Sunday, May 4, 2025

জাপানে যেভাবে স্কুটি লাইসেন্স পাবেন (Scooter, Moped, and Gentsuki License in Japan: with no previous license)

 



  1. প্রথমে কাছের কোনো পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আবেদন করতে হবে
    ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে, প্রথমে আপনাকে আপনার কাছের কোনো পুলিশ স্টেশনে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য এটি প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

  2. এরপর সরাসরি ড্রাইভিং সেন্টারে যেতে হবে রিটেন পরীক্ষার জন্য
    একবার আবেদন করার পরে, পরবর্তী ধাপে আপনাকে সরাসরি ড্রাইভিং সেন্টারে যেতে হবে রিটেন (লিখিত) পরীক্ষার জন্য। তবে, যদি ড্রাইভিং সেন্টারে পরীক্ষার জন্য অনলাইনে রিজার্ভেশন নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনাকে আগে অনলাইনে রিজার্ভেশন করে নিতে হবে, এবং পরে ড্রাইভিং সেন্টারে যেতে হবে। পরীক্ষার দিন এবং সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আবেদন ফরমে উল্লেখ থাকবে, তাই সেই অনুযায়ী সেন্টারে উপস্থিত হতে হবে।

  3. ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে
    লিখিত পরীক্ষাটি ১০০ নম্বরের হবে, যেখানে Chubu Driving License Center, Shizuoka Prefecture-এ ৪৮টি প্রশ্ন ছিল। এর মধ্যে ৪৬টি প্রশ্নের জন্য প্রতি প্রশ্নে ২টি মার্কস এবং ২টি প্রশ্নের জন্য প্রতি প্রশ্নে ৪টি মার্কস দেওয়া হয়। পরীক্ষা মোট ৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। পরীক্ষার পরে কিছু সময়ের মধ্যে আপনি ফলাফল পেয়ে যাবেন। পরীক্ষার দিন প্রথমে গিয়ে চোখ পরীক্ষা করা হবে, যাতে সিগনাল কালারগুলি সঠিকভাবে দেখতে পাচ্ছেন কিনা তা পরীক্ষা করা হয়।

  4. পরীক্ষায় পাস করার পর একটি প্রাকটিক্যাল কোর্স করতে হবে
    লিখিত পরীক্ষায় পাস করার পর, আপনাকে একটি প্রাকটিক্যাল কোর্স করতে হবে, যা আসলে গাড়ি চালানোর জন্য বাস্তব শিক্ষা দেয়। এটা মনে রাখতে হবে যে, রিটেন পরীক্ষার আগেও আপনি এই কোর্সটি করতে পারেন। কোর্সের জন্য, ড্রাইভিং সেন্টার থেকে যেই ফোন নম্বর দেওয়া হবে, সেই নম্বরে কল করে আপনার কোর্সের জন্য রিজার্ভেশন করতে হবে। কোর্সটি খুব সহজ এবং প্রায় ৩.৫ ঘণ্টার সময় নেবে। কোর্সের মধ্যে, কিছু সময় জাপানিজ ভাষায় নির্দেশনা দেওয়া হবে এবং পরে বাস্তবে গাড়ি চালানোর প্র্যাকটিস করানো হবে। কোর্স শেষ করার পর, একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, যা আপনি সেন্টারে জমা দিলে আপনার লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।

পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বই
আপনি যদি লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে চান, তাহলে দুটি বই উপকারী হতে পারে।
প্রথম বইটি কিছুটা বড়, তবে এক-দুইবার পড়লে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। দ্বিতীয় বইটি এক-দুবার পড়লে সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব, তবে প্রথম বইটি পড়া শুরু করলে বিষয়গুলো বুঝতে অনেক সহজ হবে। প্রথম বইয়ে সবকিছু ছবি সহ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

বই ১: লিংক
বই ২: Rules of the Road (এটি Amazon-এ পাওয়া যায়)


First, you need to visit a nearby police station to apply.

To apply for a driving license, the very first step is to visit your nearest local police station. There, you will need to complete and submit an official application form to formally begin the licensing process. This initial step is crucial to get started.

Next, you will need to go directly to the driving center for the written test.

After submitting your application at the police station, the next step is to proceed directly to the designated driving center to take the written (theoretical) examination. However, it's essential to verify if the driving center requires advance online reservations for the written test. If online booking is necessary, make sure to complete the reservation process before traveling to the center. Your initial application should indicate the specific date and time you are scheduled to arrive for the test.

The written test is a 100-point exam.

The written examination is graded out of a total of 100 points. Specifically, at the Chubu Driving License Center in Shizuoka Prefecture, past exams have consisted of 48 questions. Among these, 46 questions were worth 2 points each, and the remaining 2 questions carried a weight of 4 points each. You will be allotted 30 minutes to complete the test. The results will be announced shortly after the examination concludes. On the day of the test, before the written portion, you will first undergo a preliminary eye examination to confirm your ability to accurately distinguish traffic signal colors.

If you pass the written test, you need to complete a practical course.

Upon successfully passing the written examination, the subsequent requirement is to complete a practical driving course. This course provides hands-on instruction on how to operate a vehicle safely and correctly. It's worth noting that in some cases, you might be able to take this practical course even before attempting the written test, so it could be something to inquire about. To enroll in the practical course, you will need to contact the driving center using the phone number they provide to make a reservation. The course typically lasts around 3.5 hours and involves instruction given in Japanese, followed by practical demonstrations and exercises in driving. After you successfully complete the practical course, you will be awarded a certificate, which you will then submit to the driving center to receive your official driver's license.

Books for test preparation:

To effectively prepare for the written examination, there are two recommended study materials.

The first book, while quite comprehensive in length, will provide a clear understanding of all the necessary concepts if you dedicate time to reading it once or twice. The second book serves as a reinforcement of the rules and can be reviewed once or twice after you've gone through the first one. Attempting to study the second book before the first is generally not recommended, as it may be more challenging to grasp the information without the foundational knowledge provided in the first book. The first book is particularly helpful because it utilizes pictures and detailed explanations to illustrate the concepts, making them easier to comprehend.


External link
01:Training for a Japanese Driving License and Useful Information about the Process

02: How to Get Your Scooter License in Japan: A Complete Guide

Saturday, October 12, 2024

অ-মুসলিম দেশে খাদ্য গ্রহণের পূর্বে হালাল- হারাম যাচাই করা আবশ্যক

অ-মুসলিম দেশে বসবাসরত মুসলিম ঈমান দার বান্দার জন্য খাদ্য বস্তু ( যেমন, বিভিন্ন দোকানে প্রাপ্ত খাদ্য ও পানীয়, রেস্টুরেন্টের খাবার, রান্নার জন্য ব্যবহৃত প্রাণিজ উপাদান তথা, মাছ, গোস্ত ইত্যাদি ) হারাম কিনা সেটা জানা জরুরি। 


কি ধরনের খাদ্য গ্রহণ করবে তার একটি সুস্পষ্ট মানদণ্ড ইসলামে রয়েছে।

হালাল খাদ্য গ্রহণ ( সম্পর্কিত আয়াত ও হাদিস)
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে-

 یٰۤاَیُّهَا الرُّسُلُ كُلُوْا مِنَ الطَّیِّبٰتِ وَ اعْمَلُوْا صَالِحًا ‘
হে রাসূলগণ! পবিত্র হালাল বস্তু আহার করুন এং সৎ কাজ করুন।-সূরা মুমিনূন : ৫১

উল্লেখিত আয়াতে হালাল খাবার গ্রহণ করতে বলা হয়েছে এবং নেক আমলের আদেশ করা হয়েছে। হালাল রুজি খেয়ে আমল করলে কলব ইবাদতের স্বাদ অনুভব করবে এবং আল্লাহর কাছে তা মাকবুল হওয়ার অতি নিকটে পৌঁছবে।

অন্য একটি আয়াতে আরও স্পষ্ট করে মানব সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে খাবারের মানদণ্ড বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে-

یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ كُلُوْا مِمَّا فِی الْاَرْضِ حَلٰلًا طَیِّبًا ‘
হে মানব সম্প্রদায় পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু আহার কর।’-সূরা বাকারা : ১৬৮

 
হালাল খাবার যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং ইবাদতের ক্ষেত্রে শক্তিশালী সহায়ক সেটাও কুরআনে কারীমে স্পষ্ট তুলে ধরা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য ঠিক রাখার মাধ্যমেই ইবাদত যথাযথ পালন করা সম্ভব তা সেখান থেকে প্রকাশ পেয়েছে।ইরশাদ হয়েছে-

فَكُلُوْا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللّٰهُ حَلٰلًا طَیِّبًا ۪ وَّ اشْكُرُوْا نِعْمَتَ اللّٰهِ اِنْ كُنْتُمْ اِیَّاهُ تَعْبُدُوْنَ
‘যদি তোমরা একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত কর তবে তোমাদেরকে যেসব হালাল ও পবিত্র বস্তু তিনি দিয়েছেন তা থেকেই তোমরা আহার কর এবং আল্লাহর নেয়ামতের শোকর আদায় কর।

আর মন্দ ও হারাম খাদ্য ভক্ষণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে-
 وَ یُحِلُّ لَهُمُ الطَّیِّبٰتِ وَ یُحَرِّمُ عَلَیْهِمُ الْخَبٰٓىِٕثَ
তিনি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল ঘোষণা করেন এবং অপবিত্র বস্তুসমূহ নিষিদ্ধ করেন।-সূরা আরাফ : ১৫৭

সন্দেহপূর্ণ বিষয় থেকে বেঁচে থাকা (বিস্তারিত ০১, ০২)
আতিয়্যা সা‘দী রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- 
لَا يَبْلُغُ العَبْدُ أَنْ يَكُوْنَ مِنَ المُتَّقِيْنَ حَتَّى يَدَعَ مَا لَا بَأْسَ بِه حَذَرًا لِمَا بِهِ البَأْسُ. 
বান্দা প্রকৃত মুত্তাকী হতে পারবে না, যতক্ষণ না সমস্যাযুক্ত বিষয় (তথা হারাম) থেকে বেঁচে থাকার জন্য সমস্যামুক্ত (অপ্রয়োজনীয় বৈধ ও মুবাহ) বিষয়ও পরিত্যাগ করবে। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২৪৫১; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৪২১৫

