ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুন (Masturbation)
প্রশ্নঃ এক ব্যক্তি পূর্ণ যৌবনে পদার্পণ করেছে । যৌন উত্তেজনা অত্যন্ত প্রবল। এখন এই উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্যে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে। যথাঃ
এক. তাকে বিয়ে করতে হবে। কিন্তু যে মেয়েটির সাথে তার বাকদান হয়েছে, সে এত অল্পবয়স্কা যে, এখনো কমপক্ষে আরও তিন চার বছর অপেক্ষা করতে হবে।
দুই. তাকে নিজের খান্দানের বাইরে অন্যত্র বিয়ে করতে হবে। কিন্তু বাইরে বিয়ে করলে সমস্ত খান্দানই তার বিরোধী হয়ে যাবে বরং খান্দানের সাথে তার সম্পর্কচ্ছেদেরও আশঙ্কা রয়েছে।
তিন. সে সাময়িকভাবে কোন একটি মেয়েকে বিয়ে করে নেবে এবং নিজের খান্দানের প্রস্তাবিত মেয়েটির সাথে বিয়ে হয়ে যাবার পর পূর্বের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেবে। কিন্তু এ অবস্থা ও মুতার মধ্যে কোন বিশেষ পার্থক্য নেই।
চার. উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্যে তাকে অনবরত রোজা রাখতে হবে। কিন্তু সে একজন শ্রমজীবী। সারাদিন তাকে পরিশ্রমের কাজ করতে হয়। রোজা রেখে এতবেশি মেহনত করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
পাঁচ. সর্বশেষ পন্থা হিসেবে যিনা থেকে বাঁচবার জন্যে তাকে হস্তমৈথুনের পন্থা অবলম্বন করতে হয় এ অবস্থায় সে কি এ পন্থা অবলম্বন করতে পারে?
জবাবঃ
হস্তমৈথুন সম্পর্কে ফকিহগনের মধ্যে তিনটি মত আছেঃ
১। এটি একটি মুবাহ(জায়েয) কর্ম এবং এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে হলে বড়জোর এতোটুকু বলা যায় যে, এ কাজ উন্নত নৈতিক বৃত্তির বিরোধী হবার কারণে এটি একটি মাকরুহ ও অপছন্দনিয় কাজ। এই অভিমতের সমর্থকরা এ যুক্তি পেশ করেন যে, হাদিস ও কুরআনের কোথাও এ কাজটিকে হারাম বলে উল্লেখ করা হয়নি। উপরন্তু আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ ' আল্লাহ তোমাদের জন্য যেসব বস্তু হারাম করেছেন, সেগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন।' কাজেই হারামের ফিরিস্তিতে যখন এর উল্লেখ নেই তখন এটি হালাল। ইবনে হাযম মুহাল্লা পূর্ণ দলীল ও প্রমাণাদি ও সনদসহ এ বিষয়টি বর্ণনা করেছেন এবং একথাও উল্লেখ করেছেন যে, হাসান বসরি, আমর ইবনে দিনার, ও মুজাহিদ এ কাজের বৈধতার পক্ষপাতি ছিলেন এবং আতা একে নিছক মাকরুহ মনে করতেন
(১১ খণ্ড , পৃষ্ঠা ৩৯২-৯৩) । আল্লামা আলুসি রুহুল মায়ানি গ্রন্থে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের নিম্নোক্ত মতটি উদ্ধৃত করেছেনঃ প্রয়োজনকালে একাজটি শিঙ্গা লাগিয়ে রক্তক্ষরণ করার ন্যায় জায়েয (১৮ খণ্ড, পৃষ্ঠা ১০) । তবে হাম্বলি ফিকাহর কোন নির্ভরযোগ্য গ্রন্থে আমি ইমাম আহমদের এ ফতোয়াটি দেখিনি।
২। এটি একটি হারাম কর্ম। কিন্তু যদি যিনার ফিতনায় লিপ্ত হবার আশঙ্কা থাকে এবং তা থেকে বাঁচবার জন্যে কেউ এভাবে যৌন আকাঙ্খা চরিতার্থ করে, তাহলে আশা করা যায় যে, তাকে আযাব দেওয়া হবেনা। এটি হচ্ছে হানাফিদের অভিমত। রদ্দুল মুখতার গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, এ কাজটি হারাম আর একাজে ব্রতী হলে আযাব ভোগ করতে হবে। তবে যদি যিনার আশঙ্কায় এ কাজে ব্রতী হয় , তবে 'আশা করা যায়, তাকে এজন্যে আযাব দেওয়া হবেনা।' ( রোজা ও দণ্ডবিধি অধ্যায়) আল্লামা আলুসি এরই কাছাকাছি ইবনে হুমামের একটি উক্তি উদ্ধৃত করেছেন(ঐ গ্রন্থে) এবং আল্লামা ইবনে আবেদিন এরই সাথে সামঞ্জস্যশীল ফকিহ আবুল লায়সের একটি অভিমত উদ্ধৃত করেছেন । এই মতের সপক্ষে কোন বিশেষ আয়াত বা হাদিস নেই বরং ইসলামের একটি সাধারণ নীতি থেকে এটি গৃহীত হয়েছে। যেমন অক্ষম ও অস্বাভাবিক অবস্থায় হারাম বস্তু ব্যবহারের অনুমতি আছে এবং দুটি নাজায়েয কাজ অপরিহার্য হয়ে গেলে তাদের মধ্য থেকে অপেক্ষাকৃত কম নাজায়েয কাজটি অবলম্বন করার নীতি ইসলামে স্বীকৃত।
