Tuesday, November 25, 2014

এক নজরে কুষ্টিয়া জেলা :সংকলনে: মোঃ ইমরান নূর মানিক

এক নজরে কুষ্টিয়া জেলা
সাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে পরিচিত কুষ্টিয়া জেলার উত্তর পশ্চিম এবং উত্তরে পদ্মা নদীর অপর তীরে রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলা, দক্ষিণে ঝিনাইদহ জেলা, পশ্চিমে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং ভারতের নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলা এবং পূর্বে রাজবাড়ী জেলা অবস্থিত। ভারতের সাথে কুষ্টিয়ার ৪৬.৬৯ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা আছে।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই কুষ্টিয়া শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বাংলাদেশকে করেছে সমৃদ্ধ। এছাড়াও বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন এবং বাউল সম্রাট লালনের তীর্থভূমি, পুরাতন কুষ্টিয়া হাটশ হরিপুর গ্রামে গীতিকার, সুরকার ও কবি আজিজুর রহমানের বাস্ত্তভিটা ও কবর, এ জনপদে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট কবি দাদ আলী, লেখিকা মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা, ‘‘এই পদ্মা এই মেঘনা’’ গানের রচয়িতা আবু জাফর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান, কুষ্টিয়ার সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠাতা কাঙাল হরিণাথ, নীল বিদ্রোহের নেত্রী প্যারী সুন্দরী, স্বদেশী আন্দোলনের নেতা বাঘা যতিন, প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সঙ্গীত শিল্পী মোঃ আব্দুল জববার, ফরিদা পারভীনসহ অসংখ্য গুণীজনের পীঠস্থান কুষ্টিয়াকে সমৃদ্ধ করেছে।
সাধারণ তথ্যাবলীঃ 
আয়তন
১৬২১.১৫ বর্গ কিঃ মিঃ
নির্বাচনী এলাকা
৪ টি
মোট ভোটার সংখ্যা
১১,৭১,৪২৭
পুরুষ
৫,৭২,৯৬৩ জন
মহিলা
৫,৯৮,৪৬৪ জন
উপজেলা ৭
৬ টি কুষ্টিয়া সদর, কুমারখালী, খোকসা, মিরপুর, ভেড়ামারা এবং দৌলতপুর।
থানা
৭ টি
পৌরসভা
৫ টিএর মধ্যে কুষ্টিয়া ও কুমারখালী ১ম শ্রেণি, ভেড়ামারা ও মিরপুর ২য় শ্রেণি এবং খোকসা ৩য় শ্রেণি ভুক্ত
ইউনিয়ন
৬৭ টি
ওয়ার্ড 
৩৯ টি
গ্রাম
৯৭৮ টি 
প্রথম মহকুমা প্রশাসকঃ  ডাবলু এইচ রাইল্যান্ড (১৮৬১)
সিটি কর্পোরেশন

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
৩ টি
বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
২৩৮ টি
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
৭২ টি
মাদ্রাসা
৬৩ টি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
৪৩০ টি
রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়
২৮৬ টি
সরকারি কলেজ
৩ টি
বেসরকারি কলেজ
৬০ টি (৪২ টি এমপিও ভুক্ত)
বাণিজ্যিক কলেজ
১ টি
পলিটেকনিক
১ টি
বিশ্ববিদ্যালয়
১ টি
মৌজা
৭০৭ টি
নদী
১১ টি
বদ্ধ জলমহাল

২০ একরের উর্দ্ধে
৩৮ টি
অনুর্দ্ধ ২০ একর
৫৪ টি
উন্মুক্ত জলাশয়
৭ টি
হাটবাজার
৩১০ টি
মোট জমি
১৬২১২৫ হেক্টর
মোট আবাদি জমি
১১৫৯৭৮ হেক্টর
ইউনিয়ন ভূমি অফিস
৬৩ টি
পাকা রাস্তা
৪৬৯.৯২ কিঃ মিঃ
কাঁচা রাস্তা
২০৩১.৭ কিঃ মিঃ
আবাসন
১৩ টি
আশ্রয়ণ প্রকল্প
৭ টি
আদর্শগ্রাম
৭ টি
খেয়াঘাট / নৌকাঘাট