নুমান ইবনে বাশীর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- 
إِنَّ الْحَلَالَ بَيِّنٌ وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ، وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لَا يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِينِه وَعِرْضِه، وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ، كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يَرْتَعَ فِيهِ، 
নিশ্চয় হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। উভয়ের মধ্যে রয়েছে অনেক সন্দেহযুক্ত বিষয়। অনেক মানুষ তা জানে না। সুতরাং যে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত বিষয় থেকে বেঁচে থাকবে, সে তার দ্বীন ও সম্মানের হেফাযত করবে। পক্ষান্তরে যে সন্দেহযুক্ত বিষয়ে লিপ্ত হবে, সে হারামে জড়িয়ে যাবে। যেমন কোনো রাখাল যদি সরকারি সংরক্ষিত ভূমির আশপাশে (পশু) চরায়, তাহলে সমূহ সম্ভাবনা যে, পশু সংরক্ষিত ভূমির মধ্যে ঢুকে পড়বে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৯; সহীহ বুখারী, হাদীস ৫২

এই হাদীসের অন্য রেওয়ায়েতে কথাটি এভাবে এসেছে- 
فَمَنْ تَرَكَ مَا شُبِّهَ عَلَيْهِ مِنَ الْإِثْمِ كَانَ لِمَا اسْتَبَانَ أَتْرَكَ، وَمَنِ اجْتَرَأَ عَلَى مَا يَشُكُّ فِيهِ مِنَ الْإِثْمِ أَوْشَكَ أَنْ يُوَاقِعَ مَا اسْتَبَانَ 
সুতরাং যে সংশয়পূর্ণ গোনাহ বর্জন করবে সে স্পষ্ট গোনাহ বর্জনে আরো যত্নবান হবে। আর যে সংশয়পূর্ণ গোনাহে লিপ্ত হওয়ার দুঃসাহস দেখাবে, সে অচিরেই স্পষ্ট গোনাহে জড়িয়ে পড়বে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৪৬   

 পশু-পাখির জবাই সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত ( আরও জানুন)

➥⏩জবাইকারী মুসলমান কিংবা আহলে কিতাব তথা কোনো আসমানী কিতাবের অনুসারী এবং সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন বুঝমান ব্যক্তি হওয়া। 
➥⏩জবাইয়ের শুরুতে আল্লাহ তাআলার নাম উচ্চারণ করা এবং কোনো ধারালো বস্তু দ্বারা গলার দিক থেকে জবাই করা এবং  
➥⏩শ্বাসনালি , খাদ্যনালি ও দুইি শাহরগের অন্তত একটি কেটে রক্ত প্রবাহিত করত জবাই সম্পন্ন করা। 
এসব শর্তের কোনোটি না পাওয়া গেলে জবাই সহীহ হবে না এবং সে প্রাণী খাওয়াও জায়েয হবে না।

 অবশ্য উপরোক্ত শর্ত পাওয়া যায়, এমন কেউ যদি জবাইয়ের সময় আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করতে ভুলে যায় তাহলে জবাই সহীহ হবে। 

তবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃত আল্লাহ্র নাম ছেড়ে দেয় তাহলে উক্ত জবাই সহীহ হবে না। 
(সূরা মায়েদা (৫) : ৩-৫; সূরা আনআম (৬) : ১২১; সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫০৩; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৫৮৮৮; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, বর্ণনা ৮৫৭৮, ৮৫৪১ ও ৮৫৫৬; তাফসীরে তাবারী ৪/৪৪০; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/৭) 

আর জবাইয়ের জন্য একাধিক ব্যক্তি হওয়া জরুরি নয়, একজনও জবাই করতে পারবে। এমনিভাবে আড়াই পোঁচে জবাই করাও জরুরি নয়। এটি একটি ভুল প্রচলন। মাসআলা হচ্ছে, রগ কেটে রক্ত প্রবাহিত করে দেয়া, তা যত পোঁচেই হোক। তবে জবাইয়ের ক্ষেত্রে ধারালো অস্ত্র ব্যবহর করবে। যেন প্রাণীর অধিক কষ্ট না হয়।

জাপানে অনেক Groceries, Restaurants, Super shops , Convenience store   শুধু হালাল ( আরবি, ইংরেজিতে লিখে ) গোস্ত ও খাবার বিক্রি করছে। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র হালাল লেখা দ্বারাই যে সব হালাল হয় না তার উদাহরণ নীচের রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্টে শুকুর দিয়ে বানানো খাবার , হালাল চার্টে দেয়া হয়েছে।



রেস্টুরেন্টের ঠিকানা; গুগুল ম্যাপ
ছবি তুলেছেন; আমিন বিল্লাহ


অনেক রেস্টুরেন্টে হালাল খাবারেরAvailability সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে,  জবাবে হ্যাঁ বলে! অবাক করা বিষয় হলো, যিনি হালাল খাবার পরিবেশন করতে চাচ্ছেন, তিনি জানতেন না হালাল মানে কি।

খাবারের উপাদান যেমন হালাল হওয়া জরুরি খাবার রান্নার পাত্র এবং খাবার গ্রহণের পাত্রও হালাল হতে হবে। যদি কোন খাবার  প্রস্তুতকারক পাত্রে শূকর / হারাম উপায়ে জবেহ করা কোন প্রাণি রান্না করে এবং মদ পান/ খাবার রান্নায় মদ ব্যবহার করে তাহলে সেই পাত্র পাক করা ব্যতীত অন্য কোন হালাল খাবার রান্না করা কিংবা  খাবার খাওয়া যায়েজ নয়।  

عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نبَتَ منَ السُّحْتِ وكلُّ لحمٍ نبَتَ منَ السُّحْتِ كَانَتِ النَّارُ أَوْلَى بِهِ.


জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে দেহের মাংস/মাংস হারাম উপার্জনে গঠিত, তা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হারাম ধন-সম্পদে গঠিত ও লালিত পালিত দেহের জন্য জাহান্নামই উপযোগী। (আহমাদ১৪৪১, দারিমী ২৭৭৯, বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান ৮৯৭২)

Wednesday, July 3, 2024

Asian Shops at Suruga ward in Shizuoka City ( শিজুওকার রান্নার মসলা আর অন্যান্য উপকরণ)

Shizuoka is a charming seaside city, known for its vibrant multicultural community, where people from various Asian countries reside to work and study. Due to its diverse population, it is essential for both locals and newcomers to be aware of the stores that offer everyday necessities, particularly grocery items that cater to foreign tastes and preferences. These stores play a key role in helping residents feel at home, offering familiar products from their home countries. Understanding where to shop for such items is important to ensure a smooth and comfortable living experience in this welcoming city.

শিজুওকা একটি মনোরম সমুদ্র তীরবর্তী শহর, যা একটি বহুসংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে সমৃদ্ধি লাভ করেছে। এখানে বিভিন্ন এশিয়ান দেশ থেকে মানুষ তাদের পেশাগত সুযোগ এবং শিক্ষাগত লক্ষ্য পূরণের জন্য আগমন করছেন। এই বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট, বিদেশি বাসিন্দাদের জন্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য এবং মুদি সামগ্রী সরবরাহকারী দোকানগুলির চেনার গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করি নীচের বর্ণনায় আপনারা নিজস্ব পছন্দের রান্নার  জন্য উপযুক্ত পরিচিত উপকরণ এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী কোথায় পাওয়া তার ধরণা পাবেন। এই দোকানগুলির অবস্থান জানা আপনাদের কাজ ও পড়াশোনা আরও সুবিধাজনক এবং সুষ্ঠু করে তুলবে।


Here is a brief outline of the Asian groceries.






1. 
Shizuoka Halal Food(Shizuoka Ceylon Food )

The collection includes a variety of traditional Asian spices, such as cassia (cinnamon), coriander, chiles, cloves, cumin, galangal, garlic, ginger, star anise, and turmeric. These spices are essential in adding rich flavor and depth to many dishes, often used in both cooking and traditional medicine across the region.

Additionally, there is a wide range of halal snacks available, including popular items like chanachur, biscuits, juices, fuska, and masala. Halal roti, paratha, singara, and samosa (also known as samucha) are readily available for those who enjoy these delicious, culturally significant foods.

For meat lovers, halal options include mutton (Padma halal), sheep, and chicken (JCB). These meats are sourced and prepared in accordance with halal standards, ensuring they are suitable for those who follow halal dietary laws. Furthermore, there are various types of sweets available, offering a perfect end to any meal. These sweets are often made with traditional recipes and ingredients, adding a touch of authenticity to the dining experience.

Whether you're looking for spices to elevate your cooking or ready-made halal snacks and meals, this selection has something for everyone who enjoys Asian cuisine and follows halal dietary practices.

এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী পাবেন, যেমন ডাল, তেল, মসলা, মাছ, ভেড়ার গোস্তের নানা ধরনের প্রকরণ, বাংলাদেশি শিঙ্গাড়া, সামুসা, ফ্রিজেন ফল, কাচা মরিচ, চাউল, আদা, রসুন, আলু, ফলের ড্রিঙ্কস, বিস্কিট, চানাচুর, আটা ইত্যাদি।

এই দোকানটি শিজুওকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খুব কাছেই অবস্থিত, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটি খুবই সুবিধাজনক। এখানে পাওয়া খাদ্য সামগ্রীগুলির মধ্যে অনেকটি হল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং উপকরণ, যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি থাকার কারণে, স্থানীয় মানুষের জন্যও এটি একটি সহজ এবং ভালো স্থান হতে পারে বাজার করার জন্য। আপনি এখানে গিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় সকল প্রকার খাদ্য সামগ্রী এবং স্ন্যাকস সহজেই কিনে নিতে পারবেন।

Location: Google Map
Adress: 2-chōme-8-59 Magarikane, Suruga Ward, Shizuoka, 422-8006
Owner: Nepali
Time: 13:00-20:00 (দুপুর ০১:00টা থেকে রাত ০৮:00 টা )



২. Himalayan halal bazar ヒマラヤン・ハラール・バザール

The store offers a wide variety of Asian spices, including cassia (also known as cinnamon), coriander, chiles, cloves, cumin, galangal, garlic, ginger, star anise, and turmeric. These spices are essential for creating authentic flavors in many traditional Asian dishes, making them a must-have for anyone who enjoys cooking or exploring diverse cuisines.