৩। এটি হচ্ছে একটি সম্পূর্ণ হারাম কাজ। ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম মালেক এ মতের পক্ষপাতী। তাঁরা সূরা মু'মিনুনের নিম্নোক্ত আয়াতটি থেকে এর প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
' আর যারা নিজেদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে স্ত্রী ও দাসীদের ছাড়া তারা তিরস্কারের যোগ্য নয়। অতঃপর যারা এগুলো ছাড়া অন্যপথ ( যৌন আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্যে) তালাশ করে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। '
এই আয়াত থেকে তাঁরা প্রমাণ করেন যে, বিবাহিত স্ত্রী ও দাসীদের ছাড়া আর কোন পদ্ধতিতে যৌন আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করা কুরআনের দৃষ্টিতে হারাম- এ ব্যাপারে যিনা, হস্তমৈথুন, পুংমৈথুন, প্রাণীমৈথুন বা অন্য কোন পদ্ধতি সবই সমপর্যায়ভুক্ত।
নিম্নলিখিত হাদিসগুলোও এর সমর্থকঃ
' নিজের হাতের সাহায্যে বিবাহকারী অভিশপ্ত।' এবং ' আল্লাহ তায়ালা এমন সব লোকদেরকে আযাব দিয়েছেন যারা নিজেদের যৌনাঙ্গের সাথে খেলা করতো। '
এ হাদিস দুটিতে আল্লামা আলুসি রুহুল মায়ানি গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন। ইবনে কাসির এ আয়াতটির তাফসিরে আর একটি হাদিস উদ্ধৃত করেছেন কিন্তু সাথে সাথে বলে দিয়েছেন যে, হাদিসটি হচ্ছে গরিব ( যে হাদিসের বর্ণনাকারীর সংখ্যা কোন পর্যায়ে মাত্র একজন থাকে তাকে বলা হয় গরিব হাদিস ) এবং এর সনদে একজন বর্ণনাকারী অপরিচিত।
' সাত প্রকার লোকের প্রতি আল্লাহ তায়ালা কিয়ামাতের দিন কোন প্রকার দৃষ্টিপাত করবেন না। তাদেরকে পাক করবেন না। তাদেরকে অন্য লোকদের সাথে একত্রিত করবেন না এবং তাদেরকে সর্বপ্রথম জাহান্নামে প্রবেশকারীদের মধ্যে শামিল করবেন। তবে যদি তারা তওবা করে, আর যে ব্যক্তি তওবা করে আল্লাহ তায়ালা তাকে মাফ করে দেন। তারা হলঃ
১. নিজের হাতের সাহায্যে বিবাহকারী,
২. পুংমৈথুনকারী,
৩. পুংমৈথুনে সাহায্যকারী,
৪. পাক্কা শরাবি,
৫. নিজের পিতামাতাকে আঘাতকারী যার ফলে তারা ফরিয়াদ করে,
৬. প্রতিবেশিদেরকে কষ্টদানকারী যার ফলে তারা তার উপর অভিশাপ বর্ষণ করে,
৭. নিজের প্রতিবেশির স্ত্রীর সাথে ব্যাভিচারকারী ।'
এই অভিমতগুলো ও এগুলোর সপক্ষে প্রদত্ত যুক্তি প্রমাণ পর্যালোচনা করলে একথা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, প্রথম অভিমতটি অত্যন্ত দুর্বল বরং ভুল। কারণ কুরআনে হারাম বস্তুগুলোর বিস্তারিত বিবরণ থাকার অর্থ এ নয় যে, সমস্ত হারাম বস্তুর নাম ধরে উল্লেখ করা হয়েছে। বরং এর অর্থ হচ্ছে এই যে, কুরআনে হারাম ও হালাল সম্পর্কে মুলনীতি বর্ণিত হয়েছে। কাজেই যে বস্তুটি কুরআনে বর্ণিত কোন মূলনীতির আওতায় পড়ে, তার উপর ঐ মূলনীতিতে বর্ণিত নির্দেশ জারি হবে। তবে তাকে ঐ আওতাবহির্ভূত করার জন্যে যদি কোন যুক্তি প্রমাণ থাকে তাহলে তার উপর ঐ একই নির্দেশ জারি হবেনা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কুরআন যখন এই সাধারণ নিয়ম বর্ণনা করছে যে, বিবাহিতা স্ত্রী ও দাসী ছাড়া অন্য কারো সাথে যৌন কামনা চরিতার্থ করা সীমা অতিক্রম করার শামিল, তখন হস্তমৈথুনকে এ নির্দেশের আওতাবহির্ভূত করার পেছনে কি যুক্তি থাকতে পারে?
