#ঘরে_জামাত_ও_জুমআ_আদায়_করার_মাসাইল
আল্লহ তায়ালা বলেন:
وَاجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قِبْلَةً وَأَقِيمُوا
الصَّلَاةَ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
আর তোমাদের গৃহগুলিকে ইবাদতগৃহ কর, সালাত কায়েম কর এবং মু'মিনদেরকে সুসংবাদ দাও।' সূরা ইউনুস: ৮৭।
وَقَالَ الثَّوْرِيُّ أَيْضًا، عَنِ ابْنِ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ: ﴿وَاجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قِبْلَةً﴾ قَالَ: كَانُوا خَائِفِينَ، فَأُمِرُوا أَنْ يُصَلُّوا فِي بُيُوتِهِمْ.
وَقَالَ مُجَاهِدٌ: ﴿وَاجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قِبْلَةً﴾ قَالَ: لَمَّا خَافَ بَنُو إسرائيل من فِرْعَوْنَ أَنْ يُقْتَلُوا(٥) فِي الْكَنَائِسِ الْجَامِعَةِ، أُمِرُوا أَنْ يَجْعَلُوا بُيُوتَهُمْ مَسَاجِدَ مُسْتَقْبِلَةً الْكَعْبَةَ، يُصَلُّونَ فِيهَا سِرًّا. وَكَذَا قَالَ قَتَادَةُ، وَالضَّحَّاكُ.(تفسير ابن كثير) .
وفي تفسير روح المعاني:
﴿قِبْلَةً﴾ أيْ مُصَلًّى.... والِاخْتِلافُ في المُرادِ هُنا ناظِرٌ لِلِاخْتِلافِ في أنَّ تِلْكَ البُيُوتَ المُتَّخَذَةَ هَلْ لِلسُّكْنى أوْ لِلصَّلاةِ، فَإنْ كانَ الأوَّلَ فالقِبْلَةُ مَجازٌ عَنِ المُصَلّى وإنْ كانَ الثّانِي فَهي مَجازٌ عَنِ المَساجِدِ.
হাদীছে এসেছে,
রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলায়হি অসাল্লাম বলেন, একজন লোকের সাথে সালাত আদায় করা একাকী সালাত আদায় করা থেকে উত্তম।
আর দুইজন লোকের সাথে কোন ব্যক্তির সালাত আদায় করা এক ব্যক্তির সাথে সালাত আদায় করার চেয়ে উত্তম।
আর যতই বৃদ্ধি পাবে ততই আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় হবে। -সুনানে আন-নাসায়ী: ৮৪৩।
#জরুরী_মাসাইল:
1. ঘরে দুজন নামাযী থাকলে জামাত করবে। যিনি সহীহ শুদ্ধ কেরাত পারেন তিনিই ইমাম হবেন। কেরাত সমান হলে যার কুরআন সুন্নাহ ও মাসাইলের ইলম বেশি তিনি ইমাম হওয়ার অগ্রাধিকার, এরপর যিনি বেশি তাকওয়াবান, এরপর যিনি বেশি বয়স্ক।
2. মসজিদের আযানের পর জামাত করবে। আযানের আগে মাকরূহ।
3. তবে ওয়াক্ত হলে নিজেরা আযান দিয়েও জামাত করতে পারবে।
4. প্রত্যেক ফরয নামাযের জামাতের জন্য ইকামত দিবে। এটা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। আর একাকি হলে ইকামত দেয়া মুস্তাহাব।
5. আযান-ইকামত দিবে সাবালক পুরুষ বা বুঝমান বালক।
6. আযান-ইকামত নারী দিবে না। যদি একজন পুরুষ ও একজন নারী হয় তাহলে পুরুষ ইমামই ইকামত দিবে।
7. নাবালক যদি বুঝমান ও মাসাইল বেশিও জানে তবুও ইমাম হতে পারবে না, হলে নামায সহীহ হবে না।
8. নারী সাবালক/নাবালক পুরুষের ইমাম হতে পারবে না। তবে শুধু নারীদের ইমাম হতে পারবে, তদুপরি তা অনুচিত।
9. স্বাভাবিকভাবে ঘরে জুমআর নামায পড়বে না। বরং যোহর পড়বে।
10. তবে জুমআর সকল শর্ত পাওয়া গেলে পড়তে পারবে। শর্তগুলো শেষাংশে আসছে, ইনশাআল্লহ!والله تعالى اعلم
Mufti Masum Billah
#জামাত_দাঁড়ানোর_সঠিক_নিয়ম:
“”””””””””””””””””””””””””
#২_জন-
* উভয়ে পুরুষ / ১ জন পুরুষ + ১ জন নাবালক,
“”””””””””””””””””””””””””””””””””””
উভয়ে পায়ের গোড়ালি বরাবর করে দাঁড়াবে।
এটা হানাফী মাযহাবের যাহিরুর রিওয়ায়াত ও বিশুদ্ধতম মত।
তবে ইমামের পায়ের গোড়ালির একটু পেছনে দাঁড়ানোও বৈধ।
* ১ জন পুরুষ + ১ জন নারী হলে,
“”””””””””””””””””””””””””
পুরুষের পেছনের কাতারে নারী দাঁড়াবে,
বা পুরুষের পায়ের গোড়ালির পেছনে নারীর পায়ের আঙুলের মাথা থাকলেও হবে।
শুধু একজন পুরুষ ও একজন মহিলা বা একাধিক মহিলা হলে জামাত পড়া উত্তম না কি একাকি পড়া?
