Tuesday, December 24, 2019

মুসফিক আহমাদ (রহঃ) এর বয়ানঃলিখিতরুপে


মাজালিসে মুসফিক আহমাদ রহঃ



বয়ানে মুসফিক আহমাদ রহঃ





সংকট ও যুগে যুগে মুসলিহিন




মুরুব্বীদের জীবন থেকে








Saturday, December 14, 2019

হুরমতে মুসাহারাত সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা ও শর্তসমূহ




—————–
মুফতি সাঈদ আল হাসান
——————-
সমাজে এমন কিছু জিনিস প্রচলিত আছে যা আমাদের অজান্তেই দুনিয়া ও আখেরাত বরবাদ করে চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হুরমতে মুসাহারাত। চলুন, এ সংক্রান্ত কিছু মাসআলা জেনে নেয়া যাক-
মাসআলা
ইসলামী বিধান মতে, নিজ কন্যার সাথে যিনা করলে বা কামভাব নিয়ে উত্তেজনার সাথে আবরণ ছাড়া স্পর্শ করলে নিজ স্ত্রী তথা ওই মেয়ের মায়ের সাথে স্পর্শকারীর বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় এবং স্ত্রী তার জন্যে চিরতরে হারাম হয়ে যায়।
তাই কন্যা বালেগা হবার নিকটবর্তী (সাধারণত ৮+ বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পিতার এবং ছেলে বালেগ (সাধারণত ১১+ বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে মায়ের খুবই সর্তক থাকা উচিৎ।
মাসআলা
১ নং মাসআলাটি ছিল পিতা-মাতার দিক থেকে। একই কাজ যদি সন্তানের দিক থেকে হয় তবুও পিতা মাতার বিবাহ ভেঙ্গে পরস্পর চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। কাজেই মা-কে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পুত্র ও বাবাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে কন্যার খুব সতর্কতা আবশ্যক।
মাসআলা
উপরোক্ত দুটি মাসআলার মতই শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূ এবং শাশুড়ি কর্তৃক জামাইকে স্পর্শ করার বিধান। অর্থাৎ শর্তগুলি পাওয়া গেলে স্বামী স্ত্রী পরস্পর হারাম হয়ে যাবে।
মাসআলা
যদি কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় অথবা কামভাব নিয়ে আবরণহীন তাকে স্পর্শ করে অথবা কামভাব সহকারে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে তাকায় অথবা নারী পুরুষের লজ্জাস্থানে তাকায় তাহলে ঐ পুরুষের জন্য ওই মহিলার মা এবং মেয়ে সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায়। আর যদি সেই ব্যক্তি পূর্ব থেকেই ঐ মহিলার মেয়েকে বিবাহ করে থাকে, তাহলে তার সেই স্ত্রী চিরতরের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
মাসআলা
হুরমতে মুসাহারার দ্বারা অটোমেটিক বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে স্বামী স্ত্রী পরস্পর হারাম হয়ে যায়।
আর এই হারামটা সারা জীবনের জন্য বহাল থাকে। অর্থাৎ পুনরায় বিবাহের কোন উপায় আর থাকে না। কাজেই তালাকের কোন ব্যাপার স্যাপার এখানে নেই।
—————-
হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।
শর্তগুলো হল,
সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।
فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة
وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)
স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।
পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،
وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى
وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)
স্পর্শ করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। সেই সাথে স্পর্শ করার আগে বা শেষে, হাত ছেড়ে দেওয়ার আগে বা পর যদি উত্তেজনা অনুভূত হয় তাহলেও নিষিদ্ধতার সাব্যস্ত হবে না।
وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)
স্পর্শ করার পর উদ্ভূত উত্তেজনা স্থীর হওয়ার পূর্বেই বীর্যপাত না হতে হবে। যদি উত্তেজনা হওয়ার সাথে সাথেই বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলেও নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।
وفى الدر المختار- هذا إذا لم ينزل فلو أنزل مع مس أو نظر فلا حرمة به بفتى
وفى رد المحتار- قوله : فلا حرمة ) لأنه بالإنزال تبين أنه غير مفض إلى الوطء هداية .
قال في العناية : ومعنى قولهم إنه لا يوجب الحرمة بالإنزال أن الحرمة عند ابتداء المس بشهوة كان حكمها موقوفا إلى أن يتبين بالإنزال ، فإن أنزل لم تثبت ، وإلا ثبت(الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/109
মহিলার বয়স ৯ বছর থেকে কম না হতে হবে। আর পুরুষের বয়স ১২ বছর থেকে কম না হতে হবে।  {হুরমতে মুসাহারাত-১৯}
উপরোক্ত ৫টি শর্ত পাওয়া গেলে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হয়ে যাবে।
وكذا المقبلات، أو الممسوسات بشهوة لأصوله، أو فروعه (رد المحتار-4/100)
لأن حرمة المصاهرة إذا ثبتت لا تسقط أبدا (رد المحتار-4/109)