In addition to spices, the store also carries an assortment of halal snacks. Some popular items include chanachur, biscuits, juices, fuska, and masala, which are perfect for quick bites or adding to meals. For those craving traditional South Asian breads, halal roti, paratha, singara, and samosa (samucha) are also available.

For meat lovers, the store offers a selection of halal meats, including mutton from Padma Halal, sheep, and chicken from JCB, all prepared according to halal standards. These meats cater to those who follow halal dietary guidelines, ensuring that every meal is both flavorful and compliant with religious practices.

Moreover, there are a variety of sweets available, offering a delicious way to end a meal. Whether you're looking for spices, snacks, or meats, this store provides a diverse range of products to satisfy your culinary needs.

এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী পাবেন, যেমন ডাল, তেল, মসলা, মাছ, ভেড়ার গোস্তের নানা ধরনের প্রকরণ, বাংলাদেশি শিঙ্গাড়া, সামুসা, ফ্রিজেন ফল, কাচা মরিচ, চাউল, আদা, রসুন, আলু, ফলের ড্রিঙ্কস, বিস্কিট, চানাচুর, আটা ইত্যাদি।

এই দোকানটি শিজুওকা রেল স্টেশন থেকে খুব কাছেই অবস্থিত, তাই সহজেই এখানে পৌঁছানো যায়। যদি আপনি দোকানে যেতে না পারেন, তবে তাদের ফ্রি হোম ডেলিভারি পরিষেবা রয়েছে। আপনি ফোনে 08051574224 নম্বরে যোগাযোগ করে আপনার অর্ডার করতে পারবেন, এবং আপনার প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে যাবে।

এটি একটি খুবই সুবিধাজনক এবং প্রয়োজনীয় জায়গা, বিশেষ করে যারা স্থানীয় খাবার বা উপকরণ খুঁজছেন। আপনার প্রয়োজনীয় সব খাদ্য সামগ্রী এখানে পাওয়া যাবে এবং একেবারে হাতে এসে পৌঁছাবে, যা আপনাকে সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে।

Location: Google Map
Adress: 2-chōme-1-13 Ryogaecho, Aoi Ward, Shizuoka, 420-0032
Owner: Nepali
Time: 10:00-22:00 (সকাল ১০:00 টা থেকে রাত ১০:00 টা )




3. チャイ(Chai伝馬町店)indian nepali restaurant

The store offers a variety of halal snacks, including chanachur, biscuits, masala, and more. Halal roti, noodles, and atta are also available for those looking to prepare traditional meals.

In addition to snacks and staples, the store provides a selection of halal meats, such as mutton (Padma Halal), sheep, and chicken (JCB). There is also a range of different sweets available, offering a sweet treat to complement any meal.

এখানে আপনি ডাল, তেল, মসলা, ভেড়ার গোস্তের বিভিন্ন ধরনের প্রকরণ, চাউল, আদা, রসুন, বিস্কিট, চানাচুর, আটা, নুডুলস ইত্যাদি পাবেন।

এই দোকানটি শিজুওকা রেল স্টেশন থেকে খুবই কাছেই অবস্থিত, তাই সহজেই এখানে পৌঁছানো সম্ভব।

Location: Google Map
Adress: 8-2 Tenmacho, Aoi Ward, Shizuoka, 420-0858
Owner: Nepali
Time: 11:00-15:00 ; 15:00-22:00 (১১ টা থেকে ৩ টা ; বিকেল ০৫টা থেকে রাত ১০ টা )


4. Himalayan Mart ヒマラヤン マート & ヒマラヤン カレー ハウス

The store offers a wide range of Asian spices, including essential ingredients such as cassia (cinnamon), coriander, chiles, cloves, cumin, galangal, garlic, ginger, star anise, and turmeric. These spices are key to bringing authentic flavors to many Asian dishes, from curries to stir-fries, and are perfect for anyone interested in cooking traditional recipes.

In addition to spices, the store provides a variety of halal snacks, such as chanachur, biscuits, juices, fuska, and masala. These snacks are not only tasty but also cater to those who prefer halal-certified foods. For a heartier meal or snack, halal roti, paratha, singara, and samosa (samucha) are also available, offering delicious and satisfying options.

For those seeking halal meats, the store offers high-quality options, including mutton from Padma Halal, sheep, and chicken from JCB, all carefully prepared according to halal standards. The store also carries a selection of sweets, allowing you to indulge in traditional desserts after your meal.

Whether you're looking for spices to enhance your cooking or ready-to-eat halal meals and snacks, this store provides everything you need to enjoy authentic, halal-friendly foods.

এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী পাবেন, যেমন ডাল, তেল, মসলা, মাছ, ভেড়ার গোস্তের নানা ধরনের প্রকরণ, বাংলাদেশি শিঙ্গাড়া, সামুসা, ফ্রিজেন ফল, কাচা মরিচ, চাউল, আদা, রসুন, আলু, ফলের ড্রিঙ্কস, বিস্কিট, চানাচুর, আটা ইত্যাদি।

এই দোকানটি শিজুওকা রেল স্টেশন থেকে খুবই কাছেই অবস্থিত, তাই এখানে সহজে পৌঁছানো সম্ভব। আপনি যদি স্থানীয় সুস্বাদু এবং পরিচিত বাংলাদেশি খাবার বা উপকরণ খুঁজছেন, তবে এটি একটি আদর্শ জায়গা। দোকানটির কাছাকাছি অবস্থান সুবিধাজনক হওয়ায়, এটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

আপনার প্রয়োজনীয় সব খাদ্য সামগ্রী এক জায়গায় পাওয়া যাবে, যা আপনার রান্না এবং দৈনন্দিন জীবনের জন্য খুবই সহায়ক হবে। যেহেতু এটি রেল স্টেশনের কাছে, তাই যাতায়াতেও কোনো সমস্যা হবে না।

Location: Google Map
Adress: 4 Chome-2-24 Komagatadori, Aoi Ward, Shizuoka, 420-0042
Owner: Nepali
Time: 10:00-21:00 (সকাল ১০:00 টা থেকে রাত ০৯:00 টা ) 
Monday 13:00-19:00 (সমাবার ০১:00 টা থেকে ০৭:00 টা)


5. Sunrise Halal Food Shizuoka

The store is located on the same road as Second Street and Shizuoka Halal Food. Similar to Shizuoka Halal Food, it offers a variety of Asian spices, including cassia (cinnamon), coriander, chiles, cloves, cumin, galangal, garlic, ginger, star anise, and turmeric. These spices are perfect for creating authentic flavors in many traditional Asian dishes.

In addition to the spices, the store also features a wide range of halal snacks, such as chanachur, biscuits, juices, fuska, masala, shon papri, and noodles. These snacks are not only delicious but also cater to those who follow halal dietary practices. For those looking for a more filling meal, halal roti, paratha, singara, and samosa (samucha) are also available, offering tasty, traditional options.

For meat lovers, the store provides a selection of halal meats, including mutton from Padma Halal, sheep, and chicken from JCB. These meats are carefully prepared according to halal standards, ensuring high quality and authenticity. Additionally, a variety of sweets are available, allowing you to enjoy a sweet treat after your meal.

Whether you're looking for spices, snacks, or halal meats, this store offers a diverse selection to meet all your culinary needs.

Location: Google Map
Adress: 2 Chome-7-71 Magarikane, Suruga Ward, Shizuoka, 422-8006
Owner: Nepali
Time: 10:00-21:00

6. Golden House Asian food store

Located just about 1 km from Shizuoka Station, this store offers a selection of halal fish and meat products. Among its offerings, you'll find sabudana (tapioca pearls) and one type of halal noodles, catering to those seeking halal-certified ingredients for their meals.

In addition to these items, the store also carries a range of products popular in non-Muslim communities from various parts of Asia. These include ingredients and snacks that reflect the diverse culinary traditions across the region, making it a great place for anyone interested in exploring a variety of Asian foods.

Whether you're looking for halal options or other Asian food products, this store provides a convenient and diverse selection to meet a wide range of dietary preferences.

এখানে আপনি ভেড়ার গোস্ত, মাছের আইটেম এবং সাবু দানা পাবেন। তবে, দোকানটির মালিকরা মুসলিমদের হালাল-হারাম বিষয়ক নিয়ম-কানুন সম্পর্কে খুব একটা জানেন না। তবে, যদি আপনি একটু সময় নিয়ে খুঁজে দেখেন, তাহলে হালাল সিলযুক্ত নুডুলস, বিস্কিট, ওয়েফার, চিপস ইত্যাদি পাওয়া সম্ভব।

এই দোকানে খাদ্য সামগ্রীগুলির মধ্যে কিছু হালাল উপকরণ পাওয়া যেতে পারে, তবে অন্যান্য প্রোডাক্টগুলো মূলত অন্যান্য এশিয়ান বা পশ্চিমা খাবারের ক্যাটাগরিতে পড়বে। তাই, আপনি যদি নিশ্চিত হালাল খাদ্য খুঁজছেন, তবে খোঁজ নিয়ে যাচাই করে নেওয়া ভালো

Location: Google Map
Adress: 1 Chome-18-8-2 Nakada, Suruga Ward, Shizuoka, 422-8041
Owner: Myanmar
Time: 12:00-18:00


7. Vietfoody ベトナム食材店 "Tạp hóa shizuoka"

This store is located about 0.5 km from Shizuoka Station and offers a selection of halal fruits, including frozen jackfruit, lychee, mangoes, and coconuts. In addition to these, the store also carries various items that cater to the non-Muslim communities from Asia.

Here, you will primarily find fruit items such as jackfruit, mango, and coconut, as well as raw nuts. The store does have fish, but these are not halal and are stored alongside non-halal items like pathias and bang (fish). The owners do not have much knowledge of halal and haram dietary practices.

However, if you take the time to search, you can find some halal-certified products such as noodles, biscuits, wafers, and chips. While the store mainly focuses on non-halal goods, it does offer a few options that cater to halal dietary needs if you look carefully.

