Wednesday, April 3, 2024

অমুসলিম দেশে বসবাস : ইসলামী দৃষ্টিকোণ by Khairul Islam

 



অমুসলিম দেশে বসবাস : ইসলামী দৃষ্টিকোণ
Khairul Islam 6/03/2022
হানাফী ফিকহ-Hanafi Fiqh
অনেক মুসলিমই উচ্চতর ডিগ্রি এবং জীবনসামগ্রীর আরো উন্নতি,আরো স্বচ্ছলতা-স্বাচ্ছন্দ, দুনিয়ার ভোগ-বিলাসিতার উদ্দেশ্যে আমেরিকা /ইংল্যান্ড / অস্ট্রেলিয়া এর মত অমুসলিম দেশে যেতে চাই সম্ভব হলে একেবারে থেকে যেতে চাই।
অনেকেরই প্রশ্ন ইসলামী শরীয়ত এই ব্যাপারে কি বলে? ইসলামে কি এব্যাপারে অনুমতি আছে?
উত্তর: এক্ষেত্রে শরয়ী দৃষ্টিকোণ হলো,অমুসলিম দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করা এবং সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করা,এটি এমন একটি মাসআলা,যার হুকুম স্থান কাল পাত্র ভেদে,প্রেক্ষাপট পরিস্থিতি এবং বসবাসকারী
ব্যক্তির উদ্দেশ্য ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারণে হুকুমও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপ:
১.কোনো ব্যক্তির যদি স্বীয় মুসলিম দেশে এতটুকু জীবিকা উপার্জনের ব্যবস্থা থাকে,যতটুকু দ্বারা সে নিজ শহরের স্টাটাস অনুযায়ী চলতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র জীবনসামগ্রীর আরো উন্নতি,আরো স্বচ্ছলতা-স্বাচ্ছন্দ, দুনিয়ার ভোগ-বিলাসিতার উদ্দেশ্যে কোনো অমুসলিম দেশে যেতে চায় এবং দারুল হারবের পরিচয় ও জাতীয়তাকে শ্রেষ্ঠ মনে করে এবং সেটাকে দারুল ইসলামের পরিচয় ও জাতীয়তার উপর প্রাধান্য দিয়ে কোনো অমুসলিম দেশের নাগরিকত্ব ও জাতীয়তা অর্জন করা জায়েয নয়। কেননা, এক্ষেত্রে ইহকালীন পরকালীন কোনো প্রয়োজন ছাড়া সেখানকার অশ্লীলতা বেহায়াপনায় নিজেকে নিজে ফেলে দেয়া হচ্ছে। আর বিনা প্রয়োজনে নিজের দ্বীন-ধর্ম, আখলাক-চরিত্র ইত্যাদিকে এক ঝুকির মধ্যে ফেলে দেয়া কোনো অবস্থাতেই বৈধ হতে পারে না।
এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা হলো, যারাই শুধুমাত্র সুখী, সমৃদ্ধি, ভোগ-বিলাসিতার উদ্দেশ্যে কোনো অমুসলিম দেশে বসবাস করছে, তাদের ধর্মীয় চেতনা একেবারে দুর্বল হয়ে যায়। এধরনের লোকেরা কুফরী পরিবেশে থেকে সেখানকার কালচারে উজ্জীবিত হয়ে যায়। আর ধীরে ধীরে তারা কেবল তাদের চেহারা (পোশাক, পোশাক, আকৃতি ও রূপ) এবং অবয়বে কাফেরদের সাদৃশ্যতাই গ্রহণ করে না, বরং কাফেরদের সাদৃশ্যতাকে
নিজেদের জন্য গর্বের কারণ মনে করে, যা স্পষ্টতই হারাম।
একারণে পবিত্র হাদীস শরীফে অত্যন্ত প্রয়োজন ব্যতীত, অমুসলিমদের সাথে বসবাস করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
যেমন, আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন :
من جامع المشركين وسكن معه، فانه مثله –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ,আবু দাঊদ ২/৩৮৫)
হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
انا بريئ من كل مسلم يقيم بين اظهر المشركين، قالوا يا رسول الله! لم؟ قال لا ترئ اي نارهما-
“সেসব মুসলমানদের ব্যাপারে আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই, যারা অমুসলিমদের সাথে বসবাস করে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এর কারণ কি? তিনি উত্তরে বললেন, ইসলামের অগ্নি এবং কুফরীর অগ্নি উভয়টি এক সাথে থাকতে পারেনা। কোনটি মুসলমানের আগুন, কোনটি অমুসলিমের আগুন তোমরা তা পার্থক্য করতে পারবেনা”। আবু দাঊদ ৩/৪৫
আবু দাঊদ শরীফে মাকহূল (রহ.) থেকে মুরসাল রিওয়ায়াত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন : “নিজেদের সন্তান-সন্তুতিদেরকে অমুসলিমদের মাঝে ছেড়ে দিওনা”। (তাহযীবুস সুনান লি ইব্ন কায়্যিম ৩/৪৩৭)
একারণে ফুকাহায়ে কিরাম বলেন, শুধুমাত্র চাকরির উদ্দেশ্যে কোনো মুসলিম ব্যক্তির জন্য অমুসলিম দেশে বসবাস করা এবং তাদের সংখ্যায় বৃদ্ধি করা, এটি এমনি একটি কাজ, যার দ্বারা তার ন্যায়পরায়নতা
চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। (তাকমিলায়ে রাদ্দুল মুখতার ১/১০১)
২.যদি কোনো মুসলমান কোনো কঠিন অজুহাত ও বাধ্যবাধকতার কারণে অমুসলিম দেশে চলে গিয়ে বসবাস শুরু করে,যেমন,কোনো অপরাধ ছাড়াই তারা নিজ দেশে নৃশংসতা ও কারাবরণ করছে এবং এসব জুলুম থেকে বাঁচার অন্য কোনো উপায় না থাকে বা কোনো ব্যক্তি চরম অর্থনৈতিক সংকটের শিকার হয় এবং চেষ্টা সত্ত্বেও ইসলামী দেশে অর্থনৈতিক সম্পদ না পাওয়া যায় এবং তার নিজের ব্যাপারে পূর্ণ আস্থা থাকে যে,সে একটি অমুসলিম দেশে শরিয়া নিয়ম মেনে তার ধর্ম ও ঈমান রক্ষা করতে পারবেন এবং সে দেশে বিদ্যমান মুনকারাত ও অশ্লীলতার সাগরে ডুবে যাওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন। এমনিভাবে যদি স্ত্রী-সন্তানাদি সাথে থাকে তাহলে তাদের সম্পর্কেও এই আস্থা থাকা শর্ত। তাহলে এ পরিস্থিতিতে তার জন্য অমুসলিম দেশে বসবাস এবং সেখানকার নাগরিকত্ব অর্জন জায়েয। যেমনটা সাহাবায়ে কেরাম রাযি. তাদের স্বদেশে ধর্মের উপর ভিত্তি করে প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড ও পরিস্থিতিতে বিরক্ত হয়ে একটি অমুসলিম দেশে (আবিসিনিয়া) তাদের জীবন রক্ষার জন্য তাদের আশ্রয় নিয়েছিলেন।
৩.এমনিভাবে কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও জীবিকা উপার্জনের কোন সোর্স ব্যবস্থা করতে না পারে এবং অমুসলিম দেশে বৈধ চাকরি করার উদ্দেশ্যে সেখানে যায় তাহলে সেটাও বৈধ হবে। তবে শর্ত হলো, সেখানে ধর্ম পালনে বাধাপ্রাপ্ত না হতে হবে।কেননা, হালাল জীবিকা অন্বেষণ করাও ফরজ ইবাদতসমূহের পর একটি অন্যতম ফরজ কাজ। আর জীবিকা উপার্জনের জন্য ইসলাম কোনো জায়গাকে নির্দিষ্ট করে দেয়নি।বরং জীবিকা উপার্জনের ব্যাপারে ইসলামের ব্যাপক অনুমতি রয়েছে যে,যেখান থেকে ইচ্ছা করবে সেখান থেকে জীবিকা উপার্জন করতে পারবে।
যেমন কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে :
هو الذي جعل لكم الارض ذلولا فامشوا في مناكبها وكلوا من رزقه واليه النشور-
“আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন সুগম, সুতরাং তোমরা তাতে ভ্রমণ কর এবং তার দেয়া জীবিকা থেকে আহার কর, তোমাদেরকে তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে”। (সূরা মুলক, আয়াত, ১৫)
৪.এমনিভাবে কাফেরদের কাছে দ্বীনের দাওয়াত দিবে, কিংবা সেখানে বসবাসরত মুসলিমদেরকে ইসলামী হুকুম আহকাম শিক্ষা দিবে, কিংবা দ্বীনের উপর অটল অবিচল থেকে শরীয়তের বিধি-বিধান পালনের ব্যাপারে উদ্ধুদ্ধ করবে, এসব উদ্দেশ্যে সেখানে বসবাস করা শুধু কেবল জায়েযই নয়, বরং ছাওয়াবের অধিকারীও হবে। যেমন বহু সাহাবায়ে কিরাম এবং তাবেঈনগণ এধরনের নেক নিয়তে অমুসলিম দেশে বসবাস করছেন। যা পরবর্তীতে তাদের সুমহান জীবন চরিতের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গিয়েছে।
৬.মুসলমানদের উপর গর্ব করার জন্য দারুল ইসলামের উপর দারুল কুফরকে প্রাধান্য দেওয়া, যেন কাফেরদের জীবন ব্যবস্থার ন্যায় তাদের জীবন ব্যবস্থা হয়ে যায় কিংবা তাদের কালচার গ্রহণের জন্য অমুসলিম দেশে বসবাস করে, এসব উদ্দেশ্যে অমুসলিম দেশে বসবাস করা শরী‘আত অনুযায়ী সম্পূর্ণ হারাম।
যেমন হাদিসে এসেছে,
من تشبه بقوم فهو منهم. الحدیث.
(مشکاة المصابیح، کتاب اللباس، الفصل الثاني، ۲/۳۷۵، ط: قدیمی کراچی)
যে ব্যক্তি কোনো জাতির অনুকরণ করে সে তাদেরই একজন। মিশকাতুল মাসাবিহ 2/375
৭. অমুসলিম দেশে প্রথম থেকেই বসবাসরত একজন নওমুসলিম যার জন্য অন্য দেশে বসবাস করা কঠিন এবং সেই দেশে বসবাস করে ইসলাম পালনে বাধাপ্রাপ্ত না হয় তাহলে তার জন্যও সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
৮.চিকিৎসার জন্য অমুসলিম দেশে যাওয়া,প্রকাশ থাকে যে,এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন,যদি স্বদেশে এটি অসম্ভব হয় তবে অমুসলিম রাষ্ট্রে যাওয়া জায়েয।
৯.যতদূর শিক্ষার ক্ষেত্রে,এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর এবং গুরুতর বিষয়।স্পষ্টতই এর জন্য বাসস্থান প্রয়োজন। যে সকল অবস্থায় অমুসলিম দেশে আবাস গ্রহণ করা মাকরূহ বা হারাম সেসব ক্ষেত্রে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য যাওয়া এবং সেখানে বসবাস করা মাকরূহ বা হারাম হবে।
আর যে সকল অবস্থায় অমুসলিম দেশে আবাস গ্রহণ করা জায়েয সেসব ক্ষেত্রে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য যাওয়াও জায়েয হবে।
তবে এক্ষেত্রে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে হবে যে,যদি নিজ দেশে ধর্মীয়,জাগতিক শিক্ষাগত চাহিদা পূরণ করা যায়, তাহলে অবশ্যই এই নোংরা পরিবেশ থেকে দূরে থাকা উচিত। ফাতাওয়ায়ে বাইয়্যিনাত 3/372

