Tuesday, February 5, 2019

পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া


পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া
(আগারগাও পাসপোর্ট অফিস)


১। Online Application Form ঠিকমত পূরণ করে এপিঠ ওপিঠ করে, দুই সেট প্রিন্ট করতে হবে।  হাতে লেখা পাসপোর্ট নমুনাঃ DOWNLOAD
কিভাবে পূরণ করবেন, তার Tutorial : YOU TUBE VIDEO-1 VIDEO-2



২। প্রিন্ট করার পর ১ নং ঘরে বাংলায় নাম লিখতে হবে। ৩নং পাতায় অংগিকারনামা (Declaration) অংশে স্বাক্ষর করতে হবে।
৩। প্রতি সেটে ১ কপি করে passport size photograph নির্ধারিত স্থানে আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।
৪। আঠা দিয়ে লাগানোর পর ছবি সত্যায়িত করতে হবে।
৫। প্রত্যয়ন(Certification) অংশের সবগুলো ঘর পূরণ করে প্রত্যয়ন (Attested)করে নিতে হবে। (যিনি ছবি সত্যায়িত করেছেন, তিনিই এখানে certification  করবেন)
৬। সাথে NID ( এবং যার জন্য যা প্রয়োজন সে সব কাগজের যেমনঃ NOC এর) সত্যায়িত Photocopy দিতে হবে।
৭। Online Application এর ক্ষেত্রে passport এর ফিস-
১) ওয়ান ব্যাংক, ২) ট্রাস্ট ব্যাংক, ৩) ব্যাংক এশিয়া, ৪) প্রিমিয়ার ব্যাংক, এবং ৫) ঢাকা ব্যাংক থেকে টাকা জমা দিতে হবে।
টাকা জমার সময় নামের বানান NID অনুযায়ি যেন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে NID সাথে নিতে হবে।
(টাকার পরিমানঃ
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) ফি (বাংলাদেশ)
আবেদনের প্রকৃতি
বিতরণের ধরণ
পাসপোর্ট ফিস (টাকা)
নতুন আবেদনকারী/ হাতে লেখা পাসপোর্ট সমর্পণকৃতদের (সারেন্ডার) জন্য
জরুরি ফিস (৭ দিন) 
৬০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৬৯০০.০০ টাকা
সাধারণ ফিস (২১ দিন)
৩০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫০.০০ টাকা
অনাপত্তি সনদ (NOC) এর ভিত্তিতে (জরুরি সুবিধাসহ)
৩০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫০.০০ টাকা
সরকারি আদেশ (GO) এর ভিত্তিতে চিকিৎসা, হজ্জ্ব পালন,
তীর্থস্থান ভ্রমণের ক্ষেত্রে (জরুরি সুবিধাসহ)
৩০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫০.০০ টাকা
সরকারি আদেশ (GO) এর ভিত্তিতে সরকারি
কাজের ক্ষেত্রে (জরুরি সুবিধাসহ)
বিনামূল্যে
রি-ইস্যু
জরুরি ফিস (৭ দিন) (NOC/GO ব্যতীত)
৬০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৬৯০০.০০ টাকা
সাধারণ ফিস (২১ দিন)
৩০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫০.০০ টাকা
মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফিস
(মেয়াদ পরবর্তি প্রতি বছরের জন্য)
সাধারণ ফিস 
৩০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫.০০ টাকা


> অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবি ও তাদের স্বামী/স্ত্রী (নতুন আবেদন ও রি-ইস্যু উভয় ক্ষেত্রে) সাধারণ ফি প্রদান করে জরুরি সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে অবসর গ্রহণের সনদ দাখিল করতে হবে।
> সোনালী ব্যাংকের পাশাপাশি আরও ৫টি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারবেন।