দর্শনীয় স্থান
শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, ফকির লালন শাহের মাজার, মীর মশাররফ হোসেনের বাসত্ম ভিটা ইত্যাদি।
আদিবাসী , জনগোষ্ঠী

জনসংখ্যার ঘনত্ব
১০৭৩/বঃকিঃমিঃ
সংসদীয় আসন
৪ টি
শিল্প

সাক্ষরতার হার
৪০.৩৭%
স্বাস্থ্য

জেনারেল হাসপাতাল
১ টি (২৫০ শয্যাবিশিষ্ট)
উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স
৫ টি
স্কুল হেলথ সেন্টার
১ টি
জেল হাসপাতাল
১টি (২৭ শয্যা বিশিষ্ট) ।
কৃষি

মোট ফসলী জমির পরিমাণ
১,১৫,৯৭৮ হেক্টর
মোট কৃষক পরিবারের সংখ্যা
২,৩৫,১০৪ টি
প্রধান ফসল
ধান, আখ, তামাক, পাট, গম, ভূট্টা, সরিষা, ডাল
দুর্যোগ প্রবন এলাকা কিনা
না


জেলা হিসেবে অভ্যুদয়

     ১৭২৫ সালে কুষ্টিয়া নাটোর জমিদারীর অধীনে ছিল এবং এর পরিচিতি আসে কান্ডানগর পরগণার রাজশাহী ফৌজদারীর সিভিল প্রশাসনের অন্তর্ভূক্তিতে। পরে বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ১৭৭৬ সালে কুষ্টিয়াকে যশোর জেলার অন্তর্ভূক্ত করে। কিন্তু ১৮২৮ সালে এটি পাবনা জেলার অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৮৬১ সালে নীল বিদ্রোহের কারণে কুষ্টিয়া মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১৮৭১ সালে কুমারখালী ও খোকসা থানা নিয়ে কুষ্টিয়া মহকুমা নদীয়ার অর্ন্তগত হয়। ভারত উপমহাদেশ বিভক্তির পূর্বে কুষ্টিয়া নদীয়া জেলার আওতায় একটি মহকুমা ছিল। ১৯৪৭ সালে কুষ্টিয়া জেলার অভ্যুদয় ঘটে। তখন কুষ্টিয়া জেলা ৩ টি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিল। এগুলো কুষ্টিয়া , চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর। এরপর ১৯৮৪ সালে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর আলাদা জেলা হিসেবে পৃথক হয়ে গেলে কুষ্টিয়া মহকুমার ৬ টি থানা নিয়ে বর্তমান কুষ্টিয়া জেলা গঠিত হয়।


জেলার পটভূমি

নামকরণ
কুষ্টিয়ার নামকরণ নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনী। কুষ্টিয়ায় একসময় কোষ্টার (পাট) চাষ হত বলে কোষ্টা শব্দ থেকে কুষ্টিয়া নামকরণ হয়েছে। হেমিলটনের গেজেটিয়ারে উল্লেখ আছে যে স্থানীয় জনগণ একে কুষ্টি বলে ডাকত বলে এর নাম হয়েছে কুষ্টিয়া। অনেকের মতে ফরাসি শব্দ’’ কুশতহ’’ যার অর্থ ছাই দ্বীপ থেকে কুষ্টিয়ার নামকরণ হয়েছে। সম্রাট শাহজাহানের সময় কুষ্টি বন্দরকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের উৎপত্তি ঘটেছে।
জেলা হিসেবে অভ্যুদয়
১৭২৫ সালে কুষ্টিয়া নাটোর জমিদারীর অধীনে ছিল এবং এর পরিচিতি আসে কান্ডানগর পরগণার রাজশাহী ফৌজদারীর সিভিল প্রশাসনের অন্তর্ভুক্তিতে। পরে বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ১৭৭৬ সালে কুষ্টিয়াকে যশোর জেলার অন্তর্ভূক্ত করে। কিন্তু ১৮২৮ সালে এটি পাবনা জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৬১ সালে নীল বিদ্রোহের কারণে কুষ্টিয়া মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১৮৭১ সালে কুমারখালী ও খোকসা থানা নিয়ে কুষ্টিয়া মহকুমা নদীয়ার অন্তর্গত হয়। ভারত উপমহাদেশ বিভক্তির পূর্বে কুষ্টিয়া নদীয়া জেলার আওতায় একটি মহকুমা ছিল। ১৯৪৭ সালে কুষ্টিয়া জেলার অভ্যুদয় ঘটে। তখন কুষ্টিয়া জেলা ৩ টি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিল। এগুলো কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর। এরপর ১৯৮৪ সালে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর আলাদা জেলা হিসেবে পৃথক হয়ে গেলে কুষ্টিয়া মহকুমার ৬ টি থানা নিয়ে বর্তমান কুষ্টিয়া জেলা গঠিত হয়।