এর জবাবে কেউ কেউ এ যুক্তি পেশ করেছেন যে, 'আরবে এ কাজটির প্রচলন ছিলনা এবং আরবি সাহিত্যেও এর কোন উল্লেখ নেই। কাজেই এটি- 'যারা এ ছাড়া অন্য পথ তালাশ করে' তারা এর অন্তর্ভুক্ত নয়। কিন্তু এ যুক্তিটি যথার্থ নয়। কারণ প্রথমত , আরবি সাহিত্যে এ জন্যে 'জলদে উমাইরা', 'হাযহাযাহ' শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায় এবং সাহিত্যে কোন শব্দের ব্যবহার এ কথাই প্রমাণ করে যে, উক্ত ভাষাভাষীরা এ চিন্তা ও কর্মের সাথে পরিচিত ছিল। দ্বিতিয়ত, আরবরা এ কর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ থাকলেও আল্লাহ তায়ালা মানুষের সমস্ত কর্মের ব্যাপারে অবগত ছিলেন। তিনি যেসব মূলনীতি বর্ণনা করেছেন তা কেবল সে জমানার আরবিরা যেসমস্ত খুঁটিনাটি ব্যাপার সম্পর্কে অবগত ছিল সেগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকবে কেমন করে? এই যুক্তি প্রমানাদির পরিপ্রেক্ষিতে এ কর্মটি হারাম হওয়া সম্পর্কিত অভিমতটিই নির্ভুল। তবে বিবেকবুদ্ধি একথা বলে যে, এর হারাম হওয়া যিনা, পুংমৈথুন ও প্রাণীমৈথুনের সমপর্যায়ের নয়। তাই কোন ব্যক্তির যদি উল্লিখিত গুনাহসমূহের মধ্যে কোন একটিতে লিপ্ত হবার আশঙ্কা থাকে এবং তা থেকে বাঁচার জন্যে সে এই পদ্ধতিতে নিজের উত্তেজনা প্রশমিত করে, তাহলে তার সম্পর্কে বলা যেতে পারে যে, সম্ভবত আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেননা।
এখন যে বিশেষ ব্যক্তিটির সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে তার প্রসঙ্গে আসা যাক। তাঁকে আমি সর্বপ্রথম আল্লাহ তায়ালার এ নসিহতটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাইঃ
' যারা বিয়ে করার সুযোগ পায়না তাদের নিষ্কলুষ থাকার চেষ্টা করা উচিত, যতক্ষণ না আল্লাহ তায়ালা নিজের মেহেরবানীতে তাদেরকে ধনী করে দেন। ' (আন নূরঃ ৩৩)
অতঃপর আমি তাঁকে পরিষ্কার বলব, একটি হারাম বস্তুকে হালাল করার জন্য আপনি নিজের যে অক্ষমতার কথা পেশ করেছেন, তারা কোনক্রমেই এমন পর্যায়ের নয়, যার ফলে একটি হারাম বস্তু হালাল হয়ে যেতে পারে। আপনি নিছক নিজের খান্দানের ভয়ে বিয়ে করছেননা অথচ ঐ খান্দান একটি যুবককে একটি অপ্রাপ্তবয়স্কা মেয়ের সাথে বাকদান করে তার অজ্ঞতার পূর্ণ প্রমাণ পেশ করেছে। এখন যদি আপনি বিয়ের সুযোগ পান কিন্তু খান্দানের অসন্তুষ্টির ভয়ে তা থেকে পিছিয়ে আসেন, তাহলে আপনি যেকোন পর্যায়ের গুনাহ করেননা কেন আল্লাহ অবশ্যি আপনাকে পাকড়াও করবেন। আসলে আপনার কোন অক্ষমতা নেই। বাহানাবাজি না করে সোজা চিন্তা করে দেখুন কাকে ভয় করা উচিত- আল্লাহকে না খান্দানকে? [ তরজমানুল কুরআন, অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৫২; রাসায়েল ও মাসায়েল ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা- ১৪০-১৪৪]
ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুন (Masturbation)
হস্তমৈথুন(Masturbation)বা স্বমেহন বর্তমানে একটি বড় সমস্যা।ইসলামের দৃষ্টিতে এটা হারাম এবং কবীরা গুনাহ।শরীয়ত অনুযায়ী যারা হস্তমৈথুন করে তারা সীমালংঘনকারী।
হস্তমৈথুনের কারণে দুই ধরনের সমস্যা হয়
(১)মানসিক সমস্যা।
(২)শারীরিক সমস্যা।
শারীরিক সমস্যা:
১.হস্তমৈথুন করলে প্রধান যে্সব সমস্যায় ভুগতে পারে তার মধ্যে একটি হল নপুংসকতা (Impotence)।
অর্থাৎ ব্যক্তি যৌন সংগম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায়।পুরুষ হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে নপুংসক(Impotent)হয়ে যায়।