আপনার স্ত্রী আপনার আছে তো!


আপনার স্ত্রী আপনার আছে তো!

শিরোনামটা একটু বে-খাপ্পা। তবে পড়লেই বুঝবেন, এ সমাজে কতজন নিজ স্ত্রীকে নিয়ে ঘর করছেন।
উল্লেখ্য যে, এখানে মাসআলাগুলো লেখার দ্বারা উদ্দেশ্য হল যাতে আমরা নিম্নলিখিত বিষয়গুলো থেকে বাঁচতে পারি। এগুলো পড়ে ফাতওয়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে মাসআলাগুলো লেখা হয়নি। এমনকি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো কারো ঘটে গেলে সেক্ষেত্রেও সে এর উপর আমল করবে না। বরং অবশ্যই কোন নির্ভরযোগ্য দারুল ইফতা বা মুফতী সাহেবের স্মরনাপন্ন হবে।
মোটকথা মাসআলাগুলো লেখার দ্বারা উদ্দেশ্য হল অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় থেকে বেঁচে থাকা। এবং রাগের মাথায় যে কোন ধরনের শব্দ মুখে উচ্চারণ না করা। কেননা অনেককে দেখা গেছে একটি কথার দ্বারাই তার জীবন তছনছ হয়ে গিয়েছে এবং সারাজীবন তার জের বহন করছে। তাই ঝগড়াঝাঁটির সময় শব্দ উচ্চারণের ক্ষেত্রে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
মাসআলাঃ কেউ তার স্ত্রীকে ঠাট্টা করে তালাক দিলে তা পতিত হয়ে যাবে।-তিরমিজী শরীফ হাদীস নং-১১৮৪।
মাসআলাঃ কেউ তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি করলে তা পতিত হয়ে যায়। অর্থাৎ পূর্বে তালাক না দিয়েও কেউ যদি তালাক দিয়েছে বলে থাকে তা পতিত হয়ে যাবে। -রদ্দুল মুহতার ৩/২৩৮।
মাসআলাঃ রাগান্বিত অবস্থায় তালাক দিলে তালাক পতিত হয়ে যায়। অনুরূপভাবে মদ্যপ অবস্থায় মাতাল হয়ে তালাক দিলে তা পতিত হয়। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৫৩, আল মুহীতুল বুরহানী ৩/৩৪৮, আদ্দুররুল মুখতার /২৩৫,২৪১,২৪৪।
মাসআলাঃ কেউ তার স্ত্রীকে বলল “আমি তোমাকে ছেড়ে দিয়েছি” এর দ্বারা তালাক হয়ে যাবে। চাই তার তালাকের নিয়ত থাক বা না থাক। -রদ্দুল মুহতার ৩/২৯৯, আলমগিরী ১/৩৭৯।
মাসআলাঃ তালাক পতিত হওয়ার জন্য সাক্ষীর সামনে তালাক দেওয়া বা স্ত্রীর উপস্থিতিতে তালাক দেওয়া জরুরী নয়। বরং কেউ একাকী নির্জনে তার স্ত্রীকে তালাক দিলে তা কার্যকর হয়ে যাবে। -ফাতওয়ায়ে দারুল উলুম ৯/৪৮,৪১,৬৮।
মাসআলাঃ মৌখিকভাবে তালাক দিলে যেমনিভাবে তালাক পতিত হয় তেমনিভাবে মুখে উচ্চারণ ব্যাতীত লিখিতভাবে তালাক দিলে তা পতিত হয়। -রদ্দুল মুহতার ৩/২৪৬, ২৪৭।
মাসআলাঃ কেউ তালাকনামায় সজ্ঞানে স্বাক্ষর করলে লিখিত তালাকনামা অনুযায়ী তালাক পতিত হয়। -তাতারখানিয়া ৩/৩৮০।
মাসআলাঃ কেউ উকীলকে বা অন্য কাউকে বলল “আমি স্ত্রীকে তালাক দিব” তালাকনামা লিখুন। এর দ্বারাই তার স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবে। চাই সে তালাকনামা লিখুক অথবা না লিখুক। -তাতারখানিয়া ৩/৩৭৯, রদ্দুল মুহতার ৩/২৪৬।