Wednesday, September 20, 2023

জাপানে নবাগতদের জন্য

   জাপানে নবাগতদের জন্য

রচনা ও সম্পাদনাঃ ইমরান নুর মানিক
(দোয়ার দরখাস্ত রইল)

ক)আসার আগের নানাবিধ প্রস্তুতি গ্রহণ করার দিকনির্দেশনা

১। বিমানের টিকিট অনুযায়ী (পারলে লাগেজ ওজন করে) মালামাল লাগেজে ভর্তি করা।
২। হাত ব্যাগও মালামাল ভর্তির পর ওজন করে নেয়া আবশ্যক।
৩। কমপক্ষে ১,৫০,০০ থেকে ২,০০,০০০ ইয়েনের ব্যবস্থা করা।
- ইয়েন বাংলাদেশ থেকে কিনে আনতে পারে ( মানি একচেঞ্জ থেকে কিনতে হবে)
- অথবা জাপানে থাকা পরিচিত কারও মাধ্যমে ( তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলা টাকা দেশে প্রদান করে ) জাপানে ইয়েন বুঝে নিতে পারেন।
-মুদ্রা বিনিময় হার Payforex, JME remit , JRF Remit থেকে দেখে নিতে পারেন।
৪। এই ইয়েন আপনি নগদ আপনার সাথে (লাগেজে দিবেন না) বিমানে বহন করতে পারবেন।
৫। যেই বিমানে আসবেন, তাদের সাথে অবশ্যই ইমেলে কন্টাক্ট করে আপনার জন্য হালাল খাবারের ব্যবস্থা করে নিবেন।
৬। বিমান ছাড়ার কমপক্ষে ৪/৫ ঘন্টা আগেই বিমান বন্দরে টিকিটে উল্লেখিত সময়ে নির্ধারিত টার্মিনাল দিয়ে প্রবেশ করবেন। প্রথমেই আপনার লাগেজ, ব্যাগ ইত্যাদি কনভেয়ার বেল্টে দিয়ে চেক করা হবে । খ) বিমান বন্দর ৭। আপনার মোবাইলে যেন যথেষ্ট পরিমানে চার্জ থাকে, এ জন্য দরকার হলে পাওয়ার ব্যঙ্ক সাথে নিবেন।
৮। বিমানে, জাপানের বৈদ্যুতিক রেল এবং বিশ্বরোডের বাসে চার্জ দেয়ার ব্যবস্থা আছে । এজন্য  এদেশের চার্জার ক্যাবল এবং এডাপ্টার সাথে আনতে হবে।
৯। বিমান বন্দরে ঢোকার পর ট্রলি নিয়ে তাতে আপনার লাগেজ ও ব্যাগ বহন করতে পারেন। ট্রলির হাতলে চাপ দিয়ে চালাতে হয়।

১০। এরপর আপনার এয়ারলাইনের কাউন্টার খুজে টিকিট চেক করে নিবেন।এখান থেকে মুল টিকিট পাবেন। যেটা আপনার বোর্ডিং পাস হিসেবে গণ্য হবে।

১১। অতঃপর আপনার লাগেজ ওজন করে বুকিংএ দিবেন। লাগেজের সাথে হাত ব্যাগ ও মাপতে পারে। লাগেজে এবং আপনার পাসপোর্টে অবশ্যই বুকিং স্লিপ লাগাইয়ে দিবে।

১২। এরপর আপনার ইমিগ্রেশন পুলিশ বক্সে চেকিং সম্পাদন করতে হবে। .