সীমানা
কুষ্টিয়া জেলার উত্তর পশ্চিম এবং উত্তরে পদ্মা নদীর অপর তীরে রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলা, দক্ষিণে ঝিনাইদহ জেলা, পশ্চিমে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং ভারতের নদীয়া  ও মুর্শিদাবাদ জেলা এবং পূর্বে রাজবাড়ী জেলা অবস্থিত। ভারতের সাথে কুষ্টিয়ার ৪৬.৬৯ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা আছে।

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব
বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক অঙ্গনের স্বনামধন্য অনেক ব্যক্তি এ জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেনঃ 

ফকির লালন শাহ
বাউল সম্রাট লালন শাহ এর জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে যথেষ্ট মতান্তর রয়েছে। তার জাতি ধর্ম বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায় না। প্রবাদ আছে যে তার জন্ম হিন্দু কায়স্থ পরিবারে। কোন এক সময় তিনি এক বাউল দলের সঙ্গী হয়ে গঙ্গাস্নানে যান। পথিমধ্যে বসন্ত রোগে আক্রান্ত হলে সঙ্গীরা তাকে নদীর তীরে ফেলে যান। সিরাজ শাহ নামক এক মুসলমান বাউল তাকে কুড়িয়ে সেবা করে সুস্থ করে তোলেন। সিরাজ শাহর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তিনি মরমি সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। সিরাজ শাহর মৃত্যু হলে তিনি কুষ্টিয়ার ছেউঁড়িয়ায় আখড়া স্থাপন করে সেখানে তাঁর প্রতিভার বিকাশ ঘটান। নিজ সাধনায় তিনি হিন্দু-মুসলমান শাস্ত্র সর্ম্পকে বিশেষ বুৎপত্তি অর্জন করে বাউল সঙ্গীতে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেন। তাঁর গান আধ্যাত্মিক, মরমি ও শিল্পগুণে সমৃদ্ধ। তাঁর রচিত গানের সংখ্যা সহস্রাধিক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বপ্রথম লালনের ২৯৮টি গান সংগ্রহ করে  ২০টি গান তৎকালীন ‘‘প্রবাসী’’ প্রত্রিকায় প্রকাশ করেন। তাঁর খাচার ভিতর অচিন পাখী, বাড়ির পাশে আরশি নগর, মিলন হবে কত দিনে আমার মনের মানুষের সনে, আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে ইত্যাদি গান বাউলতত্ত্ব বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের ১ কার্তিক ছেউঁড়িয়ায় তিনি দেহত্যাগ করেন।