 

এখানে আপনি মূলত ফলের আইটেম যেমন কাঁঠাল, আম, ডাব এবং কাচা বাদাম পাবেন। দোকানটিতে মাছের আইটেমও রয়েছে, তবে এগুলি হালাল নয় এবং সেগুলি অন্য non-halal আইটেম যেমন পাতিহাস, ব্যাং ইত্যাদির সাথে রাখা থাকে। দোকান মালিকরা মুসলিমদের হালাল-হারাম বিষয়ে তেমন জানাশোনা রাখেন না।

তবে, যদি আপনি একটু সময় নিয়ে খুঁজে দেখেন, তাহলে কিছু হালাল সিলযুক্ত নুডুলস, বিস্কিট, ওয়েফার, চিপস ইত্যাদি পেতে পারেন। যদিও দোকানটি মূলত non-halal পণ্য নিয়ে, তবে কিছু সীমিত হালাল পণ্য এখানে পাওয়া যেতে পারে।

Location: Google Map
Adress: 〒422-8061 Shizuoka, Suruga Ward, Morishitacho, 1−16 エスカイア森下 101
Owner: Vietnam (+81 80 3676 1689)
Time: 10:00-19:00












8. Xuân Shop Việt Nhật

The store is located about 0.5 km from Shizuoka Station and offers a variety of halal fruits, such as frozen jackfruit, lychee, mangoes, and coconuts. In addition to these, the store carries other products that cater to the non-Muslim communities from Asia 

এখানে মূলত ফলের আইটেম যেমন কাঁঠাল, আম, ডাব এবং কাচা বাদাম পাওয়া যাবে। দোকানটিতে মাছও রয়েছে, তবে এগুলি হালাল নয় এবং অন্যান্য non-halal পণ্যের সাথে যেমন পাতিহাস, ব্যাং ইত্যাদির সঙ্গেই রাখা হয়। দোকান মালিকরা মুসলিমদের হালাল-হারাম বিষয়ক নিয়ম-কানুন সম্পর্কে তেমনভাবে জানেন না।

তবে, যদি আপনি কিছু সময় নিয়ে খুঁজে দেখেন, তাহলে হালাল সিলযুক্ত নুডুলস, বিস্কিট, ওয়েফার, চিপস ইত্যাদি পেতে পারেন।

Direction: 

First, go to the 静岡PARCO building (link in the Google map and in the picture above). 🔀Then go underground.
🔀Follow the underground path; you will see the store at the end of the row. (with the red flag having a star; last image)

Location: Google Map
Address: 6-7 Koyamachi, Aoi Ward, Shizuoka, 420-0852
Owner: Vietnam (Wholesale is also available)
Time: 11:00-20:00 ( সোমবার বন্ধ)







Wednesday, April 3, 2024

অমুসলিম দেশে বসবাস : ইসলামী দৃষ্টিকোণ by Khairul Islam

 



অমুসলিম দেশে বসবাস : ইসলামী দৃষ্টিকোণ
Khairul Islam 6/03/2022
হানাফী ফিকহ-Hanafi Fiqh
অনেক মুসলিমই উচ্চতর ডিগ্রি এবং জীবনসামগ্রীর আরো উন্নতি,আরো স্বচ্ছলতা-স্বাচ্ছন্দ, দুনিয়ার ভোগ-বিলাসিতার উদ্দেশ্যে আমেরিকা /ইংল্যান্ড / অস্ট্রেলিয়া এর মত অমুসলিম দেশে যেতে চাই সম্ভব হলে একেবারে থেকে যেতে চাই।
অনেকেরই প্রশ্ন ইসলামী শরীয়ত এই ব্যাপারে কি বলে? ইসলামে কি এব্যাপারে অনুমতি আছে?
উত্তর: এক্ষেত্রে শরয়ী দৃষ্টিকোণ হলো,অমুসলিম দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করা এবং সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করা,এটি এমন একটি মাসআলা,যার হুকুম স্থান কাল পাত্র ভেদে,প্রেক্ষাপট পরিস্থিতি এবং বসবাসকারী
ব্যক্তির উদ্দেশ্য ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারণে হুকুমও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপ:
১.কোনো ব্যক্তির যদি স্বীয় মুসলিম দেশে এতটুকু জীবিকা উপার্জনের ব্যবস্থা থাকে,যতটুকু দ্বারা সে নিজ শহরের স্টাটাস অনুযায়ী চলতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র জীবনসামগ্রীর আরো উন্নতি,আরো স্বচ্ছলতা-স্বাচ্ছন্দ, দুনিয়ার ভোগ-বিলাসিতার উদ্দেশ্যে কোনো অমুসলিম দেশে যেতে চায় এবং দারুল হারবের পরিচয় ও জাতীয়তাকে শ্রেষ্ঠ মনে করে এবং সেটাকে দারুল ইসলামের পরিচয় ও জাতীয়তার উপর প্রাধান্য দিয়ে কোনো অমুসলিম দেশের নাগরিকত্ব ও জাতীয়তা অর্জন করা জায়েয নয়। কেননা, এক্ষেত্রে ইহকালীন পরকালীন কোনো প্রয়োজন ছাড়া সেখানকার অশ্লীলতা বেহায়াপনায় নিজেকে নিজে ফেলে দেয়া হচ্ছে। আর বিনা প্রয়োজনে নিজের দ্বীন-ধর্ম, আখলাক-চরিত্র ইত্যাদিকে এক ঝুকির মধ্যে ফেলে দেয়া কোনো অবস্থাতেই বৈধ হতে পারে না।
এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা হলো, যারাই শুধুমাত্র সুখী, সমৃদ্ধি, ভোগ-বিলাসিতার উদ্দেশ্যে কোনো অমুসলিম দেশে বসবাস করছে, তাদের ধর্মীয় চেতনা একেবারে দুর্বল হয়ে যায়। এধরনের লোকেরা কুফরী পরিবেশে থেকে সেখানকার কালচারে উজ্জীবিত হয়ে যায়। আর ধীরে ধীরে তারা কেবল তাদের চেহারা (পোশাক, পোশাক, আকৃতি ও রূপ) এবং অবয়বে কাফেরদের সাদৃশ্যতাই গ্রহণ করে না, বরং কাফেরদের সাদৃশ্যতাকে
নিজেদের জন্য গর্বের কারণ মনে করে, যা স্পষ্টতই হারাম।
একারণে পবিত্র হাদীস শরীফে অত্যন্ত প্রয়োজন ব্যতীত, অমুসলিমদের সাথে বসবাস করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
যেমন, আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন :
من جامع المشركين وسكن معه، فانه مثله –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ,আবু দাঊদ ২/৩৮৫)
হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
انا بريئ من كل مسلم يقيم بين اظهر المشركين، قالوا يا رسول الله! لم؟ قال لا ترئ اي نارهما-
“সেসব মুসলমানদের ব্যাপারে আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই, যারা অমুসলিমদের সাথে বসবাস করে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এর কারণ কি? তিনি উত্তরে বললেন, ইসলামের অগ্নি এবং কুফরীর অগ্নি উভয়টি এক সাথে থাকতে পারেনা। কোনটি মুসলমানের আগুন, কোনটি অমুসলিমের আগুন তোমরা তা পার্থক্য করতে পারবেনা”। আবু দাঊদ ৩/৪৫
আবু দাঊদ শরীফে মাকহূল (রহ.) থেকে মুরসাল রিওয়ায়াত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন : “নিজেদের সন্তান-সন্তুতিদেরকে অমুসলিমদের মাঝে ছেড়ে দিওনা”। (তাহযীবুস সুনান লি ইব্ন কায়্যিম ৩/৪৩৭)
একারণে ফুকাহায়ে কিরাম বলেন, শুধুমাত্র চাকরির উদ্দেশ্যে কোনো মুসলিম ব্যক্তির জন্য অমুসলিম দেশে বসবাস করা এবং তাদের সংখ্যায় বৃদ্ধি করা, এটি এমনি একটি কাজ, যার দ্বারা তার ন্যায়পরায়নতা
চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। (তাকমিলায়ে রাদ্দুল মুখতার ১/১০১)
২.যদি কোনো মুসলমান কোনো কঠিন অজুহাত ও বাধ্যবাধকতার কারণে অমুসলিম দেশে চলে গিয়ে বসবাস শুরু করে,যেমন,কোনো অপরাধ ছাড়াই তারা নিজ দেশে নৃশংসতা ও কারাবরণ করছে এবং এসব জুলুম থেকে বাঁচার অন্য কোনো উপায় না থাকে বা কোনো ব্যক্তি চরম অর্থনৈতিক সংকটের শিকার হয় এবং চেষ্টা সত্ত্বেও ইসলামী দেশে অর্থনৈতিক সম্পদ না পাওয়া যায় এবং তার নিজের ব্যাপারে পূর্ণ আস্থা থাকে যে,সে একটি অমুসলিম দেশে শরিয়া নিয়ম মেনে তার ধর্ম ও ঈমান রক্ষা করতে পারবেন এবং সে দেশে বিদ্যমান মুনকারাত ও অশ্লীলতার সাগরে ডুবে যাওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন। এমনিভাবে যদি স্ত্রী-সন্তানাদি সাথে থাকে তাহলে তাদের সম্পর্কেও এই আস্থা থাকা শর্ত। তাহলে এ পরিস্থিতিতে তার জন্য অমুসলিম দেশে বসবাস এবং সেখানকার নাগরিকত্ব অর্জন জায়েয। যেমনটা সাহাবায়ে কেরাম রাযি. তাদের স্বদেশে ধর্মের উপর ভিত্তি করে প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড ও পরিস্থিতিতে বিরক্ত হয়ে একটি অমুসলিম দেশে (আবিসিনিয়া) তাদের জীবন রক্ষার জন্য তাদের আশ্রয় নিয়েছিলেন।
৩.এমনিভাবে কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও জীবিকা উপার্জনের কোন সোর্স ব্যবস্থা করতে না পারে এবং অমুসলিম দেশে বৈধ চাকরি করার উদ্দেশ্যে সেখানে যায় তাহলে সেটাও বৈধ হবে। তবে শর্ত হলো, সেখানে ধর্ম পালনে বাধাপ্রাপ্ত না হতে হবে।কেননা, হালাল জীবিকা অন্বেষণ করাও ফরজ ইবাদতসমূহের পর একটি অন্যতম ফরজ কাজ। আর জীবিকা উপার্জনের জন্য ইসলাম কোনো জায়গাকে নির্দিষ্ট করে দেয়নি।বরং জীবিকা উপার্জনের ব্যাপারে ইসলামের ব্যাপক অনুমতি রয়েছে যে,যেখান থেকে ইচ্ছা করবে সেখান থেকে জীবিকা উপার্জন করতে পারবে।
যেমন কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে :
هو الذي جعل لكم الارض ذلولا فامشوا في مناكبها وكلوا من رزقه واليه النشور-
“আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন সুগম, সুতরাং তোমরা তাতে ভ্রমণ কর এবং তার দেয়া জীবিকা থেকে আহার কর, তোমাদেরকে তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে”। (সূরা মুলক, আয়াত, ১৫)
৪.এমনিভাবে কাফেরদের কাছে দ্বীনের দাওয়াত দিবে, কিংবা সেখানে বসবাসরত মুসলিমদেরকে ইসলামী হুকুম আহকাম শিক্ষা দিবে, কিংবা দ্বীনের উপর অটল অবিচল থেকে শরীয়তের বিধি-বিধান পালনের ব্যাপারে উদ্ধুদ্ধ করবে, এসব উদ্দেশ্যে সেখানে বসবাস করা শুধু কেবল জায়েযই নয়, বরং ছাওয়াবের অধিকারীও হবে। যেমন বহু সাহাবায়ে কিরাম এবং তাবেঈনগণ এধরনের নেক নিয়তে অমুসলিম দেশে বসবাস করছেন। যা পরবর্তীতে তাদের সুমহান জীবন চরিতের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গিয়েছে।
৬.মুসলমানদের উপর গর্ব করার জন্য দারুল ইসলামের উপর দারুল কুফরকে প্রাধান্য দেওয়া, যেন কাফেরদের জীবন ব্যবস্থার ন্যায় তাদের জীবন ব্যবস্থা হয়ে যায় কিংবা তাদের কালচার গ্রহণের জন্য অমুসলিম দেশে বসবাস করে, এসব উদ্দেশ্যে অমুসলিম দেশে বসবাস করা শরী‘আত অনুযায়ী সম্পূর্ণ হারাম।
যেমন হাদিসে এসেছে,
من تشبه بقوم فهو منهم. الحدیث.
(مشکاة المصابیح، کتاب اللباس، الفصل الثاني، ۲/۳۷۵، ط: قدیمی کراچی)
যে ব্যক্তি কোনো জাতির অনুকরণ করে সে তাদেরই একজন। মিশকাতুল মাসাবিহ 2/375
৭. অমুসলিম দেশে প্রথম থেকেই বসবাসরত একজন নওমুসলিম যার জন্য অন্য দেশে বসবাস করা কঠিন এবং সেই দেশে বসবাস করে ইসলাম পালনে বাধাপ্রাপ্ত না হয় তাহলে তার জন্যও সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
৮.চিকিৎসার জন্য অমুসলিম দেশে যাওয়া,প্রকাশ থাকে যে,এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন,যদি স্বদেশে এটি অসম্ভব হয় তবে অমুসলিম রাষ্ট্রে যাওয়া জায়েয।
৯.যতদূর শিক্ষার ক্ষেত্রে,এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর এবং গুরুতর বিষয়।স্পষ্টতই এর জন্য বাসস্থান প্রয়োজন। যে সকল অবস্থায় অমুসলিম দেশে আবাস গ্রহণ করা মাকরূহ বা হারাম সেসব ক্ষেত্রে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য যাওয়া এবং সেখানে বসবাস করা মাকরূহ বা হারাম হবে।
আর যে সকল অবস্থায় অমুসলিম দেশে আবাস গ্রহণ করা জায়েয সেসব ক্ষেত্রে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য যাওয়াও জায়েয হবে।
তবে এক্ষেত্রে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে হবে যে,যদি নিজ দেশে ধর্মীয়,জাগতিক শিক্ষাগত চাহিদা পূরণ করা যায়, তাহলে অবশ্যই এই নোংরা পরিবেশ থেকে দূরে থাকা উচিত। ফাতাওয়ায়ে বাইয়্যিনাত 3/372