১৩।যে সমস্ত কাগজপত্র বিমান বন্দরে চেক করে সেগুলি আর অন্যান্য ডকুমেন্ট এর কপি সাথে রাখবেন। এখানে কোন  কাগজ নিলে সচরাচর ফেরিত দেয়া হয় না। তবে হাতে সময় থাকলে ফটোকপি করতে পারবেন। ভেতরে ফটোকপি মেশিন আছে।

১৪। ফাইনাল চেকিং রুমে বিমানে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এজন্য এই রুমে ঢোকার আগেই অজু করে নামাজের ওয়াক্ত হলে নামাজ পরে নিবেন। আর হাত ব্যাগে ছোট জায়নামাজ রাখবেন, যদি বাইরে থেকে পড়া না যায় তাহলে রুমেই মধ্যেই পড়ে নিবেন।

গ) বিমান  ও অবতরণ

১। বিমানে ওঠার আগে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে।
২। সিট দেখে বসবেন। ট্রানজিটের পর নতুন বিমানেও সিট দেখে বসবেন।
৩। খাবার দেয়ার সময় জুস, মদ ইত্যাদি ফ্রি দেয়। সর্বাবস্থায় হারাম বর্জন করতে হবে। বিশেষ করে গোস্ত, জুস আর দুগ্ধজাত খাবার দিলে অবশ্যই জিজ্ঞেস করে নিতে হবে। টকিট কাটার সময়েই হালাল মিলের জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেন।

৪। অবতরনের পর, আপনাকে একটা ফর্ম পুরন করতে হবে , যেখানে আপনার থাকার ঠিকানা লেখা লাগবে। এই ঠিকানা আপনার ভিসা এপ্লিকেশনে লেখা থাকে। ( এক কপি এপ্লিকেশন নিজের সাথে রাখবেন।)
৫। ইমিগ্রেশনে আপনার চেহারা মিলিয়ে দেখবে, পার্ট টাইম জব করতে চান কি না জিজ্ঞেস করবে, হ্যা বললে আপনার রেসিডেন্স কার্ড ( zairyu card) এর উল্টা দিকে ২৮ ঘন্টা/সপ্তাহ ছেপে দিবে।

৬। আপনি কি জন্য জাপানে আসলেন জিজ্ঞেস করবে, আর Admission certificate দেখতে চাইতে পারে।
৭। এখান কার কাজ শেষ হলে, আপনার লাগেজ সংগ্রহ করবেন।
  ঘ) কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছান

১। সবচেয়ে ভাল হয় , দেশ থেকেই কে, কিভাবে , কার সাহায্যে গন্তব্যে পৌঁছাবেন সেটা ঠিক করে আসা। জাপানি ভাষা জান থাকলে অবশ্য ভিন্ন কথা।
২। বিমান বন্দর থেকে রেল/ বাস স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটতে হবে। দ্রুত পৌঁছার জন্য বৈদ্যুতিক ট্রেনে যাওয়াই সবচেয়ে ভাল। আপনার মোবাইলে ট্রেনের পুরা নেভিগেশন দেখে গন্তব্য ইস্টেশনে নামবেন। ট্রেনের মধ্যে ফ্রি ওয়াই ফাই থাকে।
৩। কেউ যদি আপনাকে নিতে আসে তাহলে আর কোন সমস্যা নেই। গন্তব্যে পৌঁছার আগে ট্রেনের মধ্যে নাস্তা করতে পারেন।
৪। গন্তব্যে পৌঁছার পর আপনার থাকার জায়গা বুঝে নিতে হবে। এসময় ভাড়া বাসা হলে, কি মানি, এক মাসের ভাড়া, ইন্স্যুরেন্সের টাকা  নগদ পরিশোধ করতে হতে পারে।  ( যার পরিমাণ সিঙ্গেল রুমের জন্য প্রায় ৮০,০০০ ইয়েন হতে পারে)
৫। রুমে ঢুকে, লক, ট্যাপ,বাথ্রুমের গরম-ঠান্ডা পানির প্রবাহ, লাইট, এসি ঠিক আছে কিনা দেখে নিন। ঙ)প্রথমিক প্রয়োজন

১। ✅ঘুমানর তোষক, গায়ে দেয়ার কম্বল, বালিশ, ✅রান্না করার জন্য গ্যাস/ইন্ডাকশন চুলা, ফ্রাইং প্যান, রাইস কুকার, থালা, গামলা, ✅চপিং বোর্ড, ছুরি , গ্লাস, রান্নার জন্য খুন্তি, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ✅ওয়াশিং মেশিন, ✅ফ্রিজ ।
এগুলোর মধ্যে অনেক বাসায় মালিকের পক্ষ থেকে মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন,ফ্রিজ ,ইন্ডাকশন চুলা দেয়া থাকে। যদি না থাকে তাহলে আসার পর যত দ্রুত সম্ভব এগুলির ব্যবাস্থা করা লাগবে।
২। রান্নার উপকরণঃ যদি হারাম মালে শরীর পরিপুষ্ট করে জাহান্নামের উপযুক্ত হতে না চান তাহলে বাইরের খাবার বাদ দিয়ে নিজে রান্না করে খেতে হবে।
এ জন্য লাগবে 
-গুড়া মসলা - হলুদ, মরিচ, জিরা,ধনে, গরম মসলা ( চাইলে দেশ থেকে আধা কেজি করে আনতে পারেন/ এখান থেকেও অনলাইন হালাল শপ/ সরাসরি যদি কোন শপ থাকে তাহলেসেখান থেকে কিনতে পারবেন )
-কাচা মসলাঃ রসুন, আদা,পেয়াজ ( বাটাও পাওয়া যায়। এগুলো দেশ থেকে আনা যাবে না।)
-রান্না সম্পর্কে প্রথামিক ধারনা থাকা দরকার,  তা-নাহলে হালাল খাবারের জন্য বহু কষ্ট হয়ে যাবে। ( প্রথমদিকে হয়ত দু এক বেলা দাওয়াত পেতে পারেন) চ) কোথায় পাবেন?