২.আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত(Premature Ejaculation)। অর্থাৎ খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত ঘটে।ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয়।বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
৩. আরো একটি সমস্যা হল Temporary Oligospermia. Oligospermia হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়।তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম।[২ কোটি]।যার ফলে Male infertility দেখা দেয়।অর্থাৎ সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয়। একজন পুরুষ যখন স্ত্রী গমন করেন তখন তার থেকে যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত।
স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয় না।
৪.অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়।Dr.Liu বলেন--"There is a huge change in body chemistry when one masturbates excessively"
আর শরীরের অন্যান্য যেসব ক্ষতি হয়--
১.Nervous system,heart,digestive system,urinary system এবং আরো অন্যান্য system ক্ষতিগ্রস্ত হয় । পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ-বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায়।
২.চোখের ক্ষতি হয়।
৩.স্মরণ শক্তি কমে যায়।
৪.মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে।
৫.আরেকটি সমস্যা হল Leakage of semen।অর্থাৎ সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হয়।ফলে অনেক মুসলিম ভাই সালাত পড়তে পারেন না। মহান আল্লাহ্ তা'আলার স্মরণ থেকে মুসলিমদের দূরে রাখে হস্তমৈথুন।
৬.আর কোন নারী যখন স্বমেহন বা হস্তমৈথুন করে তখন তার Hymen(fold of mucous membrane partly closing the vagina in a virgin) break হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।অর্থাৎ তার কুমারীত্ব(Virginity)হারানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।অনেকে স্বমেহন করতে গিয়ে কুমারীত্ব হারিয়ে ফেলে। ফলে তার বিয়ে করতে সমস্যা হয়।বিয়ের পর স্বামী তার এ অবস্থা দেখে তাকে সন্দেহ করে তালাক দেয়।তাই হস্তমৈথুন নারীদের অনেক বড় সমস্যার সৃষ্টি করে।
হস্তমৈথুনের ক্ষতিকারক ২৬টি দিক
১। মন দুর্বল হয়ে পড়ে
২।৩। ৪।পাকস্থলী, যকৃত এবং হৃদপিন্ড নষ্ট হয়ে যায়।
৫। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়।
৬। কানে শোঁ শোঁ আওয়াজ অনুভূত হয়।
৭। সর্বদা খিটখিটে মেজাজ থাকে।
৮। সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীর কাহিল (ক্লান্ত) হয়ে পড়ে।
৯। শরীরের জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা অনুভব হয় এবং চোখে ঝাপসা দেখে।
১০। বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়ার কারনে সর্বদা সামান্য সামান্য বীর্য নির্গত হতে থাকে, প্রস্রাবের নালীতে বীর্য জমে থাকে ও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রস্রাবের নালীতে ক্ষত হয়ে যায় এবং ক্ষতস্থান হতে পুঁজ বের হয়।
১১। প্রথমে প্রথমে প্রস্রাবের সময় সামান্য জ্বালা যন্ত্রনা অনুভব হয়।
১২। পরবর্তীতে প্রস্রাবের সাথে পুঁজ বের হয়।
১৩। অতঃপর প্রস্রাবের সময় তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়।
১৪। এমনকি গলোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনকে এমনই তিক্ত করে তোলে, যার ফলে মানুষ মৃত্যুকে আহ্বান করতে থাকে।
