। কিন্তু গ্রামের অনেক মেয়ে ৯ বছর বয়সে কাজ কর্ম করে ঘর সামলে রাখে। একটা মেয়ে মানসিকভাবে সক্ষম না অক্ষম সেটা বাবা-মায়ের থেকে কেউ ভালো বুঝে না। বাবা-মা যদি ভালো বুঝে তবে দিবে, নয়ত দিবে না। এটা সম্পূর্ণ তাদের নিজেদের ব্যাপার।
(৪)“কম বয়সী মেয়ের সাথে বেশি বয়সী ছেলের বিয়েতে বাসর রাতে রক্তপাতে বধুর মৃত্যু” বাল্যবিয়ে নিয়ে লেখার সময় আমার এক বন্ধু আমাকে বলেছিলো, “দোস্ত, যারা বাল্যবিয়ের বিরোধী তারা দৃষ্টিকটু কথাগুলো এত লজ্জাহীনভাবে বলতে পারে। তুমি যতদিন ওদের কথাগুলোর বিপরীতে সত্যটা লজ্জা ফেলে বলতে না পারবে, ততদিন সঠিকটা মানুষ জানবে না।”
আমার বন্ধু কথাটা বলেছিল, দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত সৈয়দ আবুল মকসুদের বাল্যবিয়ে নিয়ে কলাম, “ষোড়শী বা সুইট সিক্সটিন”কে কেন্দ্র করে। সেখানে আবুল মকসুদ বেশ সাবলিলভালে বলেছিলো, ব্রিটিশ আমলে ৮ বছরের মেয়ের সাথে এক মোটা তাগড়া লোকের বিয়ের পর বাসর রাতে মেয়েটি চিৎকার করে ওঠে। আহত অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তবুও নাকি মেয়েটি মারা যায়। এই ঘটনার পরই নাকি বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে আইন হয়। (
https://bit.ly/2KRO7uX)
এই ইতিহাস কতটুকু সত্য না মিথ্যা তা জানা নাই। কিন্তু ডাক্তারি দৃষ্টিকোণ থেকে কম বয়সী নারী বাসর রাতে রক্তপাতের কারণ মারা যাবে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটা কথা। কারণ নারীকে সৃষ্টিগতভাবে এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যে, তার জন্য মোটা তাগড়া পুরুষ হলে সমস্যা হওয়ার কথা না। আর কম বয়স্ক হোক আর বেশি বয়স্ক হোক, উভয় নারীর ক্ষেত্রে কুমারি হলে বাসর রাতে রক্তপাত হতে পারে। এটাও স্বাভাবিক। তবে রক্ত পড়া যদি বন্ধ না হয়, তবে সেই রোগের নাম হলো ‘হিমোফিলিয়া’। এটাও বংশানুক্রমিক জিনগত রোগ। এর সাথেও বয়সের কোন সম্পর্ক নাই। এটা ১০ বছরের মানুষেরও হতে পারে, ৪০ বছরের মানুষেরও হতে পারে।
(৫) বাল্যবিয়ে নিয়ে এখন ডাক্তারিবিদ্যায় সবচেয়ে বেশি যে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে, তা হলো জরায়ু ক্যান্সার”। এমনও দাবী করা হচ্ছে, জরায়ু ক্যান্সারের অন্যতম কারণ নাকি বাল্যবিয়ে। (https://bit.ly/2KRXR8D)
অথচ জরায়ু ক্যান্সারের মূল কারণ হলো- হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচ-পি-ভি) ইনফেকশন । এক্ষেত্রে যে কারণগুলো প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে-
ক) পুরুষের একাধিক সঙ্গী,
খ) নারীর একাধিক সঙ্গী,
গ) অপরিচ্ছনতা,
ঘ) জন্ম নিরোধক পিল (এতে এই ক্যান্সারর হওয়ার সম্ভবনা অনেকগুলো বেড়ে যায়,)
ঙ) ধুমপান
চ)এইচআইভি’র উপস্থিতি,
ছ) অধিক ওজন
জ) অপুষ্টি, শাক সবজী ও ফলমুল কম খাওয়া,
ঝ) বংশগত রোগের উপস্থিতি,
ঞ) পুরুষের খৎনা না করা।
তবে বর্তমানে ডেভেলপিং কান্ট্রিগুলোতে জনসংখ্যা হ্রাসের কথা মাথায় রেখে কিছু কিছু বইয়ে ১৭ বছরের নিচে গর্ভধারণ ও অধিক সন্তান ধারণকে এই রোগের কারণ (প্রধান নয় বরং নগন্য) হিসেবে দেখাতে চায়, যদিও এর পেছনে কোন নির্দ্দিষ্ট কারণ তারা দিতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে বলা হয়-
Women who have had children are at an increased risk of cervical cancer compared to those who haven't.Having your first baby before the age of 17 also gives a higher risk, compared to women who had their first baby after the age of 25. The reasons for this are unclear.

