Saturday, October 12, 2024

অ-মুসলিম দেশে খাদ্য গ্রহণের পূর্বে হালাল- হারাম যাচাই করা আবশ্যক

অ-মুসলিম দেশে বসবাসরত মুসলিম ঈমান দার বান্দার জন্য খাদ্য বস্তু ( যেমন, বিভিন্ন দোকানে প্রাপ্ত খাদ্য ও পানীয়, রেস্টুরেন্টের খাবার, রান্নার জন্য ব্যবহৃত প্রাণিজ উপাদান তথা, মাছ, গোস্ত ইত্যাদি ) হারাম কিনা সেটা জানা জরুরি। 

কি ধরনের খাদ্য গ্রহণ করবে তার একটি সুস্পষ্ট মানদণ্ড ইসলামে রয়েছে।

হালাল খাদ্য গ্রহণ ( সম্পর্কিত আয়াত ও হাদিস)
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে-

 یٰۤاَیُّهَا الرُّسُلُ كُلُوْا مِنَ الطَّیِّبٰتِ وَ اعْمَلُوْا صَالِحًا ‘
হে রাসূলগণ! পবিত্র হালাল বস্তু আহার করুন এং সৎ কাজ করুন।-সূরা মুমিনূন : ৫১

উল্লেখিত আয়াতে হালাল খাবার গ্রহণ করতে বলা হয়েছে এবং নেক আমলের আদেশ করা হয়েছে। হালাল রুজি খেয়ে আমল করলে কলব ইবাদতের স্বাদ অনুভব করবে এবং আল্লাহর কাছে তা মাকবুল হওয়ার অতি নিকটে পৌঁছবে।

অন্য একটি আয়াতে আরও স্পষ্ট করে মানব সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে খাবারের মানদণ্ড বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে-

یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ كُلُوْا مِمَّا فِی الْاَرْضِ حَلٰلًا طَیِّبًا ‘
হে মানব সম্প্রদায় পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু আহার কর।’-সূরা বাকারা : ১৬৮

 
হালাল খাবার যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং ইবাদতের ক্ষেত্রে শক্তিশালী সহায়ক সেটাও কুরআনে কারীমে স্পষ্ট তুলে ধরা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য ঠিক রাখার মাধ্যমেই ইবাদত যথাযথ পালন করা সম্ভব তা সেখান থেকে প্রকাশ পেয়েছে।ইরশাদ হয়েছে-

فَكُلُوْا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللّٰهُ حَلٰلًا طَیِّبًا ۪ وَّ اشْكُرُوْا نِعْمَتَ اللّٰهِ اِنْ كُنْتُمْ اِیَّاهُ تَعْبُدُوْنَ
‘যদি তোমরা একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত কর তবে তোমাদেরকে যেসব হালাল ও পবিত্র বস্তু তিনি দিয়েছেন তা থেকেই তোমরা আহার কর এবং আল্লাহর নেয়ামতের শোকর আদায় কর।

আর মন্দ ও হারাম খাদ্য ভক্ষণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে-
 وَ یُحِلُّ لَهُمُ الطَّیِّبٰتِ وَ یُحَرِّمُ عَلَیْهِمُ الْخَبٰٓىِٕثَ
তিনি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল ঘোষণা করেন এবং অপবিত্র বস্তুসমূহ নিষিদ্ধ করেন।-সূরা আরাফ : ১৫৭

সন্দেহপূর্ণ বিষয় থেকে বেঁচে থাকা (বিস্তারিত ০১, ০২)
আতিয়্যা সা‘দী রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- 
لَا يَبْلُغُ العَبْدُ أَنْ يَكُوْنَ مِنَ المُتَّقِيْنَ حَتَّى يَدَعَ مَا لَا بَأْسَ بِه حَذَرًا لِمَا بِهِ البَأْسُ. 
বান্দা প্রকৃত মুত্তাকী হতে পারবে না, যতক্ষণ না সমস্যাযুক্ত বিষয় (তথা হারাম) থেকে বেঁচে থাকার জন্য সমস্যামুক্ত (অপ্রয়োজনীয় বৈধ ও মুবাহ) বিষয়ও পরিত্যাগ করবে। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২৪৫১; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৪২১৫