মাসআলাঃ স্পষ্টভাবে তালাক দিলে (যেমন কেউ তার স্ত্রীকে বলল আমি তোমাকে তালাক দিলাম) নিয়তের প্রয়োজন নেই। তার নিয়ত যা-ই থাকুক না কেন তালাক পতিত হবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২২, রদ্দুল মুহতার ৩/২৪৭।
মাসআলাঃ কেউ একই মজলিসে এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাকই পতিত হবে। এক তালাক নয়। চাই সে এক শব্দে তিন তালাক দিক বা ভিন্ন শব্দে। উভয় অবস্থায় তিন তালাক পতিত হবে। আর এটাই চার ইমামের মাযহাব। -সুরা বাকারাহ আয়াতঃ ২৩০, সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৫২৬১,৫২৫৯, সুনানে নাসাই, হাদীস নং৩৪১, সুনানে বাইহাকী, হাদীস নং ১৪৭৩৫, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং ১১৩৪৩।
মাসআলাঃ স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে শরঈ হালালা ব্যতীত তার সাথে ঘর-সংসার করা নাজায়েয ও হারাম। যদি অন্য পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় অতঃপর দ্বিতীয় স্বামী তাকে স্বেচ্ছায় তালাক দেয় তবে ইদ্দত পালনের পর ১ম স্বামীর সাথে পূনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। -সূরা বাকারাহ, আয়াত নং ২৩০, সহীহ বুখারী, হাদীস নং৫২৬১,৫২৫৯।
মাসআলাঃ কেউ রাগান্বিত অবস্থায় স্ত্রীকে বলল তুমি ইদ্দত পালন কর বা তুমি এখন থেকে একা বা তুমি স্বাধীন বা তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলাম তবে এর দ্বারা একটি বায়েন তালাক পতিত হবে যদিও তার তালাকের নিয়ত না থাকে। -আদ্দুরুল মুখতার ৩/২৯৬-২৯৮, আলবাহরুর বায়েক ৩/৫১৮-৫২৩, ফাতওয়ায়ে দারুল উলুম ৯/৩১০।
মাসআলাঃ স্ত্রী বা অন্য কেউ স্বামীর নিকট তালাক চাইল।স্বামী স্ত্রীকে জবাবে বলল তুমি মুক্ত বা তুমি আমার জন্য হারাম বা তুমি আমার থেকে বিচ্ছিন্ন বা তুমি ইদ্দত পালন কর বা তুমি এখন থেকে একা বা তুমি স্বাধীন তবে কোন নিয়ত ব্যতীত স্ত্রীর উপর একটি বায়েন তালাক পতিত হবে। -আদ্দুররুল মুখতার ৩/২৯৬-২৯৮,তাবয়ীনুল হাকায়েক ৩/৭৮।
মাসআলাঃ কেউ তার স্ত্রীকে বলল “তুমি আমার জন্য হারাম”এর দ্বারা তার স্ত্রীর উপর একটি বায়েন তালাক পতিত হবে ।-রদ্দুল মুহতার ৩/৪৩৩, ফাতওয়ায়ে দারুল উলুম ৯/৩০২।
মাসআলাঃ তালাক বায়েন হলে নতুন করে মোহর ধার্য্য করে দুজন সাক্ষীর সামনে ঈজাব কবুলের দ্বারা বিবাহ দোহরানো ব্যতীত স্ত্রী হালাল হবে না। -ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৪৭২।
উল্লেখিত বিষয়গুলোর কোন একটির দ্বারা তালাক হলে কোন ক্ষেত্রে ফিরিয়ে নেওয়ার দ্বারা, কোন ক্ষেত্রে বিবাহ দোহরানো দ্বারা, কোন ক্ষেত্রে বিবাহ দোহরানো দ্বারা কোন ক্ষেত্রে শরঈ হালালার দ্বারা স্ত্রী ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে। তবে স্ত্রী হারাম হওয়ার অন্য একটি সুরত রয়েছে যাকে “হুরমতে মুছাহারাহ” বলে। এর দ্বারা স্ত্রী চিরতরে কেয়ামত পর্যন্ত হারাম হয়ে যায়। নিম্নে এ সংক্রান্ত কিছু মাসআলা আলোচনা করা অত্যন্ত জরুরী মনে করছি।