১। হাড়ি পাতিল - নতুন (কিনতে চাইলে নানা দামের পাত্র পেতে পারেন )Don Quijote (দঙ্কি নামে পরিচিত), সান ড্রাগ, দাইসো  ( এখান থেকে অল্প দামে অনেক ধরনের জিনিস পাবেন) থেকে নিতে পারবেন।
  
-পুরাতন Joy Plaza Takamatsu store  হতে পাবেন। তবে পুরাতন পাত্র নিলে অবশ্যই নাপাক থেকে পাক করার  তরিকায় পাক করে নিতে হবে। ( যেহেতু  কি ধরনের খাবার প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়েছে জানা নাই তাই অজ্ঞাত উৎসের জামা কাপড়ও পাক করেই ব্যবহার করতে হবে।)
২। জামা কাপড় ও বিছানাপত্রঃ এগুলি Akanoren Shizuokafujimidaiten,Fashion Center Shimamura তে পাবেন। জয় প্লাজা, সান্ড্রাগ, UniQlo,সেকেন্ড ইস্ট্রিট (second hand cloth shop) এগুলিতেও পাবেন।
৩। অন্যান্য খাবার দাবারঃ ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এমন convenient store যেমন- Family mart, ‘সেভেন eleven, minimini এগুলিতে হালাল খাবারের কিছু আইটেম পেতে পারেন কিন্তু দাম বেশি হবে। Big ( Aeon Big), Valor, Donki,MoM, গিয়েমু এগুলিতে সাক সবজি, মাছ, পেয়াজ, আলু, বেগুন, রসুন, ফল ইত্যাদি পাবেন। যাই কিনবেন হালাল কিনা দেখে নিবেন। এজন্য হালাল জাপান এর এপ ১৩০০ ইয়েন/বছর ব্যবহার করতে পারেন।


( আরও free app পাবেন, কিন্তু সেগুলোতে শুধু উপাদানের তথ্য থাকে, উৎপাদন প্রক্রিয়া নয়)

৪। হালাল শপঃ অনেক এলাকায় হালাল শপ থাকে সেখান থেকে গোস্ত ও অন্যান্য মসলা পাতি নিতে পারবেন। অনেক অনলাইন হালাল শপ থেকেও নিতে পারবেন। এক্ষত্রে একটা নির্ধারিত পরিমানের ওপরে গেলে কুরিয়ার চার্জ ফ্রি হয়। যেমন বাতিক্রম হালাল শপ। ( এখান থেকে সম্ভব্য দাম সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন)

ছ) যানবাহন

১। চলার জন্য কমপক্ষে একটা সাইকেল লাগবে।যদি স্কুটি, মটরসাইকেল, প্রাইভেট কার চালানোর ইচ্ছা থাকে তাহলে , বিমানে উঠার কমপক্ষে ৪ মাস আগেই দেশের লাইসেন্স পেতে হবে।

২। এখানে আসার আগেই ইন্টারন্যাশনাল লাইসেন্স আনতে হবে।
৩। এখানে এসে যদি পরীক্ষায় পাশ করেন তাহলে এদেশের লাইসেন্স পাবেন।
৫। সাইকেল রাস্তার বাম পাশে চলে, রাতের বেলায় অবশ্যই আলো জালায়ে রাখতে হবে, আর সবসময় মনে রাখতে হবে যে , ফুটপাথের তথা পায়ে হেতে চলা ব্যক্তির অগ্রাধিকার সবচেয়ে বেশি।
৬। বাসে চলাচলের সময় ঢোকার সময়ই টোকেন টেনে নিবেন, তারপর টোকেন অনুযায়ী ভাড়া দিবেন। অথাবা বাস/ট্রেন পাস বানিয়ে নিবেন।
৭। সাধারণত মোবাইলেই চলাচলের সকল দিকনির্দেশনা এবং সম্ভব্য ভাড়ার পরিমাণ ইয়াহু ম্যাপ, গুগোল ম্যাপে পেয়ে যাবেন।
৮।ডাস্টবিন এর জন্য আলদা করে পলিথিনের প্যাকেট (গমি ফুকুরো বলে পরিচিত)কিনতে হবে। Plastic. Bottle. Burnable আলাদা আলাদা জায়গায় ফেলতে হবে। জ)দেশ থেকে আনবেন

১। আপনার পোশাক ( যেগুলি এদেশে পাওয়া যাবে না ) যেমন: 📌পাঞ্জাবি, পায়জামা, টুপি, জায়নামাজ 📌three পিস, শাড়ী, (মহিলা হলে তাঁর যে পোশাক এ দেশে পাওয়া যায় না সেগুলি বিশেষ করে চুল বাধার সকল উপকরণ এখানে অত্যন্ত দামী) 📌লুঙ্গি, গামছা,তোয়ালে ইত্যাদি 📌কেটস ও মোজা ( ৩ জোড়া),ফর্মাল সু , কোট আনতে পারেন 📌বিছানার চাদর, 📌হালাকা শীতের পোশাক, চামড়ার মোজা ( শীত কালে ওজু করে পরা হলে, পরবর্তী অজুর সময় ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত পা না ধুয়ে মাসেহ করা যায় ) । ভারি শীতের পোশাক এখান থেকে কিনলেই ভাল হয়। ( বাংলাদেশের শীতের পোশাক এখানে বেশিরভাগসময়ই তেমন কাজে আসে না।) 📌ব্রাশ ( ৩/৪টা),পেস্ট ( ফ্যামেলি সাইজ), সুই সুতা, 📌গায়ে মাখা ক্রিম, লিপ জেল, কোল্ড ক্রিম, সাবান, 📌ছোট আয়না, বালিশ, 📌চশমা ( ৪/৫ জোড়া), নেইল কাটার, ব্লেড, 📌প্লাস্টিকের স্যান্ডেল, 📌বাজার করার কাপড়ের ব্যাগ, 📌ছোট ছাতা, 📌ছোট কেঁচি 📌পিঠে কম্পিউটার বহনের ব্যাগ ইত্যাদি।
২। মসলা ( প্রাগুপ্ত) ⏩হলুদ গুড়া,মরিচ গুড়া, ধনে গুড়া, ⏩জিরা, জিরা গুড়া, লবঙ্গ, ফল, দারুচিনি, ⏩গরম মসলা, গরম মসলার গুড়া, ⏩আদা রসুন পেস্ট (তবে কাচা হলে অনেক ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে আটকে দেয়), ⏩মাংসের মসলা, মাছের মসলা, মুরগির মসলা, ☠ কাচা মাল এনে ধরা পড়লে বিমাবন্দরে রেখে দিবে। কাজেই পেয়াজ, কাচা  ঝাল, রসুন, আদা, কাচা আম ইত্যাদি  না আনাই ভাল।
৩। দেশের শীতের পোশাক দামি হলেও, এখানে এসে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাল কাজ করে না। তাই শীতের পোশাক এখানে এসে নিলে ভাল। হালকা পোশাক যেমন ✍ফুল হাতা গেঞ্জি, ✍পোশাকের নীচে পরার পাতলা ট্রাউজার ইত্যাদি কেন লাগতে পারে.
৪। পেন্ডাইভ, হার্ড ডিস্ক আনতে পারেন, তবে কম্পিউটার এখানে এসে কিনলে ভাল। সেকেন্ড হ্যান্ড শপ যেগুলি জাপানিরা চালায় ( যেমন জান পাড়া-Janpara Shizuoka) সেখান থেকে নিতে পারেন। অথবা কিস্তিতেও কম্পানি থেকে কিংবা university coop থেকেও  নিতে পারেন।

৫। প্রয়োজনীয়  ওষুধ যেমন জ্বরের জন্য নাপা, নাপান এক্ট্রা, ✍আমাশয়, ক্রিমিনাশক, গ্রাস্ট্রিকের ওষুধ ✍হালকা এলারজি নাশক ইত্যাদি আনতে পারেন।
✍ব্যাথা নাশক জেল, মলম (আপনি যদি নিয়মিত কোন ওষুধ গ্রহণ করেন সেটা , প্রেসক্রিপশন সহ নিয়ে আসবেন।)
৬। ল্যাবের সুপারভাইজারের জন্য, আর আপনার টিউটরের জন্য দেশি কোন ছটখাট উপহার আনতে পারেন। যেমন বাহারি পার্স। নিজের জন্য আনার উপকরনের লিস্ট (নমুনা)