Wednesday, September 20, 2023

জাপানে নবাগতদের জন্য

   জাপানে নবাগতদের জন্য

রচনা ও সম্পাদনাঃ ইমরান নুর মানিক
(দোয়ার দরখাস্ত রইল)

ক)আসার আগের নানাবিধ প্রস্তুতি গ্রহণ করার দিকনির্দেশনা

জাপানে আসার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা জরুরি, যাতে সফরটি সহজ এবং ঝামেলামুক্ত হয়। নিচে উল্লেখিত নির্দেশনাগুলি অনুসরণ করলে আপনাদের জন্য যাত্রা আরও সুনির্দিষ্ট এবং সুবিধাজনক হবে:

১. বিমান টিকিট এবং মালামালের প্রস্তুতি

প্রথমত, বিমানের টিকিট বুকিং সম্পূর্ণ করুন এবং টিকিটের তথ্য অনুযায়ী আপনার মালামাল প্রস্তুত করুন। বিশেষভাবে, লাগেজের ওজন চেক করে নিন যাতে অতিরিক্ত চার্জ বা সমস্যা না হয়। অনেক এয়ারলাইন্স কিছু নির্দিষ্ট ওজন সীমা দেয়, তাই সেই অনুযায়ী লাগেজ প্যাক করা জরুরি।

২. হাতব্যাগের মালামাল এবং ওজন

বিমানে ওঠার আগে, আপনার হাতব্যাগের মালামালও সতর্কতার সঙ্গে প্যাক করুন এবং এরও ওজন পরীক্ষা করে নিন। বেশিরভাগ বিমান কোম্পানি নির্দিষ্ট সীমায় হাতব্যাগ বহনের অনুমতি দেয়, তাই অতিরিক্ত ওজন রাখলে আপনাকে অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করতে হতে পারে।

৩. প্রাথমিক আর্থিক প্রস্তুতি

আপনি জাপানে আসার আগে, কমপক্ষে ১,৫০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ ইয়েনের ব্যবস্থা করুন। এটি আপনাকে প্রথম দিকে আর্থিক সংকট এড়িয়ে চলতে সাহায্য করবে। ইয়েন বাংলাদেশ থেকে আপনি মানি একচেঞ্জের মাধ্যমে কিনতে পারেন, অথবা যদি জাপানে কোনও পরিচিত ব্যক্তি থাকেন, তবে আপনি তার মাধ্যমে বাংলা টাকা প্রদান করে ইয়েন পেতে পারেন। এর জন্য আপনার পরিচিত ব্যক্তির নির্দেশনা মেনে চলুন। মুদ্রা বিনিময়ের সর্বশেষ হার দেখতে পারেন Payforex, JME Remit, এবং JRF Remit-এর ওয়েবসাইটে।

৪. নগদ ইয়েন নিয়ে যাত্রা

আপনার সঙ্গে নগদ ইয়েন রাখা গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি লাগেজে না রেখে অবশ্যই আপনার হাতে বা হাতে রাখুন। বিমান যাত্রা চলাকালীন সময়ে যেকোনো সময় আপনাকে নগদ অর্থের প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষত ট্রানজিট এবং অন্যান্য জরুরি খরচের জন্য।

৫. হালাল খাবারের ব্যবস্থা

বিমানযাত্রার আগে, যে বিমানে আপনি আসবেন, তাদের সাথে অবশ্যই ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করুন এবং হালাল (মুসলিম মিল) খাবারের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাবেন। এই বিষয়ে বিমানের কাস্টমার সার্ভিস থেকে সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। সাধারণত, আগে থেকে জানালে হালাল (মুসলিম মিল) খাবারের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়।

৬. বিমানবন্দরে আগমনের প্রস্তুতি

বিমান ছাড়ার কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। বিমানবন্দর টিকিটে উল্লেখিত সময়ে নির্ধারিত টার্মিনাল দিয়ে প্রবেশ করুন। প্রথমেই আপনাকে লাগেজ, ব্যাগ ইত্যাদি কনভেয়ার বেল্টে দিয়ে চেক ইন করতে হবে। এভাবে সময়মতো সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন এবং কোনো দেরি বা সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।

খ) বিমান বন্দর

৭. মোবাইল চার্জ এবং পাওয়ার ব্যাঙ্ক: বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে নিশ্চিত করুন যে আপনার মোবাইলে পর্যাপ্ত চার্জ আছে। যেহেতু বিমানযাত্রার সময় এবং অন্যান্য সময়ে মোবাইলের চার্জ ফুরিয়ে যেতে পারে, তাই পাওয়ার ব্যাঙ্ক আপনার সাথে রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে জরুরি মুহূর্তে সাহায্য করবে।

৮. চার্জারের ব্যবস্থা: বিমানে, জাপানের বৈদ্যুতিক রেল এবং বিশ্বরোডের বাসে চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। তবে, সেখানে যদি আপনার ফোন বা ল্যাপটপ চার্জ করতে চান, তাহলে জাপানের চার্জার ক্যাবল এবং এডাপ্টার সঙ্গে নিয়ে আসা জরুরি। জাপানের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সাথে আপনার ডিভাইসের কনেকটিভিটি নিশ্চিত করতে এই উপকরণগুলোর প্রয়োজন।

৯. ট্রলি ব্যবহার: বিমানবন্দরে প্রবেশ করার পর, আপনি আপনার লাগেজ এবং ব্যাগ বহনের জন্য ট্রলি ব্যবহার করতে পারবেন। ট্রলিটি সহজেই পরিচালিত হয়, যেহেতু এর হাতলে চাপ দিয়ে এটি চালানো সম্ভব। এইভাবে আপনার মালামাল বহন করা আরও সহজ এবং নিরাপদ হবে।

১০. টিকিট চেকিং: বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর, প্রথমেই আপনার এয়ারলাইনের কাউন্টার খুঁজে টিকিট চেক করে নিন। এখান থেকেই আপনি মূল টিকিট পাবেন, যা আপনার বোর্ডিং পাস হিসেবে গণ্য হবে। এই টিকিটটি বিমানবন্দরের সমস্ত প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে।