নুমান ইবনে বাশীর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- 
إِنَّ الْحَلَالَ بَيِّنٌ وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ، وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لَا يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِينِه وَعِرْضِه، وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ، كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يَرْتَعَ فِيهِ، 
নিশ্চয় হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। উভয়ের মধ্যে রয়েছে অনেক সন্দেহযুক্ত বিষয়। অনেক মানুষ তা জানে না। সুতরাং যে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত বিষয় থেকে বেঁচে থাকবে, সে তার দ্বীন ও সম্মানের হেফাযত করবে। পক্ষান্তরে যে সন্দেহযুক্ত বিষয়ে লিপ্ত হবে, সে হারামে জড়িয়ে যাবে। যেমন কোনো রাখাল যদি সরকারি সংরক্ষিত ভূমির আশপাশে (পশু) চরায়, তাহলে সমূহ সম্ভাবনা যে, পশু সংরক্ষিত ভূমির মধ্যে ঢুকে পড়বে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৯; সহীহ বুখারী, হাদীস ৫২

এই হাদীসের অন্য রেওয়ায়েতে কথাটি এভাবে এসেছে- 
فَمَنْ تَرَكَ مَا شُبِّهَ عَلَيْهِ مِنَ الْإِثْمِ كَانَ لِمَا اسْتَبَانَ أَتْرَكَ، وَمَنِ اجْتَرَأَ عَلَى مَا يَشُكُّ فِيهِ مِنَ الْإِثْمِ أَوْشَكَ أَنْ يُوَاقِعَ مَا اسْتَبَانَ 
সুতরাং যে সংশয়পূর্ণ গোনাহ বর্জন করবে সে স্পষ্ট গোনাহ বর্জনে আরো যত্নবান হবে। আর যে সংশয়পূর্ণ গোনাহে লিপ্ত হওয়ার দুঃসাহস দেখাবে, সে অচিরেই স্পষ্ট গোনাহে জড়িয়ে পড়বে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৪৬   

 পশু-পাখির জবাই সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত ( আরও জানুন)

➥⏩জবাইকারী মুসলমান কিংবা আহলে কিতাব তথা কোনো আসমানী কিতাবের অনুসারী এবং সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন বুঝমান ব্যক্তি হওয়া। 
➥⏩জবাইয়ের শুরুতে আল্লাহ তাআলার নাম উচ্চারণ করা এবং কোনো ধারালো বস্তু দ্বারা গলার দিক থেকে জবাই করা এবং  
➥⏩শ্বাসনালি , খাদ্যনালি ও দুইি শাহরগের অন্তত একটি কেটে রক্ত প্রবাহিত করত জবাই সম্পন্ন করা। 
এসব শর্তের কোনোটি না পাওয়া গেলে জবাই সহীহ হবে না এবং সে প্রাণী খাওয়াও জায়েয হবে না।

 অবশ্য উপরোক্ত শর্ত পাওয়া যায়, এমন কেউ যদি জবাইয়ের সময় আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করতে ভুলে যায় তাহলে জবাই সহীহ হবে। 

তবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃত আল্লাহ্র নাম ছেড়ে দেয় তাহলে উক্ত জবাই সহীহ হবে না। 
(সূরা মায়েদা (৫) : ৩-৫; সূরা আনআম (৬) : ১২১; সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫০৩; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৫৮৮৮; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, বর্ণনা ৮৫৭৮, ৮৫৪১ ও ৮৫৫৬; তাফসীরে তাবারী ৪/৪৪০; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/৭) 