ঝ)পরিবারকে দ্রুত আনাতে চাইলে
বাচ্চা সহ থাকার জন্য ফ্যামেলি বাসা, সিঙ্গেল থাকার বাসা থেকে আলাদা হয়। নতুন করে বাসায় উঠতে গেলে অনেক টাকা একেবারেই দিয়ে দেয়া লাগে। তাই দুইবার টাকা না দিতে চাইলে প্রথমেই ফ্যামেলি বাসায় ওঠার চেষ্টা করবেন।

১। আপনি ভিজিট ভিসায় এনে পরে রেসিডেন্সির জন্য আবেদন করতে পারেন ( অনেক এলাকায় এই সুবিধা নাও দিতে পারে।)
২। COE এর জন্য আবেদন করে তারপর দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ( ৫ বছরের কম) আনতে পারেন। 👉বিস্তারিত COE (Dependent) Application in JAPAN

৩। এখানে আসার পর আপানার ব্যাংক একাউন্ট যত দ্রুত হবে, তত তাড়াতাড়ি মোবাইল নিতে পারবেন। ৬ মাসের আগে rakuten ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন না করাই ভাল। আর ৬ মাসের আগে, JRF Remit, Payforex থেকে সরাসরি টাকা পাঠাতে পারবেন, জমা করে নয়।
৪। যখন ওয়ার্ড অফিসে যাবেন দ্রুত My number Card  করে ফেলবেন। অনেক সময় এই কার্ডের  সৌজন্যে প্রায় ২০,০০০ ইয়েন পাওয়া যায়। আর ফ্যামেলি আনার জন্য জুমিন হ তুলতে গেলে এই কার্ড লাগবে।

ভালভাবে ০৩,০৪ বা ০৫ বছর অতিক্রান্ত করার জন্য আপনি নিজেই কিছুদিনের মধ্যে অনেক কিছুই শিখে যাবেন, এর পাশাআশি কিছু বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই-

১। কখনই বাংগালি অবাংগালি কারও নিন্দা, দোষচর্চা তথা গীবত শুনবেন না আর করবেনও না।

২। যদি কেউ অপছন্দনীয় আচরণ যেমন আপনার সামনে অন্যের দোষচর্চা , অযাচিত কথা কাজ ইত্যাদি করে তাহলে পারলে তাকে সংশধন করান নইলে স্রেফ দূরত্ব বজায় রেখে চলুন।

৩। জাপানি কারও কাছে অন্য জাপানি কিংবা বাংগালির খারাপ কোন বিষয় উল্লেখ না করা বিশেষ করে নিজেদের মধ্যে যে সকল দন্দ সেগুলির ব্যাপারে তাদের না জানানো।

৪। যেখানে আপনার কাজ করা লাগবে , সেখানে বস সম্পর্কে কোন নেতিবাচক কথা কোন জাপানিকে না বলা।

৫। রমযান মাসে সবাই একসাথে কাজ শেষ করা। বসকে ঝুশি করতে গিয়ে অতিরিক্ত কাজ করে অন্যের ধর্ম পালনে অসুবিধা সৃষ্টি না করা।

৬। এদেশীয় মাছ খাওয়ার অভ্যাস করা তাহলে গোস্তের প্রতি আগ্রহ কম থাকবে। ভেলর ( শনি/রবিবার সকাল ০৯ টার দিকে গিয়ে মাছ কিনে কেটে নিতে পারবেন) মম এ বড় মাছ, আর এয়ন বিগে চিংড়ি ও ছোট মাছ পেবেন।

৮। অনেক সময় ছাড় পাবেন ( ১০,২০,৩০,৫০%) ছাড়ের স্টিকার চেনা ( সাধরন্ত হালকা লাল রঙের স্টিকার বারকোডের কিংবা প্যাকেটের গায়ে লাগান থাকে।

৯। ট্রান্সলেটর হিসেবে গুগলের পাশাআশি জাপানে যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং বেশ ভাল কাজ করে Deepl Translator কাজেই এটা ব্যবহার করাই ভাল।

১০। প্রথমে আপনার বডি ক্লক ঠিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। ফলে খুমের শিডিউল হয়ত এলোমেলো হয়ে যাবে। কিছুদিন পরেই শরীর এটা মানিয়ে নিবে।

ঞ)মুসলমান হলে অবশ্যই ঈমান রক্ষা করা !

মুসলিম হিসেবে ঈমান টিকিয়ে রাখার জন্য হালাল খাবারের ক্ষেত্রে কোন আপোষ করা যাবে না। জুম্মার নামাজ, মুসল্লা ( মসজিদ) কেন্দ্রিক উঠাবসা করলে ভাল, নইলে কুছুদিন পর থেকেই নিজের জীবন হতে ইসলাম বিদায় নেয়া শুরু করবে। পরবর্তী বংশধর আল্লাহ না করুন, নাস্তিক হবার ব্যাপক সম্ভাবনা আছে।

(বলা হয় অমুসলিম দেশে বসবাসরত মুসলিম পরিবারে জন্মানো সন্তানেরা প্রতি ৪০ বছরে ২৫% হারে নাস্তিক হয়ে যায়)

এটা বড়ই দুঃখজনক যে, ঈমানের দৌলত যা বংশপরম্পরায় লাভ হয়েছিল সেটা পরবর্তী প্রজন্ম থেকে হারিয়ে চিরিস্থায়ী জাহান্নামের বাসিন্দা হয়ে গেল। সুতরাং অমুসলিম দেশে আসার জন্য প্রয়োজনীয় মাসলা মাসায়েল যেমন; হালাল-হারাম খাদ্য ও উপার্জন সম্পর্কে যথা সম্ভব বিস্তারিত জেনে জায়েন।

পুরুষ মানুষ অমুসলিম দেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই শাদী মোবারক করে নিয়েন। তাছাড়া সেখানে গেলে লাল, হলুদ চামড়া বের করা ললনাদের থেকে নজরের হেফাজত কঠিন হয়ে যাবে। চোখের সামনে যখন স্বল্পদৌর্ঘ পোশাক পরিহিত উজ্জ্বল চামড়ার নারী চলাচল করবে, আর ক্ষুধার্ত অবস্থায় যখন সামনে হারাম ও সন্দেহ যুক্ত খাবার এবং জীবিকার প্রয়োজনে যখন সামনে হারাম ও সন্দেহ যুক্ত কাজের সুযোগ আসবে তখন ঈমানের টালমাটাল অবস্থায় উপনীত হবার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে।
নামজের সময় সূচি জানার জন্য বাংলাদেশ হতে পরিচালিত এই দুটি app ব্যবহার করতে পারেন।
  

Saturday, September 16, 2023

Common Courtesy:Lesson for All

 যে কথাগুলো আপনাকে কেউ মুখ ফুটে বলবে না

-লিখেছেন শামসুল হক রাহমানী
যদিও স্থুল, কিন্তু এগুলো আপনার ব্যক্তিত্বকে আহত করে। দেখে নিন এমন কোন বদ অভ্যাস আপনার মাঝে আছে কিনা! থাকলে পরিহারের ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে।

- জন সম্মুখে নাকের ময়লা পরিষ্কার করা। (অনেক সময় আলচনা সভায়ও এমন করা হয়ে থাকে)
- নাকে বা মুখে আঙ্গুল ঢোকানো।