১১. লাগেজ বুকিং: এর পর, আপনাকে আপনার লাগেজ ওজন করে বুকিং কাউন্টারে জমা দিতে হবে। এই প্রক্রিয়ায়, আপনার হাতব্যাগও মাপা হতে পারে। মনে রাখবেন, লাগেজ এবং পাসপোর্টের সাথে অবশ্যই বুকিং স্লিপ লাগিয়ে দেওয়া হবে, যা আপনার যাত্রার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট।

১২. ইমিগ্রেশন চেকিং: লাগেজ জমা দেওয়ার পর, আপনাকে ইমিগ্রেশন পুলিশ বক্সে চেকিং সম্পন্ন করতে হবে। এই পর্যায়টি পাস করার পর আপনি বিদেশী যাত্রার জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন। ইমিগ্রেশন চেকিং সময়টি দ্রুত এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে আপনার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন।

১৩. কাগজপত্রের কপি: বিমানবন্দর চেকিংয়ের সময় যে সমস্ত কাগজপত্র আপনার সংগ্রহে রয়েছে, সেগুলির কপি অবশ্যই আপনার কাছে রাখতে হবে। সাধারণত, এখানে কাগজপত্র ফেরত দেওয়া হয় না, তবে সময় থাকলে আপনি ফটোকপি করতে পারবেন। বিমানবন্দরে ফটোকপি মেশিনও রয়েছে, যা আপনাকে কাগজপত্রের কপি নিতে সহায়তা করবে।

১৪. ফাইনাল চেকিং এবং নামাজের প্রস্তুতি: ফাইনাল চেকিং রুমে গিয়ে বিমান ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এজন্য এই রুমে ঢোকার আগেই অজু করে নামাজের ওয়াক্ত হলে নামাজ পরে নিবেন।  আপনি চাইলে আপনার হাতব্যাগে ছোট একটি জায়নামাজ রাখবেন, যাতে আপনি বিমানবন্দরের ভিতর বা রুমে নামাজ পড়তে পারেন, যদি বাইরে নামাজ পড়ার পরিবেশ না পাওয়া যায়।


গ) বিমান  ও অবতরণ

১. বিমানযাত্রা শুরুর প্রস্তুতি: বিমান উঠার পূর্বে, বিমানবন্দরের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা প্রয়োজন। টিকিট চেকিং, সিকিউরিটি স্ক্যানিং এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করার পর, আপনি বিমান চলাচলের জন্য প্রস্তুত হবেন।

২. সিট নির্ধারণ: বিমানে ওঠার পর, আপনার নির্ধারিত সিটে বসবেন। যদি ট্রানজিটের মাধ্যমে অন্য একটি বিমানে পরিবর্তন করতে হয়, সেক্ষেত্রে নতুন বিমানে সিট দেখে বসতে ভুলবেন না।

৩. খাবারের নির্বাচন: বিমানে খাবার দেয়ার সময়, সাধারণত জুস, মদ ইত্যাদি ফ্রি দেওয়া হয়, তবে আপনাকে সর্বদা হারাম খাবার পরিহার করতে হবে। বিশেষভাবে, গোস্ত, জুস বা দুগ্ধজাত খাবার পরিবেশন হলে, এসব সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। টিকিট কাটার সময়ই হালাল (মুসলিম মিল) খাবারের জন্য রেজিস্ট্রেশন করে রাখুন, যাতে নিরাপদে উপভোগ করতে পারেন।

৪. অবতরণের পর ফর্ম পূরণ: অবতরণের পর, আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই ফর্মে আপনার থাকার ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে, যা আপনার ভিসা আবেদনপত্রে উল্লেখ করা থাকে। সুতরাং, ভিসা আবেদনপত্রের একটি কপি নিজের কাছে রাখবেন, যাতে আপনি ঠিকানা লিখতে কোনো অসুবিধায় না পড়েন।

৫. ইমিগ্রেশন চেকিং: ইমিগ্রেশন চেকিংয়ের সময়, আপনার চেহারা যাচাই করে দেখা হবে এবং তারা আপনাকে পার্টটাইম কাজ করার অনুমতি চায় কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারে। যদি আপনি হ্যাঁ বলছেন, তাহলে আপনার রেসিডেন্স কার্ড (Zairyu Card)-এর পেছনে ২৮ ঘণ্টা/সপ্তাহের কাজ করার অনুমতি সিল দেওয়া হবে।

৬. জাপানে আগমনের কারণ এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট: ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন, আপনি কেন জাপানে এসেছেন। তারা আপনার Admission Certificate দেখতে চাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা আপনার পড়াশোনার উদ্দেশ্য প্রমাণ করে।

৭. লাগেজ সংগ্রহ: ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করার পর, আপনাকে আপনার লাগেজ সংগ্রহ করতে হবে। এটি সাধারণত কনভেয়ার বেল্টে রাখা থাকে, এবং সেখানে আপনার লাগেজ খুঁজে পেতে কিছু সময় নিতে হতে পারে।

  ঘ) কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছান

১. যাত্রার পরিকল্পনা: সবচেয়ে ভালো হবে, দেশ থেকেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছানোর উপায় নির্ধারণ করে আসা। আপনি কার সাহায্যে এবং কীভাবে পৌঁছাবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে নিলে যাত্রা অনেক সহজ হবে। তবে, যদি আপনি জাপানি ভাষা জানেন, তাহলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে এবং পরিস্থিতি আরও সহজ হবে।

২. বিমানবন্দর থেকে রেল/বাসে যাত্রা: বিমানবন্দর থেকে রেল বা বাস স্টেশনে গিয়ে আপনার টিকিট কিনে নিন। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বৈদ্যুতিক ট্রেনে যাওয়া সবচেয়ে ভালো বিকল্প। আপনার মোবাইলে ট্রেনের পুরো নেভিগেশন দেখে আপনি সহজেই আপনার গন্তব্য স্টেশনে নামবেন। অধিকাংশ ট্রেনে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা থাকে, যা আপনার যাত্রা আরো আরামদায়ক করবে।

৩. যদি কেউ আপনাকে নিতে আসে: যদি কেউ আপনাকে বিমানবন্দর থেকে নিতে আসে, তবে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। আপনি খুব সহজে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। তবে, ট্রেনের মধ্যে যদি একটু সময় থাকে, তবে সেখানে আপনার পছন্দের নাস্তা খেতে পারেন।

৪. গন্তব্যে পৌঁছানোর পর প্রস্তুতি: গন্তব্যে পৌঁছানোর পর, প্রথমেই আপনার থাকার জায়গাটি বুঝে নিন। যদি ভাড়া বাসা থাকে, তবে তা যথাযথভাবে প্রস্তুত করা জরুরি। সাধারণত, এক মাসের ভাড়া, ইন্স্যুরেন্সের টাকা এবং অন্যান্য খরচ নগদ পরিশোধ করতে হতে পারে। সিঙ্গেল রুমের জন্য এই খরচ প্রায় ৮০,০০০ ইয়েন হতে পারে, তবে এটি নির্ভর করে বাসার ধরন ও অবস্থানের ওপর।

৫. রুমে প্রবেশের পর পরীক্ষা করুন: রুমে প্রবেশ করার পর, প্রথমে আপনার রুমের সমস্ত সুবিধা চেক করে নিন। দরজার লক, ট্যাপ, বাথরুমের গরম এবং ঠান্ডা পানির প্রবাহ, লাইট, এসি—সব কিছু ঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা পরীক্ষা করে নিন। এটি নিশ্চিত করে নিলেই আপনি আরামদায়কভাবে আপনার নতুন পরিবেশে জীবন শুরু করতে পারবেন।

ঙ)প্রথমিক প্রয়োজন

১. বাসার মৌলিক সরঞ্জাম: নতুন জায়গায় থাকাকালীন কিছু মৌলিক জিনিসপত্র খুবই প্রয়োজনীয়। এগুলি আপনাকে আরামদায়ক জীবনযাপন করতে সহায়তা করবে:

  • ঘুমানোর জন্য: তোষক, কম্বল, বালিশ

  • রান্নাঘরের জন্য: গ্যাস বা ইনডাকশন চুলা, ফ্রাইং প্যান, রাইস কুকার, থালা, গামলা, চপিং বোর্ড, ছুরি, গ্লাস, রান্নার জন্য খুন্তি, মাইক্রোওয়েভ ওভেন

  • বাড়ির অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি: ওয়াশিং মেশিন, ফ্রিজ

অনেক বাসায় মালিকের পক্ষ থেকে এসব সুবিধা যেমন মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, ফ্রিজ, ইনডাকশন চুলা সরবরাহ করা হয়। তবে যদি এসব না থাকে, তবে আসার পর যত দ্রুত সম্ভব এগুলোর ব্যবস্থা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

২. রান্নার উপকরণ: 

যদি আপনি শরীরকে হারাম খাবারের মাধ্যমে পরিপুষ্ট করে জাহান্নামের যোগ্য হতে না চান, তবে বাইরের খাবার বাদ দিয়ে নিজেই রান্না করা সবচেয়ে ভালো। এ জন্য আপনার কিছু মৌলিক রান্নার উপকরণের প্রয়োজন হবে:

  • গুড়া মসলা: হলুদ, মরিচ, জিরা, ধনে, গরম মসলা (আপনি চাইলে এই মসলা দেশ থেকে কিছুটা আনতে পারেন অথবা এখানে অনলাইন হালাল শপ বা স্থানীয় শপ থেকে কিনতে পারবেন)

  • কাঁচা মসলা: রসুন, আদা, পেয়াজ (এগুলো এখানে সহজেই পাওয়া যায়, তবে দেশ থেকে আনা সম্ভব নয়)

রান্না সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক ধারণা থাকা দরকার, তা না হলে হালাল খাবারের ব্যবস্থা করতে বেশ কষ্ট হতে পারে। তবে, প্রথম দিকে আপনি হয়তো কোনো দু-একটি দাওয়াত পেতে পারেন, যা আপনাকে কিছুটা সাহায্য করতে পারে।

চ) কোথায় পাবেন?