আর জবাইয়ের জন্য একাধিক ব্যক্তি হওয়া জরুরি নয়, একজনও জবাই করতে পারবে। এমনিভাবে আড়াই পোঁচে জবাই করাও জরুরি নয়। এটি একটি ভুল প্রচলন। মাসআলা হচ্ছে, রগ কেটে রক্ত প্রবাহিত করে দেয়া, তা যত পোঁচেই হোক। তবে জবাইয়ের ক্ষেত্রে ধারালো অস্ত্র ব্যবহর করবে। যেন প্রাণীর অধিক কষ্ট না হয়।

জাপানে অনেক Groceries, Restaurants, Super shops , Convenience store   শুধু হালাল ( আরবি, ইংরেজিতে লিখে ) গোস্ত ও খাবার বিক্রি করছে। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র হালাল লেখা দ্বারাই যে সব হালাল হয় না তার উদাহরণ নীচের রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্টে শুকুর দিয়ে বানানো খাবার , হালাল চার্টে দেয়া হয়েছে।



রেস্টুরেন্টের ঠিকানা; গুগুল ম্যাপ
ছবি তুলেছেন; আমিন বিল্লাহ


অনেক রেস্টুরেন্টে হালাল খাবারেরAvailability সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে,  জবাবে হ্যাঁ বলে! অবাক করা বিষয় হলো, যিনি হালাল খাবার পরিবেশন করতে চাচ্ছেন, তিনি জানতেন না হালাল মানে কি।

খাবারের উপাদান যেমন হালাল হওয়া জরুরি খাবার রান্নার পাত্র এবং খাবার গ্রহণের পাত্রও হালাল হতে হবে। যদি কোন খাবার  প্রস্তুতকারক পাত্রে শূকর / হারাম উপায়ে জবেহ করা কোন প্রাণি রান্না করে এবং মদ পান/ খাবার রান্নায় মদ ব্যবহার করে তাহলে সেই পাত্র পাক করা ব্যতীত অন্য কোন হালাল খাবার রান্না করা কিংবা  খাবার খাওয়া যায়েজ নয়।  

عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نبَتَ منَ السُّحْتِ وكلُّ لحمٍ نبَتَ منَ السُّحْتِ كَانَتِ النَّارُ أَوْلَى بِهِ.


জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে দেহের মাংস/মাংস হারাম উপার্জনে গঠিত, তা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হারাম ধন-সম্পদে গঠিত ও লালিত পালিত দেহের জন্য জাহান্নামই উপযোগী। (আহমাদ১৪৪১, দারিমী ২৭৭৯, বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান ৮৯৭২)

Wednesday, July 3, 2024

Asian Shops at Suruga ward in Shizuoka City ( শিজুওকার রান্নার মসলা আর অন্যান্য উপকরণ)

Shizuoka is a lovely seaside multicultural residential area where people from many other Asian countries live for work and study. Thus, it is important to know the stores that sell daily essentials, particularly grocery items for foreigners. 
আপনার রান্নার মসলা, চা, বিস্কিট, চানাচুর ,নুডুলস, ভেড়ার গোস্ত, মাছ ইত্যাদি পাবেন এই দোকান গুলিতে।
Here is a brief outline of the Asian groceries.


1. Shizuoka Ceylon Food

It contains various types of Asian spices, namely cassia (cinnamon), coriander, chiles, cloves, cumin, galangal, garlic, ginger, star anise, and turmeric.
It also contains various halal snacks like chanachur, biscuits, juices, fuska, masala etc. Halal roti, paratha, singara, samucha are also available.
Halal meats like mutton ( Padma halal), ship, chicken( JCB), and different types of sweets are available.
ডাল, তেল, মসলা, মাছ, ভেড়ার গোস্তের নানান প্রকরণ,বাংলাদেশি শিঙ্গাড়া, সামুসা, ফ্রজেন ফল, কাচা মরিচ, চাউল, আদা, রসুন, আলু, ফলের ড্রিঙ্কস, বিস্কিট, চানাচুর, আটা ইত্যাদি পাবেন। 
শিজুওকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খুবই কাছের একটা দোকান। 