৮। টকা জমার রশিদের Office Copy টা একটা form এর ওপর staple করে দিতে হবে।
৯। সঠিকভাবে উপরোক্ত কার্যাবলী সমাধা করার পর যে passport office এ যাওয়ার কথা লেখা থাকবে ( একদম শুরুর লাইনে passport office এর নাম থাকবে, যেমনঃ Agargaon) সে অফিসে গিয়ে form জমা দিতে হবে।
১০। Form জমা ৯.১৫ am -০১.৩০pm ( Agargaon) নেয়া হয়।
জমার সময় লাগবে-
ক) NID Original টা। সকল পাসপোর্ট আবেদনকারীর আবেদনপত্রের সাথে মূল NID প্রদর্শন বাধ্যতামূলক
খ) প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় পত্র ( দেখতে চাইতে পারে) 
গ) দুই সেট আবেদন পত্র আলাদা ভাবে Staple করে নিতে হবে। 

১১। ছবি তোলার সময় –সাদা এবং হালকা রঙের সকল পোশাক, সাদা টুপি, চশমা, ক্যাপ, কপালে টিপ ইত্যাদি পরে ছবি তোলা যাবে না।



মহিলাদের ক্ষেত্রে মাথায় কাপড় থাকলেও কান অবশ্যই দেখাতে হবে।
ছবি তোলার জন্য রঙ্গিন পোশাক পরিধান করুন।

Operation Flow Chart;কাজের ধারাঃ
A. লাইনে দাঁড়ানোঃ মূল লাইন ভবনের বাইরেও হতে পারে।
B. প্রাথমিক Verification: দুইপাশে Print করা আছে কিনা, NID আছে কিনা, অন্যান্য ঘর fill up করা কিনা ইত্যাদি এক
ঝলকে দেখে।)
C. প্রথম Serial No: সব ঠিক থাকলে প্রাথমিক Serial No. দিবে। 
D. কাউন্টারে যাচাইঃ এর পর কাউন্টারে যাচাই হবে। এখানে NID মুলটা দেখাতে হবে। কিছু প্রশ্ন করতে পারে, নাম কি,
কি করেন এই টাইপের। ঠিক থাকলে দুইটা সিল দিয়ে ছবি তুলতে পাঠিয়ে দিবে।
E. ছবির serial: ছবি তোলার জন্য serial no দিয়ে room বলে দিবে,
F. ছবি তোলাঃ ছবি তোলার রুমে ছবি তুলে, Finger Print নিয়ে স্বাক্ষর করতে বলবে। স্বাক্ষর করা শেষে Delivery
Slip দিবে। ( ছবি নিচে দেখুন)

G. Police Verification: পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে আপনার Delivery Slip এ উল্লেখিত Date এ অথবা অন্য date এ
( sms করে জানাবে) passport নিয়ে আসবেন।

আপনি চাইলে online application status এ গিয়েও আপানার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা জানতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনার delivery slip এর bar code এর নিচের নাম্বার হবে Enrollment ID. এই ID নিচের দিকেও লেখা আছে।
 চিত্রঃ Delivery Slip
১২। SMS পাওয়ার পর আগারগাও পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে যখন অফিস খুলবে (সাধারণত সকাল
০৮.৪৫ মিনিটে গেইট খুলে দেয়) তখন ২১০ নাম্বার রুমে যেতে হবে।
সকাল ০৯ঃ১৫ থেকে বিকেল ০৩ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত পাসপোর্ট প্রদান করা হয়।

A. এরপর Delivery slip জমা দিতে হবে।
বি দ্রঃ একজনের পাসপোর্ট অন্য জন নিতে যায় তাহলে ক্ষমতা অর্পণ দরখাস্ত ( Letter of Authorization) নিয়ে যেতে হবে । এবং যতগুল পাসপোর্ট নিবে ততগুলো NID Photocopy জমা
দিতে হবে।

B. Delivery slip জমা দিলে একটা টোকেন দিবে।
                                                     চিত্রঃ Passport Delivery Token
C. টোকেন নিয়ে অপেক্ষা করা লাগতে পারে ।(চেয়ারে বসতে হবে)  
যখন Delivery Counter এ আপানর নাম্বার আসবে তখন আপনি গিয়ে আপানার পাসপোর্ট সংগ্রহ
করবেন।
D. এরপর আপানার আবেদন পত্রে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার, নাম, মোবাইল নাম্বার লিখে , পাসপোর্টর
ছবি ঠিক আছে কিনা দেখে পাসপোর্ট বুঝে নিন।

Site map:

আরও জানতে চাইলেঃ CLICK

No comments:

Post a Comment