১. হাড়ি পাতিল: নতুন হাড়ি-পাতিল কিনতে চাইলে আপনি বিভিন্ন দামের পাত্র পাবেন Don Quijote (দঙ্কি), সান ড্রাগ, এবং দাইসো থেকে। এখানে আপনি অল্প দামে নানা ধরনের রান্নার সরঞ্জাম পেতে পারেন।

পুরাতন পাত্রের জন্য, আপনি Joy Plaza থেকে কিনতে পারেন। তবে, পুরাতন পাত্র ব্যবহার করার আগে অবশ্যই সেগুলো ভালোভাবে পাক করে নিতে হবে, কারণ আমরা জানি না সেগুলো কোন ধরনের খাবার প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়েছিল। একইভাবে, অজ্ঞাত উৎসের জামা-কাপড়ও ব্যবহারের আগে ভালোভাবে পাক করা উচিত।

২. জামা কাপড় ও বিছানাপত্র: জামা কাপড় এবং বিছানাপত্র কিনতে চাইলে, আপনি Akanoren এবং Fashion Center Shimamura তে গিয়ে এসব পণ্য পেতে পারেন। এছাড়া, Joy Plaza, সান ড্রাগ, UniQlo, এবং Second Hand Cloth Shop (সেকেন্ড ইস্ট্রিট) থেকেও জামা-কাপড় সংগ্রহ করতে পারবেন।

৩. অন্যান্য খাবার দাবার: Family Mart, Seven Eleven, Minimini – এই ধরনের ২৪ ঘণ্টা খোলা কনভিনিয়েন্ট স্টোরগুলিতে কিছু হালাল খাবারের আইটেম পাওয়া যেতে পারে, তবে এগুলির দাম একটু বেশি হবে। সাধারণত, সাকসবজি, মাছ, পেয়াজ, আলু, বেগুন, রসুন, ফল ইত্যাদি আপনি Big (Aeon Big), Valor, Donki, MoM, Giemu এসব বড় সুপারমার্কেট থেকে কিনতে পারবেন।
যাই কিনবেন, তা অবশ্যই হালাল কিনা দেখে নিবেন। এর জন্য Halal Japan অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, যা বছরে ১৬০০ ইয়েনের সাবস্ক্রিপশনে পাওয়া যায়। (এছাড়া, কিছু ফ্রি অ্যাপও রয়েছে, তবে সেগুলিতে শুধুমাত্র উপাদানের তথ্য থাকে, উৎপাদন প্রক্রিয়া নয়)

৪. হালাল শপ: অনেক এলাকায় হালাল শপ রয়েছে, যেখানে আপনি গোস্ত এবং অন্যান্য মসলা-পাতা কিনতে পারবেন। এছাড়া, অনেক অনলাইন হালাল শপ থেকেও এসব পণ্য কিনতে পারবেন। অনেক সময়, যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণের পণ্য অর্ডার করেন, তবে কুরিয়ার চার্জ ফ্রি হয়ে যায়। যেমন Gumna Halal, Almodina Halal shop, JB halal, Batikram Halal Shop – এখানে আপনি সম্ভাব্য দাম সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।


  

ছ) যানবাহন


১. চলাচলের জন্য সাইকেল: যাতায়াতের জন্য কমপক্ষে একটি সাইকেল থাকা প্রয়োজন। যদি আপনি স্কুটি, মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট কার চালানোর ইচ্ছা পোষণ করেন, তাহলে বিমানে ওঠার কমপক্ষে ৪ মাস আগে দেশে আপনার লাইসেন্স সংগ্রহ করা উচিত।

২. ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স: এখানে আসার আগে অবশ্যই ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করুন। এটি আপনাকে জাপানে গাড়ি চালানোর জন্য প্রাথমিক অনুমতি প্রদান করবে।

৩. জাপানে লাইসেন্স: যদি আপনি এখানে এসে ড্রাইভিং পরীক্ষায় পাশ করেন, তাহলে আপনি সহজেই জাপানের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।

 আর যদি কোন লাইসেন্স না থাকে তাহলে শুধু সাইকেল চালাতে পারলেই স্কুটির লাইসেন্স তুলতে পারবেন। বিস্তারিত;

জাপানে যেভাবে স্কুটি লাইসেন্স পাবেন

৪. সাইকেল চালানোর নিয়ম:

সাইকেল চালানোর সময়, রাস্তায় বাম দিকে চলতে হবে। রাতে সাইকেল চালানোর সময় অবশ্যই লাইট অন করতে হবে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ফুটপাথে হাঁটতে থাকা মানুষদের অগ্রাধিকার দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি, তাই সবসময় এ ব্যাপারে সচেতন থাকুন। বর্তমানে সাইকেল এর জন্য আলাদা ট্রাফিক আইন কয়রা হয়েছে। সেগুলি অবশ্যই জেনে নিবেন। নইলে অনেক টাকা জরিমানা সহ, জাপান থেকে বের করে দিতে পারে।

৫. বাসে যাতায়াত: বাসে  উঠার সময় প্রথমেই টোকেন সংগ্রহ করুন, এবং পরে টোকেনের উপর নির্ভর করে ভাড়া প্রদান করুন। এছাড়া, আপনি বাস বা ট্রেনের জন্য পাসও বানিয়ে নিতে পারেন, যা আপনাকে নিয়মিত যাতায়াতে সুবিধা দিবে।

৬. মোবাইলে যাতায়াতের তথ্য: সাধারণত মোবাইল ফোনে চলাচলের সকল দিকনির্দেশনা এবং সম্ভাব্য ভাড়া আপনি Yahoo Map বা Google Map এর মাধ্যমে সহজেই পেয়ে যাবেন, যা আপনার যাত্রাকে আরও সহজ করবে।

৭. ডাস্টবিন ব্যবস্থাপনা: জাপানে ডাস্টবিন ব্যবস্থাপনা খুবই সুনির্দিষ্ট। এজন্য আলাদা করে পলিথিন প্যাকেট (গমি ফুকুরো বলে পরিচিত) কিনতে হবে। প্লাস্টিক বোতল, জ্বলনশীল বর্জ্য, ইত্যাদি আলাদা আলাদা জায়গায় ফেলা উচিত।


জ)দেশ থেকে আনবেন

১. পোশাক: এখানে কিছু পোশাক পাওয়া যাবে না, তাই সেগুলি দেশের থেকেই নিয়ে আসা উচিত। যেমন:
  • পাঞ্জাবি, পায়জামা, টুপি, জায়নামাজ

  • থ্রি পিস, শাড়ি (মহিলা হলে, এমন পোশাক যেগুলি এদেশে পাওয়া যায় না)

  • লুঙ্গি, গামছা, তোয়ালে ইত্যাদি

  • কেটস ও মোজা (৩ জোড়া), ফর্মাল সু, কোট ( এখানেও পাওয়া যায়)

  • বিছানার চাদর ( এখানেও পাওয়া যায়)

  • হালকা শীতের পোশাক, চামড়ার মোজা (শীতকালে ওযু করে পরলে, পরবর্তী ওযুর সময় ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত পা না ধুয়ে মাসেহ করা যায়)

  • ভারী শীতের পোশাক এখানে এসে কেনা ভালো (বাংলাদেশের শীতের পোশাক এখানে সাধারণত তেমন কাজে আসে না)

  • ব্রাশ (৩/৪টা), ফ্যামিলি সাইজ পেস্ট, সুই সুতা ( এখানেও পাওয়া যায়)

  • গায়ে মাখা ক্রিম, লিপ জেল, কোল্ড ক্রিম, সাবান ( এখানেও পাওয়া যায়)

  • ছোট আয়না, বালিশ ( এখানেও পাওয়া যায়)

  • চশমা (৪/৫ জোড়া), নেইল কাটার, ব্লেড ( এখানেও পাওয়া যায়)

  • প্লাস্টিকের স্যান্ডেল ( এখানেও পাওয়া যায়)

  • বাজার করার কাপড়ের ব্যাগ ( এখানেও পাওয়া যায়)

  • ছোট ছাতা ( এখানেও পাওয়া যায়)

  • ছোট কাঁচি ( এখানেও পাওয়া যায়)

  • পিঠে কম্পিউটার বহনের ব্যাগ ইত্যাদি। ( এখানেও পাওয়া যায়)

    ( এখানেও পাওয়া যায় তবে দাম বাংলাদেশ থেকে বেশি। আর প্রথমে আসার সময় জায়গা থাকলে আনাই ভাল।)

২. মসলা: দেশি রান্নার স্বাদ বজায় রাখতে কিছু মসলা নিয়ে আসা ভালো। যেমন:

  • হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া, ধনে গুড়া ( এখানেও পাওয়া যায় দাম অনেক বেশি )

  • জিরা, জিরা গুড়া, লবঙ্গ, দারুচিনি ( এখানেও পাওয়া যায় দাম অনেক বেশি )

  • গরম মসলা, গরম মসলার গুড়া ( এখানেও পাওয়া যায় দাম অনেক বেশি )

  • মাংসের মসলা, মাছের মসলা, মুরগির মসলা ( আগের মতই দামী )

  • তবে কাচা মসলা (যেমন পেয়াজ, কাচা ঝাল, রসুন, আদা, কাচা আম) বিমানবন্দরে আটকা পড়তে পারে, তাই এগুলো আনা এড়িয়ে চলুন।

৩. শীতের পোশাক: দেশের শীতের পোশাক দামি হলেও, এখানকার শীতের জন্য সাধারণত উপযুক্ত নয়। তাই শীতের পোশাক এখানে কেনা ভালো। তবে, কিছু হালকা পোশাক যেমন:

  • ফুল হাতা গেঞ্জি

  • পোশাকের নিচে পরার পাতলা ট্রাউজার ইত্যাদি দেশে নিয়ে আসা উচিত।

৪. পেনড্রাইভ, হার্ড ডিস্ক: পেনড্রাইভ বা হার্ড ডিস্ক আনা যেতে পারে, তবে কম্পিউটার এখানে কেনা ভালো। আপনি জাপানে সেকেন্ড হ্যান্ড শপ থেকেও কম্পিউটার কিনতে পারেন (যেমন Janpara Shizuoka)। এছাড়া, কিস্তিতেও কম্পানি বা University Coop থেকে কেনা সম্ভব।