(কারণগুলো জানতে পড়তে পারেন-
 http://bit.ly/2kMpnoM, http://bit.ly/2kMpukc)
মজার বিষয় হলো- তারাই বলছে- বাংলাদেশে জরায়ু ক্যান্সার বাড়ছে অথচ বাল্যবিয়ে কমছে। তাহলে এটা স্পষ্ট বাল্যবিয়ের কারণে জরায়ু ক্যান্সার হচ্ছে না। বরং জরায়ু ক্যান্সারের মূল যে কারণগুলো- নারী-পুরুষের একাধিক সঙ্গী, জন্মনিরোধক পিল, ধূমপান বাড়ছে। সে কারণেই মূলত জরায়ু ক্যান্সার বাড়ছে। অথচ তারা নারী পুরুষের ব্যাভিচার, পিল বা ধূমপানের বিরুদ্ধে না বলে তারা উল্টো বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে বলছে। এখানেই প্রমাণ হয় তারা কতটা ভয়ঙ্কর প্রোপাগান্ডায় বিশ্বাসী।

(৬) “বাল্যবিয়ের কারণে নারীর ফিস্টুলা হয়”
এটাও একটা ভয়ঙ্কর প্রোপাগান্ডা। ফিস্টুলা হলো দুই বা তার অধিক আবরণী স্তরের মধ্যে অস্বাভাবিক যোগাযোগ। প্রধান কারণ হলো-বাচ্চা প্রসবের সময় যদি বাধা পায়, যাকে Obstructed (বাধাগ্রস্ত) labour বলে। ফিস্টুলা হওয়ার সাথে বয়সের কোনো সম্পর্ক নেই। মেয়েদের বিভিন্ন আকার আকৃতির পেলভিস দেখা যায়। কিছু পেলভিস আছে যেখানে Obstructed labour হয়।
বাংলাদেশে ফিস্টুলা কেন বেশি হয়?
ক. বাচ্চা পেটে থাকার সময় যত্ন না নেয়া
খ. জন্মের সময় যত্ন না নেয়া
গ. জন্মের পর থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত যত্ন না নেয়া
ঘ. চিকিৎসকদের অদক্ষতা ঙ. অপারেশনের সময় যত্ন না নেয়া (
Ref-prof.Nurjahan/5th/106)
এখানেও বয়সের সাথে বিন্দুমাত্র কোনো সম্পর্ক নেই। যারা ফিস্টুলা ক্ষেত্রে কম বয়সে বাচ্চা নেয়াকে দায়ী করে তাদের কথার কোনো ভিত্তি নেই।
(৭) “বাল্যবিয়ে কমেছে তাই মাতৃ ও শিশু মৃত্যু কমেছে”
এটা একটা পাক্কা মিথ্যা কথা। বাংলাদেশের চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই মাতৃ ও শিশু মৃত্যু কমেছে। বর্তমানেও অনেক মা-শিশু ডেলিভারি কেসের সময় মারা যায়। খবর নিয়ে দেখুন তো সেখানে কয়জন ১৮ বছরের নিচে মা আছে। তাহলেই সত্যটা বের হয়ে যাবে।
বর্তমানে মায়েদের একটা বড় সমস্যা হলো- সিজার অপরেশন বা সি-সেকশন। হাসপাতালগুলোতে এখন গণহারে এই অপরেশন হচ্ছে। দিন দিন এর পরিমাণ বাড়ছে। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি বড় কারণ কিন্তু বেশি বয়সে গর্ভধারণ। যারা এই বিষয়ে অভিজ্ঞ আমি তাদের সাথে আলাপ করে জেনেছি, কম বয়সী একটি নারীর নরমাল ডেলিভারি যতটা সোজা, বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তার সিজার অপরেশনের আশঙ্কা তত বৃদ্ধি পেতে থাকে। অথচ যারা একচেটিয়ে বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে বলে, তাদের কখন দেখিনি, বাল্যবিয়ের এই সুফল সম্পর্কে আলোচনা করতে।

আমি আবারও বলছি- বাল্যবিয়েকে আমি বাধ্যতামূলক মনে করি না।
  যার প্রয়োজন সে করবে, যার প্রয়োজন সে করবে না।  কিন্তু একটা গ্রুপ চোখ মুখ বন্ধ করে কেন বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে লেগেছে ? কেন সত্য-মিথ্যাকে এক করে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে ? তাদের আড়ালের উদ্দেশ্যটা কি ? সেটা আগে পরিষ্কার হওয়ার জরুরী।
Found at Facebook: Under the name  Noyon chatterjee 5

Marriageable age World wide



Thursday, June 13, 2019

কুরবানীর ফাযায়েল ও কিছু জরুরি মাসায়েল

কুরবানীর ফাযায়েল ও কিছু জরুরি মাসায়েল

মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন
প্রিন্সিপালঃ জামি‘আ ইসলামিয়া দারুল উলূম ঢাকা, মিরপুর-১ (১৪২১ হি. থেকে বর্তমান)। 






 DOWNLOAD PDF
 Download PDF
DOWNLOAD PDF

পি ডি এফ ডাউনলড করুন   এখান থেকে  অথবা  এখান থেকে

B. Pharm. (Honours) Part-IV Practical

B. Pharm. (Honours) Part-IV Practical


401: Pharmaceutical Analysis -II 




Get the PDF File (Links below)



Get the (Word) File


402:Medicinal Chemistry-II



Get the PDF File (Links below)



Get the (Word) File


403: Pharmacology-III



Get the PDF File (Links below)



Get the (Word) File


404: Biopharmaceutics-II



Get the PDF File (Links below)



Get the (Word) File


405:Pharmaceutical Technology-III



Get the PDF File (Links below)



Get the (Word) File


406: Molecular Biology and Biotechnology



Get the PDF File (Links below)



Get the (Word) File

Wednesday, June 12, 2019

B. Pharm. (Honours) Part-III Practicals

B. Pharm. (Honours) Part-III Practicals

Course: 310 / Unit- 2


301:Analytical Pharmacy



Get the PDF File (Links below)



Get the (Word) File


302:Medicinal Chemistry

Get the PDF File (Links below)


Get the (Word) File

303:Pharmacology-II


Get the PDF File (Links below)
Get the (Word) File

304:Bio-Pharmaceutics-I


Get the PDF File (Links below)
Get the (Word) File

305:Pharmaceutical Engineering & Technology

Get the PDF File (Links below)
Get the (Word) File