মোহিনী মোহন (১২৪৫-১৩২৯ বঙ্গাব্দ)
কুমারখালীর এলঙ্গী গ্রামে জন্ম। ১৯০৮ সালে পূর্ববঙ্গের প্রাচীনতম কাপড়ের মিল মোহিনী মিলস্ এর প্রতিষ্ঠাতা।
কাঙাল হরিনাথ মজুমদার
কুমারখালীর কুন্ডুপাড়া গ্রামে জন্ম। তিনি সমাজবিপ্লবী-সাময়িক পত্রসেবী হিসেবে পরিচিত। তার পরিচালিত গ্রামবার্তা প্রকাশিকা (১৮৬৩-৮৫) সমকালে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ব্রহ্মান্ড দেব, ফিকির চাঁদের গীতাবলী, বিজয় বসন্ত উল্লেখযোগ্য। তার প্রতিষ্ঠিত এম এন (মথুরানাথ এর নামে) প্রেসে মীর মশাররফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধু গ্রন্থটি ছাপানো হয়। গ্রামবার্তা পত্রিকাটিও এখান থেকে প্রকাশিত হতো। প্রেসটির  ধ্বংসাবশেষ এখনো পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
 রাধা বিনোদ পাল
১৮৯৬ সালে দৌলতপুর উপজেলার সেলিমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক সামরিক আদালতের প্রধান বিচারক হিসেবে বিচার কার্য পরিচালনা করেছিলেন। অন্যান্য দেশের বিচারকরা যখন জাপানকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে, তিনি তখন জাপানকে যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে নির্দোষ প্রমাণ করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। জাপানে কিয়োটো শহরে তার নামে একটি যাদুঘর ও রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে।
 প্যারী সুন্দরী  (১৮০০-১৮৭০)
বর্তমান মিরপুর উপজেলার সদরপুরের মহিলা জমিদার ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া অঞ্চলের নীল বিদ্রোহের নেত্রী ছিলেন। ১৮৬০ সালে বাংলাদেশে যে নীল বিদ্রোহ দেখা দেয় তা প্রকৃতপক্ষে কুষ্টিয়ায় শুরু হয়। কুষ্টিয়ার শালঘর মধুয়ার কুখ্যাত নীলকর টি. আই কেনির সঙ্গে আমলা সদরপুরের মহিলা জমিদার প্যারীসুন্দরীর লড়াইকে কেন্দ্র করে এ বিদ্রোহ প্রবল আকার ধারণ করে। শালঘর মধুয়ায় ছাউনী করে প্যারীসুন্দরীর নেতৃত্বে কৃষকরা জে. জি মরিসের দলকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। তিনি শালঘর মধুয়ার নীলকুঠি কয়েকবার আক্রমণ করেছিলেন।
মীর মশাররফ হোসেন
১৮৪৭ সালে কুমারখালীর লাহিনী পাড়ায় জন্ম। তার পিতা ছিলেন জমিদার মীর মোয়াজ্জেম হোসেন ও মাতা ছিলেন দৌলতন নেছা। বাঙালী মুসলমানদের মধ্যে তিনিই প্রথম একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন যার নাম ছিল ‘‘আজিজুননেহার’’ (১৮৭৪-৭৬)। তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য পত্রিকা ছিল ‘হিতকরী’’। তিনি অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেন এবং এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিষাদসিন্ধু, জমিদার দর্পণ, উদাসীন পথিকের মনের কথা, গাজী মিয়ার  বস্তামী, রত্নবতী, বসন্ত কুমারী, গোজীবন, আমার জীবনী, সংগীত লহরী ইত্যাদী। তাঁর স্মৃতিধন্য বাস্ত্তভিটায় তোরণ, কিছু ফলক, বিদ্যালয় ও লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
 এছাড়া শাহ্ আজিজুর রহমান, প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সংগীত বিশারদ আব্দুল জববার, ফরিদা পারভীন, কবি আজিজুর রহমান, আকবর হোসেন, রোকনুজ্জামান ওরফে দাদা ভাই, মাহমুদা খানম সিদ্দিকা, মন্মনাথ মুখোপাধ্যায় সহ আরও নাম না জানা অনেক গুণী ব্যক্তি এ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

http://www.kushtia.gov.bd/sites/default/files/www.kushtia.gov.bd/Tuhin.jpg?1353882883