মাহরাম হলে জামাতে পড়া উত্তম আর গায়রে মাহরাম হলে একাকী উত্তম
#৩_জন_বা_ততোধিক,
* সবাই পুরুষ হলে,
“””””””””””””””
ইমাম একা সবার সামনে মাঝ বরাবর দাঁড়াবে।
আর বাকীরা পেছনের কাতারে দাঁড়াবে।
বা জায়গার সংকুলান না হলে,
প্রথম কাতারে মাঝ বরাবর ইমাম একটু আগ বাড়িয়ে দাঁড়াবে। আর মুক্তাদিরা তার দু পাশ দিয়ে একটু পিছে দাঁড়াবে।
* কিছু পুরুষ, কিছু সাবালক/নাবালক ছেলে, কিছু নারী হলে,
“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
ইমাম সবার সামনে মাঝ বরাবর দাঁড়াবে,
২য় কাতারে নাবালকরা,
তবে ইমামের পায়ের গোড়ালির একটু পেছনে দাঁড়ানোও বৈধ।
আর শেষ কাতারে নারীরা দাঁড়াবে।
* ১ জন পুরুষ, ১জন সাবালক/নাবালক ছেলে, ১ নারী হলে,
“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
পুরুষ ইমাম সবার সামনে দাঁড়াবে,
তার বরাবর নাবালক ছেলে দাঁড়াবে,
তবে ইমামের পায়ের গোড়ালির একটু পেছনে দাঁড়ানোও বৈধ।
তার পেছনে নারী দাঁড়াবে ।
* সবাই নারী হলে,
“””””””””””””””
প্রথম কাতারের নারী মুক্তাদীদের মাঝ বরাবর নারী ইমাম দাঁড়াবে।
والله تعالى اعلم
Mufti Masum Billah
#ঘরে_জুমআর_নামায_পড়ার_মাসাইল
“”””””””””””””””””””””””””””””””
জুমআর নামায ইসলামের অন্যতম একটি নামায।
جُمُعَة (জুমু'আহ) শব্দটি আরবী । এর অর্থ একত্রিত হওয়া, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হওয়া ।
যেহেতু, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মু'মিন-মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্রিত হয়ে জামা'আতের সাথে সে দিনের যুহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরযরূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাযকে "জুমআর নামায" বলা হয়।
সময় একই হলেও যোহরের সাথে জুমার নামাজের নিয়মগত কিছু পার্থক্য রয়েছে।
জুমার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা আবশ্যিক এবং তা একাকী আদায় করার নিয়ম নেই। কুরআনে জুমআর নামাজের সময় হলে কাজ বন্ধ করে নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে।
জুমার নামাজ ফরজ হওয়ার শর্তগুলো :
জুমার নামাজ প্রত্যেক মুসলিম পুরুষের ওপর সাধারণভাবে ফরজ নয়।
এটি ফরজ হওয়ার জন্য ইসলামী শরিয়তের নির্দিষ্ট শর্তগুলো বিদ্যমান থাকতে হবে।
নিম্নের উল্লিখিত শর্তগুলো পাওয়া গেলেই জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ হবে।
শর্তগুলো হলো:
১) পুরুষ হওয়া,
২) স্বাধীন হওয়া,
৩) শহরে মুকিম তথা স্থায়ী নিবাসী বা ১৫ দিনের নিয়তে অবস্থানকারী হওয়া,
৪) সুস্থ হওয়া,
৫) জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া ও
৬) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া।