Location: Google Map
Adress: 2-chōme-8-59 Magarikane, Suruga Ward, Shizuoka, 422-8006
Owner: Nepali
Time: 13:00-20:00 (দুপুর ০১টা থেকে রাত ০৮ টা )



২. Himalayan halal bazar ヒマラヤン・ハラール・バザール

It contains various types of Asian spices, namely cassia (cinnamon), coriander, chiles, cloves, cumin, galangal, garlic, ginger, star anise, and turmeric.
It also contains various halal snacks like chanachur, biscuits, juices, fuska, masala etc. Halal roti, paratha, singara, samucha are also available.
Halal meats like mutton ( Padma halal), ship, chicken( JCB), and different types of sweets are available.
ডাল, তেল, মসলা, মাছ, ভেড়ার গোস্তের নানান প্রকরণ,বাংলাদেশি শিঙ্গাড়া, সামুসা, ফ্রজেন ফল, কাচা মরিচ, চাউল, আদা, রসুন, আলু, ফলের ড্রিঙ্কস, বিস্কিট, চানাচুর, আটা ইত্যাদি পাবেন। 
শিজুওকা রেল স্টেশন থেকে খুবই কাছের একটা দোকান। ফ্রি হোম ডেলিভারি পাবেন ;08051574224

Location: Google Map
Adress: 2-chōme-1-13 Ryogaecho, Aoi Ward, Shizuoka, 420-0032
Owner: Nepali
Time: 10:00-22:00 (সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা )




3. チャイ(Chai伝馬町店)indian nepali restaurant

It contains various halal snacks like chanachur, biscuits,  masala,  etc. Halal roti, noodles, and atta are also available.

Halal meats like mutton ( Padma halal), ship, chicken( JCB), and different types of sweets are available.
ডাল, তেল, মসলা,  ভেড়ার গোস্তের নানান প্রকরণ, চাউল, আদা, রসুন,  বিস্কিট, চানাচুর, আটা ,নুডুলস ইত্যাদি পাবেন। 
শিজুওকা রেল স্টেশন থেকে খুবই কাছের একটা দোকান। 

Location: Google Map
Adress: 8-2 Tenmacho, Aoi Ward, Shizuoka, 420-0858
Owner: Nepali
Time: 11:00-15:00 ; 15:00-22:00 (১১ টা থেকে ৩ টা ; বিকেল ০৫টা থেকে রাত ১০ টা )


4. Himalayan Mart ヒマラヤン マート & ヒマラヤン カレー ハウス

It contains various types of Asian spices, namely cassia (cinnamon), coriander, chiles, cloves, cumin, galangal, garlic, ginger, star anise, and turmeric.
It also contains various halal snacks like chanachur, biscuits, juices, fuska, masala etc. Halal roti, paratha, singara, samucha are also available.
Halal meats like mutton ( Padma halal), ship, chicken( JCB), and different types of sweets are available.
ডাল, তেল, মসলা, মাছ, ভেড়ার গোস্তের নানান প্রকরণ,বাংলাদেশি শিঙ্গাড়া, সামুসা, ফ্রজেন ফল, কাচা মরিচ, চাউল, আদা, রসুন, আলু, ফলের ড্রিঙ্কস, বিস্কিট, চানাচুর, আটা ইত্যাদি পাবেন। 
শিজুওকা রেল স্টেশন থেকে খুবই কাছের একটা দোকান। 

Location: Google Map
Adress: 4 Chome-2-24 Komagatadori, Aoi Ward, Shizuoka, 420-0042
Owner: Nepali
Time: 10:00-21:00 (সকাল ১০ টা থেকে রাত ০৯ টা ) 
Monday 13:00-19:00 (সমাবার ০১ টা থেকে ০৭ টা)


5. Sunrise Halal Food Shizuoka
It is on the same road as of Shizuoka Ceylon Food. Like the Ceylon food, it also contains various types of Asian spices, namely cassia (cinnamon), coriander, chiles, cloves, cumin, galangal, garlic, ginger, star anise, and turmeric.
It also contains various halal snacks like chanachur, biscuits, juices, fuska, masala, Shon papri, noodles etc. Halal roti, paratha, singara, samucha are also available.
Halal meats like mutton ( Padma halal), ship, chicken( JCB), and different types of sweets are available.