৫. প্রয়োজনীয় ওষুধ: কিছু সাধারণ ওষুধও সঙ্গে নিয়ে আসা উচিত:

  • জ্বরের জন্য নাপা, নাপান এক্সট্রা

  • আমাশয়, ক্রিমিনাশক, গ্রাস্ট্রিকের ওষুধ

  • হালকা এলার্জি নাশক

  • ব্যথা নাশক জেল, মলম ( সকল ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশন থাকা ভাল )
    যদি নিয়মিত কোনো ওষুধ খান, তাহলে তা প্রেসক্রিপশনসহ নিয়ে আসবেন।

৬. উপহার: আপনার ল্যাবের সুপারভাইজার বা টিউটরের জন্য দেশি কোনো ছটখাট উপহার নিয়ে আসতে পারেন, যেমন: বাহারি পার্স বা অন্যান্য ছোট উপহার।


নিজের জন্য আনার উপকরনের লিস্ট (নমুনা)

ঝ)পরিবারকে দ্রুত আনাতে চাইলে

যদি আপনার পরিবারকে দ্রুত আপনার কাছে আনতে চান, তবে বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। পরিবারসহ থাকার জন্য ফ্যামিলি বাসা এবং সিঙ্গেল বাসার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। নতুন বাসায় উঠতে গেলে অনেক টাকা একেবারে একসাথে পরিশোধ করতে হয়, তাই আপনি যদি দুটি বাসার জন্য আলাদা টাকা না দিতে চান, তাহলে প্রথম থেকেই ফ্যামিলি বাসা খোঁজার চেষ্টা করুন।

  1. ভিজিট ভিসায় পরিবার আনতে: আপনি যদি ভিজিট ভিসায় পরিবারকে নিয়ে আসেন, তাহলে পরে রেসিডেন্সি বা বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, কিছু এলাকায় এই সুবিধা নাও পাওয়া যেতে পারে, তাই এ বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন।

  2. COE (Certificate of Eligibility) এর মাধ্যমে আবেদন: আপনি যদি COE এর জন্য আবেদন করেন, তাহলে পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসার জন্য (৫ বছরের কম নয়) আবেদন করতে পারবেন। এটি আপনাকে দ্রুত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসতে সাহায্য করবে।👉বিস্তারিত COE (Dependent) Application in JAPAN

  3. ব্যাংক একাউন্ট ও মোবাইল সেবা: এখানে আসার পর আপনার ব্যাংক একাউন্ট যত দ্রুত হবে, তত তাড়াতাড়ি মোবাইল সিম নেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে, ৬ মাসের আগে Rakuten ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন না করাই ভালো। এছাড়া, ৬ মাসের আগে JRF Remit বা Payforex এর মাধ্যমে সরাসরি টাকা পাঠানোর সুবিধা রয়েছে, তবে ব্যাংক একাউন্টে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা ৬ মাস পরই সম্ভব।

  4. My Number Card: যখন আপনি ওয়ার্ড অফিস এ যাবেন, তখন দ্রুত My Number Card এর জন্য আবেদন করে ফেলুন। এই কার্ডটি আপনি বিভিন্ন সরকারি সুবিধা নিতে এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের জন্য Jumin H (住民票) তুলতে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া, অনেক সময় এই কার্ডের মাধ্যমে প্রায় ২০,০০০ ইয়েন পর্যন্ত সাহায্য পাওয়া যেতে পারে

ভালভাবে ০৩,০৪ বা ০৫ বছর অতিক্রান্ত করার জন্য আপনি নিজেই কিছুদিনের মধ্যে অনেক কিছুই শিখে যাবেন, এর পাশাআশি কিছু বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই-

১। কখনই বাংগালি অবাংগালি কারও নিন্দা, দোষচর্চা তথা গীবত শুনবেন না আর করবেনও না।

১. নিন্দা বা গীবত থেকে দূরে থাকুন: কখনওই বাঙালি বা অবাঙালির নিন্দা, দোষচর্চা বা গীবত শুনবেন না এবং নিজেও করবেন না। এটি আপনার মনোভাব এবং পরিবেশকে নষ্ট করতে পারে।

২. অপছন্দনীয় আচরণে সতর্ক থাকুন: যদি কেউ আপনার সামনে অন্যের দোষচর্চা, অযাচিত মন্তব্য বা কাজ করে, তাহলে তাকে যতটা সম্ভব সরাসরি সংশোধন করুন। যদি সেটি সম্ভব না হয়, তাহলে স্রেফ দূরত্ব বজায় রাখুন এবং পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসুন।

৩. অন্যের দোষ না প্রকাশ করা: জাপানি বা অন্য কোনো দেশের ব্যক্তির কাছে অন্য জাপানি বা বাঙালির খারাপ বিষয় উল্লেখ করা উচিত নয়। বিশেষ করে নিজেদের মধ্যে যে ধরনের দন্দ বা অশান্তি থাকে, সেগুলি তাদের কাছে তুলে ধরা উচিত নয়।

৪. বস বা সহকর্মীর সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য না করা: যেখানে আপনি কাজ করছেন, সেখানে আপনার বস বা সহকর্মী সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক কথা বলবেন না, বিশেষ করে জাপানি সহকর্মীদের কাছে। এটি আপনার কর্মজীবনকে সুস্থ এবং সম্পর্কগুলোকে উন্নত রাখবে।

৫. রমজান মাসে সম্মান বজায় রাখা: রমজান মাসে সবসময় একসাথে কাজ শেষ করা উচিত। বসকে খুশি করার জন্য অতিরিক্ত কাজের বোঝা  নিজের ওপর চাপিয়ে, বেশি সময় অফিসে ত অবস্থান করে,  অন্যদের ধর্মীয় আচরণে অসুবিধা সৃষ্টি করবেন না। সবার ধর্মীয় শ্রদ্ধা ও সময়ের প্রতি সম্মান দেখান।

৬. এদেশীয় মাছ খাওয়া: এদেশের মাছ খাওয়ার অভ্যাস করলে গোস্তের প্রতি আগ্রহ কমবে। যেমন, ভেলর (শনি/রবিবার সকাল ০৯টার দিকে গিয়ে মাছ কিনে কাটানো যায়), মম এ বড় মাছ পাওয়া যায় এবং এয়ন বিগ-এ চিংড়ি ও ছোট মাছ পাওয়া যাবে।

৭. ডিসকাউন্ট স্টিকার চেনা: অনেক সময় পণ্যে ১০%, ২০%, ৩০% বা ৫০% ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। ডিসকাউন্ট স্টিকার সাধারণত হালকা লাল রঙের হয়ে থাকে এবং এটি বারকোড বা প্যাকেটের গায়ে থাকে। তাই এসব স্টিকার চেনা এবং সেগুলি ব্যবহার করা ভালো।

৮. অনুবাদ সেবা ব্যবহার করা: গুগল ট্রান্সলেটর এবং Deepl Translator জাপানে খুব জনপ্রিয় এবং যথেষ্ট কার্যকর। আপনি এই দুটি অ্যাপ ব্যবহার করে ভাষাগত বাধা সহজে অতিক্রম করতে পারবেন।

৯. বডি ক্লক ও সময়ের সাথে মানিয়ে চলা: প্রথমদিকে আপনার শরীরের বডি ক্লক ঠিক হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে, যার ফলে ঘুমের শিডিউল এলোমেলো হতে পারে। তবে কিছুদিন পর শরীর স্বাভাবিকভাবে এই নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেবে।


ঞ)মুসলমান হলে অবশ্যই ঈমান রক্ষা করা !

মুসলিম হিসেবে ঈমানকে দৃঢ় রাখতে, হালাল খাবারের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আপস করা উচিত নয়। জুম্মার নামাজ আদায়, মসজিদে নিয়মিত মুসল্লা হিসেবে উপস্থিত থাকা, এবং ইসলামি জীবনযাপন যদি সম্ভব হয়, তবে সেগুলি পালন করতে হবে। যদি তা না হয়, তবে কিছুদিন পর হয়তো নিজের জীবন থেকে ইসলামের প্রভাব হারানো শুরু হবে, এবং পরবর্তী বংশধরের মধ্যে ঈমানের সংকট তৈরি হতে পারে। আল্লাহ না করুন, এমন পরিস্থিতি থেকে পরবর্তী প্রজন্ম নাস্তিক হয়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে যে, অমুসলিম দেশে জন্ম নেওয়া মুসলিম সন্তানেরা প্রতি ৪০ বছরে প্রায় ২৫% হারে নাস্তিক হয়ে যায়। এটি খুবই দুঃখজনক যে, ঈমানের যে দৌলত আমাদের বংশপরম্পরায় ছিল, তা পরবর্তী প্রজন্মে হারিয়ে গিয়ে তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামের বাসিন্দা হয়ে যায়।

সুতরাং, অমুসলিম দেশে আসার জন্য হালাল-হারাম খাদ্য ও উপার্জন সংক্রান্ত মাসআলা-মাসায়েল সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবসময় ইসলামি বিধি-বিধান মেনে চলা উচিত।

পুরুষদের জন্য সতর্কতা:অমুসলিম দেশে যাওয়ার আগে, অবশ্যই শাদী মোবারক করে নেয়া উচিত। এর কারণ, সেখানে গেলে চোখের সামনে স্বল্পদৈর্ঘ্য পোশাক পরিহিত উজ্জ্বল চামড়ার নারীদের চলাফেরা একেবারে সাধারণ হয়ে ওঠে। এতে আপনার জন্য চোখের হেফাজত কঠিন হতে পারে। তাছাড়া, যদি ক্ষুধার্ত অবস্থায় হারাম ও সন্দেহজনক খাবারের সম্মুখীন হন, অথবা জীবিকার প্রয়োজনে হারাম ও সন্দেহজনক কাজের সুযোগ আসে, তবে ঈমানের সংকট সৃষ্টি হতে পারে।

নামাজের সময়সূচী জানার জন্য আপনি বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত এই দুটি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, যা আপনাকে নামাজের সময় সঠিকভাবে জানিয়ে দিবে।