তবে নারীদের ওপর জুমার নামাজ ফরজ নয়। তারা জুমার পরিবর্তে সেই দিনের জোহরের নামাজ আদায় করবে।
তবে জুমআ পড়লে সহীহ হবে।
তদ্রুপ,
কোনো ব্যক্তি যদি কারণবশত (যেমন খুব অসুস্থ ব্যক্তি) জুমা আদায় করতে না পারে তবে তার ক্ষেত্রে যুহরের নামাজ আদায় করা নিয়ম। তাছাড়া কিছু ক্ষেত্রে সুস্থ ব্যক্তির উপর, যেমন মুসাফির অবস্থায় জুমার আবশ্যকতা থাকে না এবং সেক্ষেত্রে যুহরের নামাজ আদায় করলে তা গ্রহণীয় হয়।
তবে মুসাফির চাইলে জুমা আদায় করতে পারে।
জুমার জামাত অনুষ্ঠানের শর্তগুলো :
জুমার জামাত অনুষ্ঠানের জন্য কতগুলো শর্ত রয়েছে। সেসব শর্ত মেনে জুমার নামাজ জামাতে আদায় করতে হবে।
শর্তগুলো হলো :
1. জোহরের সময় হওয়া।
2. জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থান হওয়া তথা বাহিরের মুসল্লীদের প্রবেশাধিকার থাকা। তবে নিরাপত্তা জনিত কারণে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জুমআ সহীহ হওয়ার প্রতিবন্ধক নয়।
3. ইমাম ছাড়া তিনজন পুরুষের জামাত হওয়া
4. জামাতের উপস্থিতিতে খুতবা দেয়া
5. নামাজের পূর্বে দু’টি খুতবা দেয়া।
খুতবা আরবীতে হতে হবে।
খুতবায় থাকতে হবে আল্লাহর প্রশংসা, তাঁর জিকির ও শুকরিয়া।
আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্যের প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং আল্লাহর ভয়ের ব্যাপারে নসিহত।
দুই খুতবার মাঝখানে অল্প কিছু সময়ের বিরতি নিবে।والله تعالى اعلم
Mufti Masum Billah
আল্লহ তায়ালা বলেন:
وَاجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قِبْلَةً وَأَقِيمُوا
الصَّلَاةَ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
আর তোমাদের গৃহগুলিকে ইবাদতগৃহ কর, সালাত কায়েম কর এবং মু'মিনদেরকে সুসংবাদ দাও।' সূরা ইউনুস: ৮৭।
وَقَالَ الثَّوْرِيُّ أَيْضًا، عَنِ ابْنِ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ: ﴿وَاجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قِبْلَةً﴾ قَالَ: كَانُوا خَائِفِينَ، فَأُمِرُوا أَنْ يُصَلُّوا فِي بُيُوتِهِمْ.
وَقَالَ مُجَاهِدٌ: ﴿وَاجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قِبْلَةً﴾ قَالَ: لَمَّا خَافَ بَنُو إسرائيل من فِرْعَوْنَ أَنْ يُقْتَلُوا(٥) فِي الْكَنَائِسِ الْجَامِعَةِ، أُمِرُوا أَنْ يَجْعَلُوا بُيُوتَهُمْ مَسَاجِدَ مُسْتَقْبِلَةً الْكَعْبَةَ، يُصَلُّونَ فِيهَا سِرًّا. وَكَذَا قَالَ قَتَادَةُ، وَالضَّحَّاكُ.(تفسير ابن كثير) .
وفي تفسير روح المعاني:
﴿قِبْلَةً﴾ أيْ مُصَلًّى.... والِاخْتِلافُ في المُرادِ هُنا ناظِرٌ لِلِاخْتِلافِ في أنَّ تِلْكَ البُيُوتَ المُتَّخَذَةَ هَلْ لِلسُّكْنى أوْ لِلصَّلاةِ، فَإنْ كانَ الأوَّلَ فالقِبْلَةُ مَجازٌ عَنِ المُصَلّى وإنْ كانَ الثّانِي فَهي مَجازٌ عَنِ المَساجِدِ.