- দাঁত দিয়ে নখ কাটা।

- সর্দি অবস্থায় মানুষের সামনে বারবার নাক টানতে থাকা ও নাক ঝাড়তে থাকা।

- গাড় কফ কাশি স্বশব্দে জনসম্মুখে বের করা।

- মানুষের সামনে কিংবা খানার মজলিসে স্বশব্দে ঢেকুর তোলা।

- খাবার চাবানোর সময় চপ চপ শব্দ করা। দু'ঠোঁট বন্ধ করে চাবালে আওয়াজ হয় না।

- সড় সড় শব্দে ডাল চুমুক দিয়ে খাওয়া। ঠোঁটটা একটু বড় করে বাতাসের সাথে ধীরে ধীরে ডাল টেনে খেলে শব্দ হয় না।
কোন দাওয়াতে বা অপরিচিত মানুষের সামনে খাবার খেলে মাথা, হাড়, কাঁটা এ জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা যে খাওয়ার পদ্ধতিটা যেন দৃষ্টিকটু না হয়।
খাবার খাওয়ার সময় প্লেটের কান্দাটা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করা। খাবারের মাঝে মাঝে কয়েকবার আঙ্গুল দিয়ে কান্দাটা পরিষ্কার করে নেয়া।

- অনেকে পরিবার বা বাচ্চাদের সামনে কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সামনে ঠাট্টাচ্ছলে শব্দ করে বায়ু ত্যাগ করে। এটি অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ। একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ কখনো এমনটা করতে পারে না।

- পোশাক পরিচ্ছদের মাধ্যমে আপনার রুচি ও ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। পোশাক দামি হওয়া জরুরী নয়; বরং রুচিশীল এবং পরিচ্ছন্ন হওয়া আবশ্যক।


- জুতা স্যান্ডেল সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখা। অনেকের স্যান্ডেল দেখলে মনে হয় বছরেও মনে হয় একবার মোছেনি। অপরিচ্ছন্ন থাকা কোন বুযুর্গী নয়।
প্রতিবার ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্বে জুতা স্যান্ডেলের উপরিভাগ এবং পার্শ ভালো করে মুছে পরিষ্কার করে তারপর পায়ে দেয়া। প্রয়োজনে ভেজা কাপড় ব্যবহার করা। চামড়া হলে মাঝে মাঝে কালি করানো।
এক জায়গায় দশটি জুতো থাকলে আপনি সেগুলো দেখে প্রত্যেকের রুচি ও ব্যক্তিত্ব মাপতে পারেন।
জুতা স্যান্ডেল আমরা বছরে দু'একবার কিনে থাকি। তাই একটু ভালো দেখে কেনা উচিত।
তবে নিয়মিত ঘর থেকে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় সাধারণ চপ্পল পরে যাওয়া ভালো।
দামি জুতা নিয়ে মসজিদে গেলে নিজের সামনের বক্সে সেটিকে হেফাজতের সাথে রেখে নামাজ পড়া।

- ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্বে দেখে নিন
আপনার দাঁত ময়লা নয় তো!
আপনার চোখের কোনায় ময়লা জমে নেই তো!
আপনার মুখ থেকে কিংবা শরীর থেকে দুর্গন্ধ আসছে না তো!
আপনার নাকের কোন পশম বাইরে বেরিয়ে নেই তো!
বাহ্যিকভাবে অনেক সম্মানিত ব্যক্তিদের দেখেছি, কাছে গেলে শরীর থেকে দুর্বন্ধ আসে। কথা বললে মুখ থেকে গন্ধ বের হয়। মানুষ এ সকল বিষয় প্রচন্ড ঘৃণা করে। কিন্তু কেউ মুখ ফুটে বলে না। তাই নিজস্ব ব্যক্তিত্ব রক্ষার্থে নিজেকেই সচেতন থাকতে হবে।

যাদের মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যা আছে অথবা লম্বা জার্নিতে কয়েকটি এলাচ পকেটে রাখা যেতে পারে। এলাচ থেকে একটি বিচি বের করে চাবিয়ে নিলে তৎক্ষণাৎ মুখের দুর্গন্ধ চলে যায়।

একটি পোশাক সাধারণত তিন দিনের বেশি পরা ঠিক নয়।
সপ্তাহে অন্তত দুবার পোশাক পরিবর্তন করা চাই।
কিন্তু ভেতরের গেঞ্জি প্রতিদিন পরিবর্তন করা চাই।
শরীরের দুর্গন্ধ সাধারণত গেঞ্জি থেকে আসে। প্রতিদিন গোসলের সময় লুঙ্গির সাথে গেঞ্জিটিও অন্তত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা উচিত। গোসলের পর পরিষ্কার অন্য গেঞ্জি পরা উচিত। শরীরে সাবান দেয়ার পর গায়ের সেই গেঞ্জি দিয়ে শরীর ডললে শরীরের সাথে সাথে গেঞ্জিটিও পরিষ্কার হয়ে যাবে। সোজা কথায় এক গেঞ্জি দুইদিন পরা যাবে না। আর আমাদের দেশের আবহাওয়া যেহেতু আদ্র তাই এখানে প্রতিদিন গোসল করা জরুরী। গোসলের সবচেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত সময় হলো সকালে। কিন্তু যারা পরিশ্রমের কাজ করে ঘর্মাক্ত হয় তাদের জন্য কাজ শেষ করে গোসল করা উচিত। গোসলের পর রেক্সোনা জাতীয় বস্তু বোগলে ব্যবহার করলে দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

- বসা থেকে ওঠার সময় জামার পেছনের অংশের প্রতি খেয়াল রাখা চাই।
অনেকের বসা থেকে দাঁড়ানোর পর জামার পেছনের অংশ শরীরের অভ্যন্তরে ফেঁসে থাকে। তার কোন খবরই থাকে না। নির্দ্বিধায় নিজের কাজকর্মে ব্যস্ত থাকে। এমন বেখেয়াল না হওয়া চাই।

- গেঞ্জি বা শার্ট এর সাথে লুঙ্গি পরে অনেকে মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। সেজদা রত অবস্থায় পেছনের দৃশ্যটি যদি তাকে ছবি তুলে দেখানো যেত তাহলে সে লজ্জায় মরে যেত। "শ" এর শরীর স্পষ্ট রূপে ফুটে ওঠে। সিজদারত অবস্থায় পেছন থেকে এটি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। তাই মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে পাঞ্জাবী পরে যাওয়াটাই উত্তম।

- অনেকে গেঞ্জি শার্ট এর সাথে এমন প্যান্ট পরে যে বসা অবস্থায় "ষ" এর এক-তৃতীয়াংশ বেরিয়ে পড়ে
পেছনের মানুষরা লজ্জায় পড়ে যায়। অথচ নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত সতর এর অংশ। ঢাকা ফরয।
এ বিষয়গুলো সন্তানদের এবং ছাত্রদের ছোটকাল থেকেই শেখানো উচিত।

এমন কোন বিষয় ছুটে গেলে কমেন্টে যুক্ত করে দিতে পারেন।

Thursday, September 7, 2023

COE (Dependent) Application in JAPAN: জাপানে ডিপেন্ডেন্ট COE

জাপানে বসবাসরত চাকুরীজীবী, ছাত্র তাঁর পরিবারকে  চাইলে দীর্ঘ সময় ( ৫ বছরের থেকে কম) এর জন্য আনতে চাইলে অবশ্যই COE   দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। 

COE ( Certificate Of Eligibility)  জাপান থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এজন্য লাগবে-

১। একটা Appropriately filled COE application form 
২। Supporting Documents

ফর্ম বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যায় Application and Required documents
আমি নিয়েছিলাম এই ওয়েবসাইট থেকে: PDF Excel


Steps

1. Download the application form. 
2. Prepare the necessary documents. 
3. Apply for a COE at the Immigration Bureau. 
4. Receive the COE from the Immigration Bureau. 
5. Send the COE via international express mail to your family in your home country. 
6. With the COE, family members can apply for a visa at the Embassy of Japan in your home country.