Location: Google Map
Adress: 2 Chome-7-71 Magarikane, Suruga Ward, Shizuoka, 422-8006
Owner: Nepali
Time: 10:00-21:00

6. Golden House Asian food store

It is located about 1 km from the Shizuoka station; this store has some halal fish and meat items. It contains sabudana and one type of halal noodles. Other items are related to nonmuslum communities from Asia. 
এখানে ভেড়ার গোস্ত, মাছের আইটেম, সাবু দানা পাবেন। এনারা  মুলিমদের হালাল হারাম সম্পর্কে তেমন একটা জ্ঞান রাখেন না।   তবে আপনি সময় নিয়ে খুজলে হালাল সিল যুক্ত নুডুলস, বিস্কিট, ওয়েফার, চিপস পেতে পারেন।
Location: Google Map
Adress: 1 Chome-18-8-2 Nakada, Suruga Ward, Shizuoka, 422-8041
Owner: Myanmar
Time: 12:00-18:00


7. Vietfoody ベトナム食材店 "Tạp hóa shizuoka"

It is about 0.5 km from the Shizuoka station; this store has halal fruits like Frozen Jackfruit, Lichee, mango, and Coconuts.  Other items are related to nonmuslum communities from Asia. 
এখানে  মূলত ফলের আইটেম ( কাঁঠাল, আম, ডাব) কাচা বাদাম পাবেন। এই দকানে মাছ আছে কিন্তু সেগুলি হালাল নয় এমন আইটেম যেমন, পাতিহাস, ব্যাং ইত্যাদির সাথে রাখা। আর এনারা  মুলিমদের হালাল হারাম সম্পর্কে তেমন একটা জ্ঞান রাখেন না।   তবে আপনি সময় নিয়ে খুজলে হালাল সিল যুক্ত নুডুলস, বিস্কিট, ওয়েফার, চিপস পেতে পারেন।
Location: Google Map
Adress: 〒422-8061 Shizuoka, Suruga Ward, Morishitacho, 1−16 エスカイア森下 101
Owner: Vietnam (+81 80 3676 1689)
Time: 10:00-19:00












8. Xuân Shop Việt Nhật

It is about 0.5 km from the Shizuoka station; this store has halal fruits like Frozen Jackfruit, Lichee, mango, and Coconuts.  Other items are related to nonmuslum communities from Asia. 
এখানে  মূলত ফলের আইটেম ( কাঁঠাল, আম, ডাব) কাচা বাদাম পাবেন। এই দকানে মাছ আছে কিন্তু সেগুলি হালাল নয় এমন আইটেম যেমন, পাতিহাস, ব্যাং ইত্যাদির সাথে রাখা। আর এনারা  মুলিমদের হালাল হারাম সম্পর্কে তেমন একটা জ্ঞান রাখেন না।   তবে আপনি সময় নিয়ে খুজলে হালাল সিল যুক্ত নুডুলস, বিস্কিট, ওয়েফার, চিপস পেতে পারেন।

Direction: 

First, go to the 静岡PARCO building (link in the Google map and in the picture above). 🔀Then go underground.
🔀Follow the underground path; you will see the store at the end of the row. (with the red flag having a star; last image)

Location: Google Map
Address: 6-7 Koyamachi, Aoi Ward, Shizuoka, 420-0852
Owner: Vietnam (Wholesale is also available)
Time: 11:00-20:00 ( সোমবার বন্ধ)







Wednesday, April 3, 2024

অমুসলিম দেশে বসবাস : ইসলামী দৃষ্টিকোণ by Khairul Islam

 