১৫। বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়ার কারণে কোন কল্পনা ব্যতীত প্রস্রাবের আগে বা পরে প্রস্রাবের সাথে বীর্য নির্গত হয়। একে প্রমেহ রোগ বলা হয়, যা কঠিন কঠিন রোগ সমূহের মূল।
১৬। অঙ্গ বিকল হয়ে যায়।
১৭। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
১৮। মেরুদন্ড দূর্বল হয়ে পড়ে।
১৯। বিবাহের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে।
২০। যদিও স্ত্রীর সাথে মিলন করার ক্ষেত্রে সফলও হয়, কিন্তু সন্তান সন্তুতি জন্ম নেয় না, ফলে নিঃসন্তান থেকে যায়।
২১। কোমরে ব্যথা অনুভব হয়।
২২। চেহারা হলুদ বর্ণ ধারন করে।
২৩। চোখে গাড়া পড়ে।
২৪। শরীর দিন দিন ক্ষীন হয়ে যায়, স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে।
২৫। টাইফযেড রোগে আক্রান্ত হয়।
২৬। মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে যায়।
(বি.দ্র. উপরে বর্ণিত ২৬টি কারণ হতে সব গুলো যে একজনের একসাথে প্রকাশ পাবে তা নয়। আস্তে আস্তে এগুলোর অধিকাংশই হস্তমৈথুন কারীগনের মাঝে পাওয়া যাবে।)
এখন একটু ভিন্ন প্রসংগে আসি।মিসরীয় ফারাওদের আনুষ্ঠানিকভাবে নীল নদে হস্তমৈথুন করতে হত।
এখন আধুনিক ফারাওদের কথা বলি,
২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যের মানুষের মাঝে করা একটি জরিপে দেখা যায় ১৬ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে ৯৫% পুরুষ ও ৭১% নারী তাদের জীবনের যে কোন সময়ে অন্তত একবার হস্তমৈথুন করেছে।২০০৯ সালে নেদারল্যান্ড অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের সাথে যুক্তরাজ্যেও বয়সন্ধিকালীন ছেলে-মেয়েদের হস্তমৈথুন করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়।হস্তমৈথুন একটি ভাল অভ্যাস বলে তারা প্রচার করছে।
কারণ? কারণ হল ব্যবসা।হস্তমৈথুনের সাথে পর্ণোগ্রাফির খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।জুতার সাথে মোজার,চায়ের সাথে বিস্কুটের,কাগজের সাথে কলমের যে রকম ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হস্তমৈথুনের সাথে পর্ণোগ্রাফিরও সেরকমই সম্পর্ক।পর্ণোগ্রাফির ব্যবসা হল কোটি কোটি টাকার ব্যবসা।পশ্চিমারা যদি হস্তমৈথুনের অপকারিতা মানুষের কাছে তুলে ধরে তাহলে তাদের কোটি কোটি টাকার ব্যবসার ক্ষতি হবে।কারণ তখন হস্তমৈথুনের হার কমে যাবে।পর্ণো সিডি,ম্যাগাজিন,Sex Toy, Sex Doll,এর বিক্রি ব্যাপকভাবে কমবে।এজন্য তারা হস্তমৈথুনের কোন অপকারিতা নেই বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।তারা সমকামিতা বৈধ করেছে।সমকামিতার মত হস্তমৈথুনের অপকারিতাকেও তারা এড়িয়ে চলছে।
অন্য ধর্ম এ সম্পর্কে কি বলে?
হিব্রু এবং খ্রিস্টান বাইবেল হস্তমৈথুনের ব্যাপারে চুপ।
হিন্দু ধর্মে হস্তমৈথুন নিষিদ্ধ নয়।বরং কামসূত্র বইয়ে হস্তমৈথুনের বর্ণনা খুব সুন্দরভাবে দেওয়া হয়েছে।
যাই হোক,আমার মুসলিম ভাই-বোনেরা হস্তমৈথুন নামের এই যৌন বিকৃতি থেকে দূরে থাকুন।মহান আল্লাহ্ তা'আলাকে ভয় করুন।আপনার বন্ধু-বান্ধবীদের এই ব্যাপারে সচেতন করুন।এই ব্যাপারে আলোচনা করুন।
এই সামাজিক সমস্যা দূর করুন।সব শেষে একটি হাদীস শেয়ার করছি।
রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন--"যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বার) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (যৌনাঙ্গের) নিশ্চয়তা (সঠিক ব্যবহারের) দেবে আমি তার বেহেশতের নিশ্চয়তা দিব।
"(বুখারী ও মুসলিম)
দেখুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হস্তমউথুন নিয়ে কি অভিমত প্রদান করেন।