Required documents
  • 1. Application Form for each member of your family
  • 2. A copy of your Passport (photo page, visa page, and landing permission page)
  • 3. A copy of your spouse’s/children’s Passport (photo page)
  • 4. A copy of your Resident Card (both sides)
  • 5. One Photo for each member of your family (4 cm x 3 cm)*
  • 6. Certificate of Enrollment
  • 7. Certificate of Scholarship
  • 8. A copy of the official marriage certificate in your native language
  • 9. A copy of the official marriage certificate translated into English
  • 10. A copy of your official birth certificate in your native language
  • 11. A copy of the official birth certificate translated into English
  • 12. Self-addressed and stamped envelope** (affix a 404 yen stamp for registered mail)

*The photo must have been taken within three months prior to submission.

**Please prepare an envelope; also, please purchase a stamp (404 yen) at a convenience store or post office.

  • Please do NOT staple or fold any document.

কাগজপত্রের বিস্তারিত ব্যাখ্যা
Bangladesh থেকে লাগবে

1. Marriage certificate (ইংরেজিতে। মুল কপি এবং একটা সত্যায়িত ফটোকপি । দুইটাই স্ক্যান করে নিবেন। স্ক্যান করে ছবি আকারে নিয়ে সেটাকে পিডিএফ বানিয়েও প্রিন্ট করে নিতে পারেন।) প্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। ( সাথে করে মূল কপি নিতে পারেন, দেখতে চাইলে দেখাবেন। মুল কপি জমা দিলে ফেরত পাওয়া যাবে না।)

2. Nikhanama (বাংলা ইংরেজিতে দুইটাই স্ক্যান করে রঙিন প্রিন্ট দিয়ে নিবেন।) প্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। ( সাথে করে মূল কপি নিতে পারেন, দেখতে চাইলে দেখাবেন। মুল কপি জমা দিলে ফেরত পাওয়া যাবে না।)

Notary Public: যদি নোটারি করেন, তাহলে সেটাও দিতে পারেন ( তবে অনেক সময় , তিন মাসের বেশি পুরাতন নোটারি গ্রহণ যোগ্য নাও হতে পারে।) প্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। ( সাথে করে মূল কপি নিতে পারেন, দেখতে চাইলে দেখাবেন। মুল কপি জমা দিলে ফেরত পাওয়া যাবে না।)

3. Passport(wife And Children) (সামনের পেইজের ছবি ; পেইজ ০১ ,০২।  যেখানে পাসপোর্ট নাম্বার ছবি সহ অন্যন্য তথ্য আছে সেই পাতার ছবি তুলে দিতে হবে। ছবি কে পিডিএফ বানাতে হতে পারে। রঙিন প্রিন্ট দিয়ে নিবেন) প্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। 

4. Pic(2-3 copy:wife and children) (পাসপোর্টে যেমন ছবি আছে, তেমন করে ভিসার জন্য ছবি তুলতে হবে। আপনি দেশের ছবির সফট কপি নিয়ে জাপান থেকে ( Family Mart থেকে) সহজেই প্রিন্ট করে নিতে পারবেন)
ভিসার ছবির কিছু বৈশিষ্ট:One Photo for each member of your family (4 cm x 3 cm) 

5. Family certificate :ইংরেজিতে ইউনিয়ন কাউন্সিল অফিস থেকে ফরম্যাট বানিয়ে নিয়ে গিয়ে সিল সাক্ষর দিয়ে আনতে হবে। মূল সার্টিফিকেট স্ক্যান করে রঙিন প্রিন্ট দিয়ে নিবেন।প্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। ( সাথে করে মূল কপি নিতে পারেন, দেখতে চাইলে দেখাবেন। মুল কপি জমা দিলে ফেরত পাওয়া যাবে না।)

6. Birth certificate 
(যদি বাচ্চা থাকে   আর বাচ্চার COE form যদি জন্ম নিবন্ধন নাম্বার লিখে থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই বাচ্চার বাংলা এবং ইংরেজি দুটো ফরম্যাটে বার্থ সার্টিফিকেট দিতে হবে।
 প্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। ( সাথে করে মূল কপি নিতে পারেন, দেখতে চাইলে দেখাবেন। মুল কপি জমা দিলে ফেরত পাওয়া যাবে না।)

জাপান থেকে সংগ্রহ করতে হবেযিনি জাপানে আছেন তাঁর  

1. MEXT Scholarship certificate (Gakumo Gakari-University office) মূল টা জমা দিতে হবে

2. Enrollment (Admission) certificate (Gakumo Gakari-University office or Machine) মূল টা জমা দিতে হবে

3. Zairu card (Both sides- Scan and print) প্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। 

4. Student ID card (University; Both sides- Scan and printপ্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। 

5. Health card (Ward office -Both sides- Scan and print) প্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। 

6. Bank statement (Last six months. আপনার পাস বুকের  ট্রান্সাকশন পেইজের ছবি তুলে/স্ক্যান করে পিডিএফ করে নিতে পারেন) প্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। 

7. 
Juminho( Residence certificate) (Ward office (300 yen for one copy)/ convene center-অলিখিত মেয়াদ তোলার পর থেকে ০৩ মাসমূল টা জমা দিতে হবে।

8. My number card (Ward Office; Both sides- Scan and printপ্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। 

9. Passport( husband/Wife:(photo page, visa page, and landing permission page) (যদি পুরাতন পাসপোর্ট থাকে তাহলে সেটারও পেইজ গুলির ছবি দিতে হবে।) প্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। 

10. Visa copy (husband/Wife) প্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। সাধারণত  ভিসা আর ল্যান্ডিং পারমিশন পাশাপাশি থাকে। সেক্ষেত্রে একত্রে স্ক্যান করে প্রিন্ট দিতে পারেন। 

11. Landing permission page (husband/Wife যদি থাকেরঙিন প্রিন্ট দিয়ে নিবেন
সাধারণত ভিসা পেইজের সাথের পেইজে ল্যান্ডিং পারমিশন থাকে ( কাজেই এই দুই পেইজ একসাথে প্রিন্ট করে নিতে পারেন।)

12. NID (husband/Wife) (সাথে নিতে হবে। লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করে, দরকার হলে দিতে হবে।) প্রিন্ট করা স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। 













Sample








Sample pdf 1
COE দেশে পাঠানো  ( যদি ই-মেইলে COE পান তাহলে মেইল ফরওয়ার্ড করলেই হবে আশা করা যায়)

📍সব ঠিক থাকলে আবেদন জমা দেয়ার পর COE পেতে অফিসিয়ালি সময় লাগার কথা ০৩ সপ্তাহ। কিন্তু অফিস এবং এলাকা ভেদে ০৩ মাস  (৯০ দিন)পর্যন্ত ( কিংবা এর চেয়েও বেশি) সময় লাগতে পারে।