অমুসলিম দেশে বসবাস : ইসলামী দৃষ্টিকোণ
Khairul Islam 6/03/2022
হানাফী ফিকহ-Hanafi Fiqh
অনেক মুসলিমই উচ্চতর ডিগ্রি এবং জীবনসামগ্রীর আরো উন্নতি,আরো স্বচ্ছলতা-স্বাচ্ছন্দ, দুনিয়ার ভোগ-বিলাসিতার উদ্দেশ্যে আমেরিকা /ইংল্যান্ড / অস্ট্রেলিয়া এর মত অমুসলিম দেশে যেতে চাই সম্ভব হলে একেবারে থেকে যেতে চাই।
অনেকেরই প্রশ্ন ইসলামী শরীয়ত এই ব্যাপারে কি বলে? ইসলামে কি এব্যাপারে অনুমতি আছে?
উত্তর: এক্ষেত্রে শরয়ী দৃষ্টিকোণ হলো,অমুসলিম দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করা এবং সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করা,এটি এমন একটি মাসআলা,যার হুকুম স্থান কাল পাত্র ভেদে,প্রেক্ষাপট পরিস্থিতি এবং বসবাসকারী
ব্যক্তির উদ্দেশ্য ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারণে হুকুমও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপ:
১.কোনো ব্যক্তির যদি স্বীয় মুসলিম দেশে এতটুকু জীবিকা উপার্জনের ব্যবস্থা থাকে,যতটুকু দ্বারা সে নিজ শহরের স্টাটাস অনুযায়ী চলতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র জীবনসামগ্রীর আরো উন্নতি,আরো স্বচ্ছলতা-স্বাচ্ছন্দ, দুনিয়ার ভোগ-বিলাসিতার উদ্দেশ্যে কোনো অমুসলিম দেশে যেতে চায় এবং দারুল হারবের পরিচয় ও জাতীয়তাকে শ্রেষ্ঠ মনে করে এবং সেটাকে দারুল ইসলামের পরিচয় ও জাতীয়তার উপর প্রাধান্য দিয়ে কোনো অমুসলিম দেশের নাগরিকত্ব ও জাতীয়তা অর্জন করা জায়েয নয়। কেননা, এক্ষেত্রে ইহকালীন পরকালীন কোনো প্রয়োজন ছাড়া সেখানকার অশ্লীলতা বেহায়াপনায় নিজেকে নিজে ফেলে দেয়া হচ্ছে। আর বিনা প্রয়োজনে নিজের দ্বীন-ধর্ম, আখলাক-চরিত্র ইত্যাদিকে এক ঝুকির মধ্যে ফেলে দেয়া কোনো অবস্থাতেই বৈধ হতে পারে না।
এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা হলো, যারাই শুধুমাত্র সুখী, সমৃদ্ধি, ভোগ-বিলাসিতার উদ্দেশ্যে কোনো অমুসলিম দেশে বসবাস করছে, তাদের ধর্মীয় চেতনা একেবারে দুর্বল হয়ে যায়। এধরনের লোকেরা কুফরী পরিবেশে থেকে সেখানকার কালচারে উজ্জীবিত হয়ে যায়। আর ধীরে ধীরে তারা কেবল তাদের চেহারা (পোশাক, পোশাক, আকৃতি ও রূপ) এবং অবয়বে কাফেরদের সাদৃশ্যতাই গ্রহণ করে না, বরং কাফেরদের সাদৃশ্যতাকে
নিজেদের জন্য গর্বের কারণ মনে করে, যা স্পষ্টতই হারাম।
একারণে পবিত্র হাদীস শরীফে অত্যন্ত প্রয়োজন ব্যতীত, অমুসলিমদের সাথে বসবাস করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
যেমন, আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন :
من جامع المشركين وسكن معه، فانه مثله –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ,আবু দাঊদ ২/৩৮৫)
হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
انا بريئ من كل مسلم يقيم بين اظهر المشركين، قالوا يا رسول الله! لم؟ قال لا ترئ اي نارهما-