হাদীছে এসেছে,
রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলায়হি অসাল্লাম বলেন, একজন লোকের সাথে সালাত আদায় করা একাকী সালাত আদায় করা থেকে উত্তম।
আর দুইজন লোকের সাথে কোন ব্যক্তির সালাত আদায় করা এক ব্যক্তির সাথে সালাত আদায় করার চেয়ে উত্তম।
আর যতই বৃদ্ধি পাবে ততই আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় হবে। -সুনানে আন-নাসায়ী: ৮৪৩।
#জরুরী_মাসাইল:
1. ঘরে দুজন নামাযী থাকলে জামাত করবে। যিনি সহীহ শুদ্ধ কেরাত পারেন তিনিই ইমাম হবেন। কেরাত সমান হলে যার কুরআন সুন্নাহ ও মাসাইলের ইলম বেশি তিনি ইমাম হওয়ার অগ্রাধিকার, এরপর যিনি বেশি তাকওয়াবান, এরপর যিনি বেশি বয়স্ক।
2. মসজিদের আযানের পর জামাত করবে। আযানের আগে মাকরূহ।
3. তবে ওয়াক্ত হলে নিজেরা আযান দিয়েও জামাত করতে পারবে।
4. প্রত্যেক ফরয নামাযের জামাতের জন্য ইকামত দিবে। এটা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। আর একাকি হলে ইকামত দেয়া মুস্তাহাব।
5. আযান-ইকামত দিবে সাবালক পুরুষ বা বুঝমান বালক।
6. আযান-ইকামত নারী দিবে না। যদি একজন পুরুষ ও একজন নারী হয় তাহলে পুরুষ ইমামই ইকামত দিবে।
7. নাবালক যদি বুঝমান ও মাসাইল বেশিও জানে তবুও ইমাম হতে পারবে না, হলে নামায সহীহ হবে না।
8. নারী সাবালক/নাবালক পুরুষের ইমাম হতে পারবে না। তবে শুধু নারীদের ইমাম হতে পারবে, তদুপরি তা অনুচিত।
9. স্বাভাবিকভাবে ঘরে জুমআর নামায পড়বে না। বরং যোহর পড়বে।
10. তবে জুমআর সকল শর্ত পাওয়া গেলে পড়তে পারবে। শর্তগুলো শেষাংশে আসছে, ইনশাআল্লহ!والله تعالى اعلم
Mufti Masum Billah
#জামাত_দাঁড়ানোর_সঠিক_নিয়ম:
“”””””””””””””””””””””””””
#২_জন-
* উভয়ে পুরুষ / ১ জন পুরুষ + ১ জন নাবালক,
“”””””””””””””””””””””””””””””””””””
উভয়ে পায়ের গোড়ালি বরাবর করে দাঁড়াবে।
এটা হানাফী মাযহাবের যাহিরুর রিওয়ায়াত ও বিশুদ্ধতম মত।
তবে ইমামের পায়ের গোড়ালির একটু পেছনে দাঁড়ানোও বৈধ।
* ১ জন পুরুষ + ১ জন নারী হলে,
“”””””””””””””””””””””””””
পুরুষের পেছনের কাতারে নারী দাঁড়াবে,
বা পুরুষের পায়ের গোড়ালির পেছনে নারীর পায়ের আঙুলের মাথা থাকলেও হবে।
শুধু একজন পুরুষ ও একজন মহিলা বা একাধিক মহিলা হলে জামাত পড়া উত্তম না কি একাকি পড়া?