দর্শনীয় স্থান

কিভাবে যাওয়া যায়
অবস্থান
কুষ্টিয়া শহর হতে রবীন্দ্রনাথ এর কুটি বাড়ির দূরুত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। কুষ্টিয়া শহর হতে অটো রিক্সা, সিএনজি ও ইজি বাইক ও অন্যান্য বাহন যোগে সহজেই এবং খুবই কম খরচে শিলাইদহ কুটি বাড়ি যাওয়া যায়।
শিলাইদহ, কুমারখালী, কুষ্টিয়া।
কুষ্টিয়া বাস স্ট্যান্ড হতে রিক্সা/অটোরিক্সাযোগে ছেউরিয়া নামক স্থানে, ভাড়া ৩০-৫০/-। কুষ্টিয়া বড় রেলস্টেশন হতে বাস স্ট্যান্ড হতে রিক্সা/অটোরিক্সাযোগে ছেউরিয়া নামক স্থানে, ভাড়া ২০-৩০/-।
ছেঁউরিয়া, কুমারখালী, কুষ্টিয়া।


ভৌগলিক পরিচিতিঅবস্থান
ভৌগোলিকভাবে কুষ্টিয়া জেলা ২৩°২৯র্ হতে ২৪°১৩র্উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°২৩র্ হতে ৮৯°২২র্ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত ।

  সীমানা
কুষ্টিয়া জেলার উত্তর পশ্চিম এবং উত্তরে পদ্মা নদীর অপর তীরে রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলা, দক্ষিণে ঝিনাইদহ জেলা, পশ্চিমে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং ভারতের নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলা এবং পূর্বে রাজবাড়ী জেলা অবস্থিত। ভারতের সাথে কুষ্টিয়ার ৪৬.৬৯ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা আছে।


নদ-নদী

প্রধান নদীঃ পদ্মা, গড়াই, কালীগঙ্গা, মাথাভাঙ্গা, কুমার, হিসনা, ইত্যাদি।
খাল
তালবাড়ীয়া খাল, মোসা খাল, জিয়া খাল, বৌদাঙ্গী খাল, বরিশাল খাল ইত্যাদি।
বিল
বামন্দী বিল, আড়ুয়া বিল, পুঁটিমারা বিল, মৌলার বিল, বোয়ালিয়া বিল, তালবাড়ীয়া বিল, সমসপুর বিল, কাদিরপুর বিল, সোনাপাতিল বিল ইত্যাদি।

যাতায়াত ব্যবস্থা

পাকা রাস্তা                           :      ৪৬৯.৯২ কিঃ মিঃ
আধাপাকা রাস্তা                      :       ৫৪০.১ কিঃ মিঃ
কাঁচা রাস্তা                           :    ২০৩১.৭ কিঃ মিঃ
নৌপথ                               :        ২১০ কিঃ মিঃ
রেলওয়ে                             :      ৪২.৫ কিঃ মিঃ

কুষ্টিয়ার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ উদ্বোধনের ছবি

http://www.kushtia.gov.bd/sites/default/files/imagecache/photo_small/12_4.JPG


যোগাযোগ
কুষ্টিয়া থেকে সড়ক পথে দেশের অন্যান্য জেলার দূরত্বঃ 

জেলার নাম
দূরত্ব (কি.মি)
1.       
চুয়াডাঙ্গা
৪৯
2.       
যশোর
৯৭
3.       
ঝিনাইদহ
৪৬
4.       
খুলনা
১৫৮
5.       
মাগুরা
৭৩
6.       
মেহেরপুর
৫৮
7.       
বগুড়া
২২৪
8.       
পাবনা
৬৬
9.      
রাজশাহী
১৩৭
10. 
দিনাজপুর
৪০৯
11. 
রংপুর
৩৩০
12. 
সিলেট
৬২৩
13. 
বরিশাল
২৬৪
14. 
চট্টগ্রাম
৫৪১
15. 
কুমিল্লা
৩৭৩
16. 
কক্সবাজার
৫৭৯
17. 
রাঙ্গামাটি
৬১৬
18. 
ঢাকা
২৭৭
19. 
ফরিদপুর
১৩২
20. 
গাজীপুর
১৮৪
21. 
ময়মনসিংহ
৪৭০
22. 
রাজবাড়ী
৬৫


অন্যান্য বিষয়

      মসজিদ                    :      ২৬৫ টি
      মন্দির                     :      ৩০ টি
      গীর্জা                      :      ১ টি
      এতিমখানা                :      ২ টি
      স্টেডিয়াম                 :      ১ টি



No comments:

Post a Comment