“সেসব মুসলমানদের ব্যাপারে আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই, যারা অমুসলিমদের সাথে বসবাস করে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এর কারণ কি? তিনি উত্তরে বললেন, ইসলামের অগ্নি এবং কুফরীর অগ্নি উভয়টি এক সাথে থাকতে পারেনা। কোনটি মুসলমানের আগুন, কোনটি অমুসলিমের আগুন তোমরা তা পার্থক্য করতে পারবেনা”। আবু দাঊদ ৩/৪৫
আবু দাঊদ শরীফে মাকহূল (রহ.) থেকে মুরসাল রিওয়ায়াত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন : “নিজেদের সন্তান-সন্তুতিদেরকে অমুসলিমদের মাঝে ছেড়ে দিওনা”। (তাহযীবুস সুনান লি ইব্ন কায়্যিম ৩/৪৩৭)
একারণে ফুকাহায়ে কিরাম বলেন, শুধুমাত্র চাকরির উদ্দেশ্যে কোনো মুসলিম ব্যক্তির জন্য অমুসলিম দেশে বসবাস করা এবং তাদের সংখ্যায় বৃদ্ধি করা, এটি এমনি একটি কাজ, যার দ্বারা তার ন্যায়পরায়নতা
চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। (তাকমিলায়ে রাদ্দুল মুখতার ১/১০১)
২.যদি কোনো মুসলমান কোনো কঠিন অজুহাত ও বাধ্যবাধকতার কারণে অমুসলিম দেশে চলে গিয়ে বসবাস শুরু করে,যেমন,কোনো অপরাধ ছাড়াই তারা নিজ দেশে নৃশংসতা ও কারাবরণ করছে এবং এসব জুলুম থেকে বাঁচার অন্য কোনো উপায় না থাকে বা কোনো ব্যক্তি চরম অর্থনৈতিক সংকটের শিকার হয় এবং চেষ্টা সত্ত্বেও ইসলামী দেশে অর্থনৈতিক সম্পদ না পাওয়া যায় এবং তার নিজের ব্যাপারে পূর্ণ আস্থা থাকে যে,সে একটি অমুসলিম দেশে শরিয়া নিয়ম মেনে তার ধর্ম ও ঈমান রক্ষা করতে পারবেন এবং সে দেশে বিদ্যমান মুনকারাত ও অশ্লীলতার সাগরে ডুবে যাওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন। এমনিভাবে যদি স্ত্রী-সন্তানাদি সাথে থাকে তাহলে তাদের সম্পর্কেও এই আস্থা থাকা শর্ত। তাহলে এ পরিস্থিতিতে তার জন্য অমুসলিম দেশে বসবাস এবং সেখানকার নাগরিকত্ব অর্জন জায়েয। যেমনটা সাহাবায়ে কেরাম রাযি. তাদের স্বদেশে ধর্মের উপর ভিত্তি করে প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড ও পরিস্থিতিতে বিরক্ত হয়ে একটি অমুসলিম দেশে (আবিসিনিয়া) তাদের জীবন রক্ষার জন্য তাদের আশ্রয় নিয়েছিলেন।
৩.এমনিভাবে কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও জীবিকা উপার্জনের কোন সোর্স ব্যবস্থা করতে না পারে এবং অমুসলিম দেশে বৈধ চাকরি করার উদ্দেশ্যে সেখানে যায় তাহলে সেটাও বৈধ হবে। তবে শর্ত হলো, সেখানে ধর্ম পালনে বাধাপ্রাপ্ত না হতে হবে।কেননা, হালাল জীবিকা অন্বেষণ করাও ফরজ ইবাদতসমূহের পর একটি অন্যতম ফরজ কাজ। আর জীবিকা উপার্জনের জন্য ইসলাম কোনো জায়গাকে নির্দিষ্ট করে দেয়নি।বরং জীবিকা উপার্জনের ব্যাপারে ইসলামের ব্যাপক অনুমতি রয়েছে যে,যেখান থেকে ইচ্ছা করবে সেখান থেকে জীবিকা উপার্জন করতে পারবে।