মাসআলাঃ যদি কোন পুরুষ ও মহিলা একে অপরকে কামভাবে (শাহওয়াতের সাথে) স্পর্শ করে অথবা পুরুষ মহিলার লজ্জাস্থানের ভিতরে কামভাব নিয়ে দৃষ্টি দেয় তবে তাদের প্রত্যেকের জন্য অপরের উপরের সিঁড়ি ও নিচের সিঁড়ির সকলে চিরতরে হারাম হয়ে যায়। অর্থাৎ তাদের কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না। আর কেউ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকলে সে চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। একে হুরমতে মুছাহারাহ বলে। -এলাউস সুনান-১১/১৩১,১৩২, রদ্দুল মুহতার-৩/৩১-৩৩।
মাসআলাঃ কেউ তার শাশুড়ী বা মেয়েকে কামভাব নিয়ে স্পর্শ করলে তার স্ত্রী তার জন্য চিরতরে হারাম হয়ে যায়। -রদ্দুল মুহতার ৩/৩১-৩৩।
মাসআলাঃ কোন মহিলা তার ছেলে বা শ্বশুরকে কামভাবে নিয়ে স্পর্শ করলে তার স্বামী তার জন্য চিরতরে হারাম হয়ে যায়। ¬-আদ্দুররুল মুখতার ৩/৩১-৩৩।
মাসআলাঃ হুরমতে মুছাহারাহ সাব্যস্ত হওয়ার জন্য কামভাব উভয়ের হওয়া শর্ত নয় বরং যে স্পর্শ করেছে বা যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে কোন একজনের কামভাব এলেই হুরমতে মুছাহারাহ সাব্যস্ত হবে।-¬রদ্দুল মুহতার ৩/৩৬।
মাসআলাঃ হুরমতে মুছাহারাহ সাব্যস্ত হতে হলে সরাসরি শরীরে স্পর্শ হতে হবে অথবা এমন কাপড়ের উপরে স্পর্শ হতে হবে যার উপরে শরীরের উষ্ণতা অনুভুত হয়।-আদ্দুররুল মুখতার ৩/৩১।
কাজেই পুরুষের জন্য শাশুড়ি ও মেয়ের ( সাবালেগ হলে বা সাবালেগের নিকটবর্তী হলে) সাথে চলাফেরার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন। অনুরূপভাবে মহিলার জন্য শ্বশুর ও ছেলের ( সাবালক বা সাবালকের নিকটবর্তী হলে) সাথে চলাফেরার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন একান্ত প্রয়োজন। নতুবা সামান্য ভুলের কারনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক চিরতরে হারাম হয়ে যেতে পারে।
Top of Form
Collected from FB

আরও পড়ুন

হুরমতে মুসাহারাত সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা ও শর্তসমূহ

হুরমতে মুসাহারাত এর শরয়ী বিধান (সারা জীবনের জন্য স্বামী স্ত্রী পরস্পর হারাম হয়ে যায়)

বিতর নামাজের রাকাত সংখ্যা (rakat in bitor salat)

বিতর নামাজের রাকাত সংখ্যা
(rakat in bitor salat)



সামুদ্রিক প্রাণি খাওয়া এবং বিদেশে রেস্তরায় কাজ করা (Eating sea foods and part time jobs in foreign country)

সামুদ্রিক প্রাণি খাওয়া এবং বিদেশে রেস্তরায় কাজ করা
(Eating sea foods and part time jobs in foreign country)