📍COE পাওয়ার পর জাপান পোস্টের মাধ্যমে নরমাল  ( ৩৪০ ইয়েন) অথবা EMS (1900~2000¥) কিংবা অন্য কোন ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ারে পাঠাতে পারেন। EMS এর সাথে ইন্সুরেন্স করে দিলে আরও ৫০০¥ লাগতে পারে।

📍নরমাল  এবং EMS  দুটোই প্রায় ৭~১৫ দিন বা এর কাছাকাছি সময়ে বাংলাদেশে পৌছায়। EMS  করলে আপনি ট্রাকিং করতে পারবেন। (যেমন নীচের নমুনা দেখতে পারেন।)




কন্নিচিউওয়া

ভিসা আবেদনের জন্য লাগবে


Dependent (Dependent, long-term residence)
কোন কাগজে এবং ছবিতে পিন মারা যাবে না। যতজন আবেদন করবেন,
প্রত্যেকের জন্য এক সেট ডকুমেন্ট  মূল এবং 
এক সেট ডকুমেন্ট ফটোকপি আলাদা ফাইলে করে নিতে হবে। নিচে একটা ছবি আকারে লিস্ট দেয়া আছে।
1. Application form (পুরন করে প্রিন্ট দিয়ে নিয়ে যাবেন। সাথে ব্লাঙ্ক একাধিক ফর্ম নিতে পারেন। যদি পুরন করার প্রয়োজন হয়  সেজন্য।)
2. Valid Passport and Photocopy যিনি আসবেন তাঁর/তাদের সবার মূল পাসপোর্ট এবং তাঁর ফটোকপি
3. Old Passport (if any) and Photocopy 
4. One Photo (2 inch X 1.4 inch) 
5. Certificate of Eligibility (COE) এবং এর একটা স্ক্যান কপি রঙিন প্রিন্ট দিয়ে নিবেন
6. Special Marriage Certificate, Hindu/Christian/Buddhist Marriage Registration/ Nikahnama (Bangla, English both) from Legal Marriage Registrar (কাবিন নামা, ইংরেজি নিকাহ নামা, ইংরেজি ম্যারেজ সার্টিফিকেট, নোটারী পাব্লিক) 
7. School certificate (if any) ( যিনি ভাইভা দিতে যাবেন তাঁর অনার্স, মাস্টার্সর সার্টিফিকেট এবং ফটোকপি)
8. Family certificate issued by a governmental institute from Bangladesh (if any) (ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া ফ্যামেলি সার্টিফিকেট এবং তাঁর ফটোকপি)
9. Passport copy of spouse who is in Japan including all visa pages (জাপানে অবস্থানরত স্বামী/স্ত্রী র )
10. Zairyu Card copy of guarantor/spouse (জাপানে অবস্থানরত স্বামী/স্ত্রী র )
11. Airline Booking Slip (যিনি জাপান আসবেন তাঁর )





Required additional documents (Original & Photocopy)

1. Bank Statement for 6 months (applicant, guarantor, other)
2. Tax-Income certificate & paid amount receipt (Personal, Company) for 1/2/3 years
3. Old Passport (Original, Photocopy of all pages, Identification pages, All used pages)
4. Eligibility certificate
5. Employment Certificate (Applicants, Others)
6. Birth Certificate (applicant, others)
7. Valid Airlines Booking slip, Hotel booking documents
8. National ID Card (Applicant, Others)
9. Invitation letter, Guarantee letter, Details visit Schedule using MOFA format (Original, PDF)
10. Family Registration Certificate, so-called" Koseki To-hon" of Japanese Relatives. 
11. Resident Certificate, so-called "JYUMINHYO" of (guarantor, other)
12. Marriage Certificate, Nikahnama, Affidavit of Marriage in English, Bangla from Kazi
13. Company Registration of Japanese Company (It is called To-Kibo To-hon)/Trade License of Bangladesh
14. Document certifying company activities (Brochures, Leaflets, Newspaper Clippings, Company photos, etc.)
15. Document explaining up to marriage, Marriage Photos with family members.
16. Payment receipt (Japan side) and remittance receipt (Bank in Bangladesh)
17. Academic Certificate, Registration Card, Marksheets of S.S.C, H.S.C, Bachelor or Masters.
18. Family tree with necessary Passport copy/NID/Nikahnama to prove the relationship with guarantor or guarantor's family members.
Others:
19. Student ID Card (Guarantor)
20. Certificate  (Guarantor)

কাগজের দুই সেট এভাবে সাজিয়ে নিতে পারেন



ভাইভার জন্য প্রশ্ন ( একেক জনের জন্য একেক রকম হতে পারে)
❓পাসপোর্ট নাম্বার কত?
❓শ্বশুর- শ্বাশুড়ির নাম কি?
❓Husband Japan  এ কোথায় থাকে?
❓কেন গেছে? 
❓দেশে কি করত?
 ❓উনি কি ছুটি নিয়ে গেছে নাকি চাকরি ছেড়ে গেছে? (যদি দেশে চাকরি করত তাহলে)
❓বিয়ে কবে হয়েছে?
❓বাচ্ছা কবে হয়েছে?
❓আপনি কি করেন?
❓আপনি কেন জাপান যাবেন?
(স্বামীর সাথে থেকে উনাকে মেন্টাল সাপোর্ট দেয়ার জন্য।)
❓আপনার পরিবারের আর কেউ জাপানে থাকে?

জাপানে আসার পর

জাপানে আসার পর
-ওয়ার্ড অফিসে গিয়ে আপানার জাইরু কার্ডে ঠিকানা বসায়ে আনতে হবে। (বাসা চেঞ্জ করলে জাইরু কার্ড এবং মাই নাম্বার কার্ডের জন্য প্রযোজ্য হবে।)
- ইন্স্যুরেন্স চেঞ্জ করতে হবে।৩০০০ ইয়েন হবে। (২০২৪)
- বাচ্চা থাকলে বাচ্চার জন্য মাসিক ভাতার আবেদন করতে হবে।
- বাচ্চার স্পেশাল হেলথ কার্ড করতে হবে। ( এজন্য বাবা মা র মাই নাম্বার কার্ড লাগবে)
মাই নাম্বার কার্ডের জন্য একটা কাগজ ( ১৫ দিন পর বাসার ঠিকানায় আসে) আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
- ওয়ার্ড অফিসে বইয়ের প্রমান পত্র হিসেবে অরিজিনাল ম্যারেজ রিলেটেড ডকুমেন্টস দেখাতে হতে পারে।
- পাসপোর্টে অনেক সময় স্বামী/ স্ত্রী র নাম থাকে । আর বাচ্চার পাসপোর্টে বাবা মার নাম থাকে।
-ওয়ার্ড অফিসের কাজ শেষ করে, জাউরু কার্ড ও পাসপোর্ট নিয়ে ইমগ্রেশন অফিসে যেতে হবে। সেখান থেকে পার্ট টাইম জবের অনুমতি নিতে হবে।
- এরপর ব্যাংক একাউন্ট যত দ্রুত হবে, তত তাড়াতাড়ি মোবাইল নিতে পারবেন। ৬ মাসের আগে rakuten ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন না করাই ভাল। আর ৬ মাসের আগে, JRF Remit, Payforex থেকে সরাসরি টাকা পাঠাতে পারবেন, জমা করে নয়।