যেমন কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে :
هو الذي جعل لكم الارض ذلولا فامشوا في مناكبها وكلوا من رزقه واليه النشور-
“আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন সুগম, সুতরাং তোমরা তাতে ভ্রমণ কর এবং তার দেয়া জীবিকা থেকে আহার কর, তোমাদেরকে তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে”। (সূরা মুলক, আয়াত, ১৫)
৪.এমনিভাবে কাফেরদের কাছে দ্বীনের দাওয়াত দিবে, কিংবা সেখানে বসবাসরত মুসলিমদেরকে ইসলামী হুকুম আহকাম শিক্ষা দিবে, কিংবা দ্বীনের উপর অটল অবিচল থেকে শরীয়তের বিধি-বিধান পালনের ব্যাপারে উদ্ধুদ্ধ করবে, এসব উদ্দেশ্যে সেখানে বসবাস করা শুধু কেবল জায়েযই নয়, বরং ছাওয়াবের অধিকারীও হবে। যেমন বহু সাহাবায়ে কিরাম এবং তাবেঈনগণ এধরনের নেক নিয়তে অমুসলিম দেশে বসবাস করছেন। যা পরবর্তীতে তাদের সুমহান জীবন চরিতের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গিয়েছে।
৬.মুসলমানদের উপর গর্ব করার জন্য দারুল ইসলামের উপর দারুল কুফরকে প্রাধান্য দেওয়া, যেন কাফেরদের জীবন ব্যবস্থার ন্যায় তাদের জীবন ব্যবস্থা হয়ে যায় কিংবা তাদের কালচার গ্রহণের জন্য অমুসলিম দেশে বসবাস করে, এসব উদ্দেশ্যে অমুসলিম দেশে বসবাস করা শরী‘আত অনুযায়ী সম্পূর্ণ হারাম।
যেমন হাদিসে এসেছে,
من تشبه بقوم فهو منهم. الحدیث.
(مشکاة المصابیح، کتاب اللباس، الفصل الثاني، ۲/۳۷۵، ط: قدیمی کراچی)
যে ব্যক্তি কোনো জাতির অনুকরণ করে সে তাদেরই একজন। মিশকাতুল মাসাবিহ 2/375
৭. অমুসলিম দেশে প্রথম থেকেই বসবাসরত একজন নওমুসলিম যার জন্য অন্য দেশে বসবাস করা কঠিন এবং সেই দেশে বসবাস করে ইসলাম পালনে বাধাপ্রাপ্ত না হয় তাহলে তার জন্যও সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
৮.চিকিৎসার জন্য অমুসলিম দেশে যাওয়া,প্রকাশ থাকে যে,এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন,যদি স্বদেশে এটি অসম্ভব হয় তবে অমুসলিম রাষ্ট্রে যাওয়া জায়েয।
৯.যতদূর শিক্ষার ক্ষেত্রে,এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর এবং গুরুতর বিষয়।স্পষ্টতই এর জন্য বাসস্থান প্রয়োজন। যে সকল অবস্থায় অমুসলিম দেশে আবাস গ্রহণ করা মাকরূহ বা হারাম সেসব ক্ষেত্রে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য যাওয়া এবং সেখানে বসবাস করা মাকরূহ বা হারাম হবে।
আর যে সকল অবস্থায় অমুসলিম দেশে আবাস গ্রহণ করা জায়েয সেসব ক্ষেত্রে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য যাওয়াও জায়েয হবে।
তবে এক্ষেত্রে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে হবে যে,যদি নিজ দেশে ধর্মীয়,জাগতিক শিক্ষাগত চাহিদা পূরণ করা যায়, তাহলে অবশ্যই এই নোংরা পরিবেশ থেকে দূরে থাকা উচিত। ফাতাওয়ায়ে বাইয়্যিনাত 3/372