মাহরাম হলে জামাতে পড়া উত্তম আর গায়রে মাহরাম হলে একাকী উত্তম
#৩_জন_বা_ততোধিক,
* সবাই পুরুষ হলে,
“””””””””””””””
ইমাম একা সবার সামনে মাঝ বরাবর দাঁড়াবে।
আর বাকীরা পেছনের কাতারে দাঁড়াবে।
বা জায়গার সংকুলান না হলে,
প্রথম কাতারে মাঝ বরাবর ইমাম একটু আগ বাড়িয়ে দাঁড়াবে। আর মুক্তাদিরা তার দু পাশ দিয়ে একটু পিছে দাঁড়াবে।
* কিছু পুরুষ, কিছু সাবালক/নাবালক ছেলে, কিছু নারী হলে,
“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
ইমাম সবার সামনে মাঝ বরাবর দাঁড়াবে,
২য় কাতারে নাবালকরা,
তবে ইমামের পায়ের গোড়ালির একটু পেছনে দাঁড়ানোও বৈধ।
আর শেষ কাতারে নারীরা দাঁড়াবে।
* ১ জন পুরুষ, ১জন সাবালক/নাবালক ছেলে, ১ নারী হলে,
“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
পুরুষ ইমাম সবার সামনে দাঁড়াবে,
তার বরাবর নাবালক ছেলে দাঁড়াবে,
তবে ইমামের পায়ের গোড়ালির একটু পেছনে দাঁড়ানোও বৈধ।
তার পেছনে নারী দাঁড়াবে ।
* সবাই নারী হলে,
“””””””””””””””
প্রথম কাতারের নারী মুক্তাদীদের মাঝ বরাবর নারী ইমাম দাঁড়াবে।
والله تعالى اعلم
Mufti Masum Billah
#ঘরে_জুমআর_নামায_পড়ার_মাসাইল
“”””””””””””””””””””””””””””””””
জুমআর নামায ইসলামের অন্যতম একটি নামায।
جُمُعَة (জুমু'আহ) শব্দটি আরবী । এর অর্থ একত্রিত হওয়া, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হওয়া ।
যেহেতু, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মু'মিন-মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্রিত হয়ে জামা'আতের সাথে সে দিনের যুহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরযরূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাযকে "জুমআর নামায" বলা হয়।
সময় একই হলেও যোহরের সাথে জুমার নামাজের নিয়মগত কিছু পার্থক্য রয়েছে।
জুমার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা আবশ্যিক এবং তা একাকী আদায় করার নিয়ম নেই। কুরআনে জুমআর নামাজের সময় হলে কাজ বন্ধ করে নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে।
জুমার নামাজ ফরজ হওয়ার শর্তগুলো :
জুমার নামাজ প্রত্যেক মুসলিম পুরুষের ওপর সাধারণভাবে ফরজ নয়।
এটি ফরজ হওয়ার জন্য ইসলামী শরিয়তের নির্দিষ্ট শর্তগুলো বিদ্যমান থাকতে হবে।
নিম্নের উল্লিখিত শর্তগুলো পাওয়া গেলেই জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ হবে।
শর্তগুলো হলো:
১) পুরুষ হওয়া,
২) স্বাধীন হওয়া,
৩) শহরে মুকিম তথা স্থায়ী নিবাসী বা ১৫ দিনের নিয়তে অবস্থানকারী হওয়া,
৪) সুস্থ হওয়া,
৫) জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া ও
৬) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া।
তবে নারীদের ওপর জুমার নামাজ ফরজ নয়। তারা জুমার পরিবর্তে সেই দিনের জোহরের নামাজ আদায় করবে।
তবে জুমআ পড়লে সহীহ হবে।
তদ্রুপ,
কোনো ব্যক্তি যদি কারণবশত (যেমন খুব অসুস্থ ব্যক্তি) জুমা আদায় করতে না পারে তবে তার ক্ষেত্রে যুহরের নামাজ আদায় করা নিয়ম। তাছাড়া কিছু ক্ষেত্রে সুস্থ ব্যক্তির উপর, যেমন মুসাফির অবস্থায় জুমার আবশ্যকতা থাকে না এবং সেক্ষেত্রে যুহরের নামাজ আদায় করলে তা গ্রহণীয় হয়।
তবে মুসাফির চাইলে জুমা আদায় করতে পারে।
জুমার জামাত অনুষ্ঠানের শর্তগুলো :
জুমার জামাত অনুষ্ঠানের জন্য কতগুলো শর্ত রয়েছে। সেসব শর্ত মেনে জুমার নামাজ জামাতে আদায় করতে হবে।
শর্তগুলো হলো :
1. জোহরের সময় হওয়া।
2. জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থান হওয়া তথা বাহিরের মুসল্লীদের প্রবেশাধিকার থাকা। তবে নিরাপত্তা জনিত কারণে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জুমআ সহীহ হওয়ার প্রতিবন্ধক নয়।
3. ইমাম ছাড়া তিনজন পুরুষের জামাত হওয়া
4. জামাতের উপস্থিতিতে খুতবা দেয়া
5. নামাজের পূর্বে দু’টি খুতবা দেয়া।
খুতবা আরবীতে হতে হবে।
খুতবায় থাকতে হবে আল্লাহর প্রশংসা, তাঁর জিকির ও শুকরিয়া।
আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্যের প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং আল্লাহর ভয়ের ব্যাপারে নসিহত।
দুই খুতবার মাঝখানে অল্প কিছু সময়ের বিরতি নিবে।والله تعالى اعلم
Mufti Masum Billah
No comments:
Post a Comment